খারেজীদের
ফেতনা...
যদিও রাসুল সাঃ
এর সময়ে ও পরবর্তীতে আবু বকর, উমার ও উসমান রাঃ এর যুগে কিছু খারেজী আকীদার লোক
ছিলো, কিন্তু খারেজীদের ফেতনা সবচাইতে মারাত্মক আকার ধারণ করে আলী রাঃ এর শাসন
আমলে। সেই থেকে নিয়ে যুগে যুগে বিভিন্ন নামে-বেনামে খারেজী দল বা ব্যক্তির আবির্ভাব
হয়েছে।
এরই
ধারাবাহিকতায় বিগত শতাব্দীর বড় আলেম যারা ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন যেমন - শায়খ
আব্দুল আজীজ বিন বাজ, শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানী, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন
এবং বর্তমানে বড় ওলামাদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন যেমন - শায়খ সালেহ আল-ফাওজান,
শায়খ আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ, শায়খ সালেহ আল-লুহাইধান...এমন বহু আলেম বর্তমান
যুগের খারেজী বা খারেজী আকীদা রাখে এমন ব্যক্তি বা সংগঠন নিয়ে স্পষ্ট ভাষায়
উম্মতকে সতর্ক করেছেন।
আমাদের দেশে
খারেজী আকীদার একটা সংগঠন হচ্ছে জেএমবি, যাদের নেতা হচ্ছে তাদের কথিত শায়খ আব্দুর
রহমান (চাউলের ব্যবসায়ী) এবং বাংলা ভাই (আসল নাম সিদ্দিকুর রহমান, বাংলার টিচার)।
এই অজ্ঞ
লোকগুলো কিছু খারেজী আকীদার লোকের লেখা পড়ে বাংলাদেশে #জিহাদ ঘোষণা করে এবং বোমা
মেরে মানুষ মারার যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম তা বাংলাদেশে আমদানি করে মুসলমানদের মনে
ত্রাসের সৃষ্টি করে। ততকালীন ক্ষমতাসীন সরকারী দলের মন্ত্রী এমপিরা তাদের দিয়ে কাজ
করিয়ে যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, তখন আমেরিকার চাপে তারাই তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে
হত্যা করে। তারা নিহত হলেও রেখে যায় তাকফিরি খারেজীদের নিকৃষ্ট বিষ, তাদের
অন্ধভক্ত সরলমনা মুসলমানদের অন্তরে।
যাই হোক,
ইসলামের নামে, জিহাদের নামে এমন খারেজী আকীদার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের আসল চেহারা
উন্মোচন করে খারেজী আকীদা কি ও খারেজীদের ইতিহাস নিয়ে অসাধারণ একটা বই লিখেন ডা খোন্দকার
আব্দুল্লাহ জাহাংগীর। আপনারা আব্দুল্লাহ জাহাংগীর স্যারের লেখা এই আর্টিকেলটা পড়তে
পারেন, সংক্ষেপে খারেজীদের সম্পর্কে জানার জন্য।
“ইসলামের ইতিহাসে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদঃ একটি পর্যালোচনা”
http://assunnahtrust.com/site/?page_id=770
উল্লেখ্য,
জেএমবির মতো দল যারা বোমাবাজী করে মানুষ মারে ও খারেজী আকীদার রাখে তাঁদের
বিরুদ্ধে লেখালিখি করার কারণে, জসীম উদ্দিন রাহমানী নামের এক লোক ও তার অন্ধ
ভক্তরা আব্দুল্লাহ জাহাংগীর স্যারের নামে আজেবাজে কথা বলা শুরু করে। কারণ হচ্ছে,
স্যার খারেজীদের বিরুদ্ধে লিখেছেন – আর তার এবং তার দলের অনুসারীদের মাঝেও খারেজীদের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেইজন্য
ক্ষেপে গিয়ে তারা আব্দুল্লাহ জাহাংগীর স্যারের নামে খারাপ কথা বলা শুরু করে।
যাইহোক,
পরবর্তীতে জিহাদ নিয়ে ফতোয়াবাজি করে নিজের মূর্খতা প্রকাশ করা এই লোকটাকে আপনারা
বর্জন করবেন। বড় বড় ওলামা যেমন শায়খ বিন বাজ, শায়খ উসাইমিন, শায়খ আলবানী তাঁদের বই
বা ফতোয়া থেকে দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবেন। মনে রাখবেন, যে বেদাতী, খারেজী,
কবর, মাযার পূজারী – সে কিন্তু মায়ের পেট থেকে এইরকম হয়ে জন্মগ্রহণ করেনি। বড় হয়ে #বেদাতী হুজুরের
ওয়াজ শুনে, মূর্খ লোকদের বই পড়েই কিন্তু সে বেদাতী হয়েছে। যাচাই-বাছাই ছাড়া, শুধু
ওয়াজ শুনতে ভালো লাগে, ভালো লিখে এর ভিত্তিতেই সবার কথা শুনতে থাকেন, সম্ভাবনা আছে
আপনিও একদিন নিজের অজান্তেই কোন বেদাতীর পাল্লায় পড়ে সাহাবীদের তরীকাকে হারিয়ে
ফেলবেন (আল্লাহু মুস্তাআন)।
আল্লাহ
আমাদেরকে আহলে সুন্নাত ও ওয়াল জামাতের অনুসারী হিসেবেই মৃত্যু দান করুন, আমিন।