ফেইসবুকে
তর্ক-বিতর্ক ও বাহাসের ফেতনাঃ
ফেইসবুকে কিছু
মানুষ সারাদিন তর্ক-বিতর্ক নিয়ে পড়ে থাকে, এরা নিজেরা সময়
কষ্ট করছে এবং এদের দেখে অন্য মানুষেরা সহীহ আকীদার দাওয়াত নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ
করছে। এরা নিজেরাই ইসলাম সম্পর্কে কম জানে, কিন্তু অন্ধ
আবেগে কিংবা তর্কে জেতার জন্যে ইসলামের স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে নিজেদের প্রবৃত্তি
অনুযায়ী বা আন্দাজে যা ইচ্ছা বলে ফেলে। অথচ ওলামারা এইরকম অদরকারী, উপকারবিহীন তর্কে লিপ্ত হতে কঠোরভাবে নিষেধ করেন।
ক্বুরানের
নির্দেশ হচ্ছে উত্তম কথা প্রচার করার মাধ্যমে মানুষকে দাওয়াত দাও, দেখবে শত্রুও যেন তোমার বন্ধু হয়ে গেছে। আর যদি কখনো তর্ক করতেই হয় করতে হবে
সবচেয়ে সুন্দর আখলাক নিয়ে। এই কাজটা করা শুধুমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব, যার রয়েছে অনেক ধৈর্য, যা একমাত্র সত্যিকারের আলেমে দ্বীন
ছাড়া আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের নেই।
আ'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।
৩৩. তার কথার
চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর
দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমিতো মুসলিমদের একজন?
৩৪. ভাল ও মন্দ, এ দুটো সমান নয়। প্রতিপক্ষের জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার
সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সেও যেন অন্তরঙ্গ
বন্ধু হয়ে গেছে।
৩৫. এ চরিত্র
তারাই লাভ করে, যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং এ চরিত্রের
অধিকারী শুধুমাত্র তারাই হয়, যারা অত্যন্ত
ভাগ্যবান।
সুরা হা মীম
সাজদাহঃ ৩৩-৩৫।
সহীহ আকীদার
দাবী করলে আমাদের উচিত আহলুল হাওয়া (প্রবৃত্তির অনুসারী) ও আহলুল ফিতান (ফেতনা
সৃষ্টিকারী) লোকদেরকে উত্তম পন্থায় পরিহার করা, তাদের ছড়ানো
শুবুহাত (সন্দেহ, ভ্রান্ত মতবাদ বা বিভ্রান্তিগুলোর)
ব্যপারে অন্য মুসলমানদেরকে সতর্ক করা, তাদের সাথে
তর্কে না জড়িয়ে নিজেকে হেফাজত করা।
যার অন্তরে
ইখলাস থাকে তাকে দলীল দিয়ে কিছু বললে, ওলামাদের উপদেশ
পৌঁছে দিলে অতীতে ভুলের মাঝে থাকলে সংশোধন করে নেবে, অন্তত সঠিক জানার জন্য উতসাহী হবে। কিন্তু যারা শিরক-বেদাত, অজ্ঞতা-মূর্খতার অনুসারী কিংবা অহংকারী – এরা কোনদিন উপদেশ গ্রহণ করেনা, নিজের ভ্রান্ত
মতের পক্ষেই লড়াই করে। এদের জন্য দুয়া করা ছাড়া আপনার অন্য কোন পথ নেই। মনে রাখবেন, হেদায়েত আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে, আমাদের দায়িত্ব
শুধু পৌঁছে দেওয়া।
আ'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।
১৬. হে আমার
বান্দারা,
তোমরা আমাকে ভয় কর।
১৭. যারা
ত্বাগুতের পূজা-অর্চনা থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ। অতএব, আপনি সুসংবাদ
দিন আমার বান্দাদেরকে।
১৮. যারা
মনোযোগ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই হচ্ছে
বুদ্ধিমান।
১৯. যার জন্যে
শাস্তির হুকুম অবধারিত হয়ে গেছে, আপনি কি সেই
জাহান্নামীকে মুক্ত করতে পারবেন?
সুরা আল-যুমারঃ
১৬-১৯।
আল্লাহ
আমাদেরকে বোঝার ও আমল করার তোওফিক দান করুন, আমিন।