মাযার পূজা, পীর পুজা
- ২টাই হচ্ছে শিরকঃ
বাবা মায়ের কাছে টাকা পয়সা
চাইলে, ডাক্তারের কাছে চিকিতসার জন্য গেলে যদি শিরিক না হয় তাহলে,
=> শাহ জালালের কবরের
কাছে গিয়ে টাকা পয়সা চাইলে,
=> সন্তান পাওয়ার জন্য
বায়েজীদ বোস্তামীর মাযারের নামে খাসি-মুরগি মানত করলে,
=> বিপদে পড়ে আব্দুল
কাদির জিলানীকে সাহায্য করার জন্য ডাকলে
শিরিক হবে কেনো?
উত্তরঃ প্রথমেই বলে নেই
শিরক কাকে বলে?
শিরক হচ্ছে কোন কিছুকে
আল্লাহর সমান মনে করা। কেউ যদি কোন কথা, কাজ বা চিন্তাভাবনা দ্বারা কোনকিছুকে আল্লাহর
সমকক্ষ করে দেয় বা কোন ইবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য করে, সেটাকে শিরক বলা হয়।
শিরক হচ্ছে সবচাইতে বড় পাপ যার কারণে একজন মানুষ চিরজাহান্নামী হয়। তবে কেউ যদি আন্তরিক
তোওবা করে তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
বাবা মা বা কোন মানুষের
কাছে কিছু চাওয়া - এটা দুয়া করা নয়। দুয়া হচ্ছে কাউকে চূড়ান্তভাবে দেওয়ার ক্ষমতার মালিক
মনে করে তার কাছে ভয়, বিনয় ও আশা নিয়ে ডাকা, কোনকিছু প্রার্থনা করা। যেহেতু বাবা মাকে
সেইরকম ক্ষমতার মালিক মনে করা হয়না যেইভাবে আমরা আল্লাহকে সর্বশক্তিমান, সমস্ত কিছু
দেওয়ার মালিক মনে করে দুয়া করি, তাই এটা শিরক নয়।
ডাক্তারের কাছে যাই ঔষধ
নেওয়ার জন্য, কারন আল্লাহ ঔষধের মাঝে শিফা দিয়েছেন যেমন পানি খেলে পিপাসা দূর হয়। তবে
ঔষধ খেলেও শিফা দান করেন আল্লাহ। এইজন্য রোগ হলে ডাক্তার দেখিয়ে ওষধ খেয়ে ভরসা করতে
হবে আল্লাহর উপরে। ডাক্তার আমার রোগ ভালো করেছে, ঔষধ জীবন বাচিয়েছে - এইরকম কথা বলা
হচ্ছে শিরক।
শাহ জালাল রহঃ মৃত্যুবরণ
করেছেন, মৃত্যুর পরে তার সমস্ত কাজ ও ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু কেউ যদি তার মৃত্যুর
পরে টাকা পয়সা দিতে পারে মনে করে, অলি আওলিয়ারা সব কিছু দেখে শুনে মনে করে, তারা আল্লাহর
কাছে সুপারিশ করে যা ইচ্ছা তাই দিতে পারে - এইগুলো হচ্ছে মুশরেক হিন্দুদের দেব-দেবীর
আকীদার মতো শিরকি বিশ্বাস। কোন মুসলমান যদি অলি-আওলিয়া সম্পর্কে এইরকম আকীদা বা চিন্তা-ভাবনা
রাখে তাহলে সে ওই অলীকে একজন দেবতা হিসেবে গ্রহ্ণ করলো যার কারনে সে মুশরেক হয়ে ইসলাম
থেকে বেড়িয়ে যাবে।
অনুরূপভাবে ছেলে মেয়ে দেওয়ার
মালিক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, অন্য কারো কাছে সন্তান চাওয়া মানে তাকে আল্লাহর সমান
ক্ষ্মতার মালিক মনে করা যা বড় শিরক।
আর বিপদ আপদে পড়ে গায়েবি
সাহায্য চাইতে হবে আল্লাহর কাছে। আব্দুল কাদির জিল্লানি রহঃ অনেক আগেই মারা গেছেন।
তিনি আমাদের কথা শুনতে পারেন না কারন তিন গায়েব জানেন না, গায়েব এর জ্ঞান আচছে শুধুমাত্র
আল্লাহর কাছেই। সেইজন্য
গায়েব বা অদৃশ্য থেকে কারো
কাছে সাহায্য চাওয়া শিরক। অন্যদিকে এইভাবে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে দুয়া করস। দুয়া করা
হচ্ছে ইবাদত। যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে দুয়া করে সে হচ্ছে মুশরেক।
বুঝাতে না পারলে দুঃখিত।