ইসলাম ধ্বংস
করে মুসলমানদেরকে গোলাম বানানোর জন্য ইয়াহুদী এবং খৃষ্টানদের চক্রান্তসমূহঃ
১. ঈমানদার ও কাফের নারী-পুরুষের
মাঝে মিশ্র বিবাহের টোপ।
২. এলাকাভেদে ইউরোপীয়
বালিকা, নারী দ্বারা পুরুষদেরকে লোভ দেখানো। ইতিমধ্যেই বিদেশে বসবাসরত অনেক নারী ও
পুরুষই সাদা চামড়ার লোভে আকীদা ও আমলে কাফেরদের মতো হয়ে গেছে।
৩. বিনামুল্যে চিকিৎসা
প্রদান। তারা রোগীদের মনে এ বিশ্বাস জন্মায় যে, যীশুর কারণেই শুধু মুক্তি লাভ করা
যায়। এ উদ্দেশ্যে খ্রীস্টান ধর্ম প্রচার করার জন্য মিশনারী স্কুল ও হাসপাতালগুলোকে
ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনারা মনে করবেন না, ইউরোপীয়া ফাদার, নানেরা বিবাহ শাদী না করে
যৌন চাহিদাকে কুরবানী দিয়ে, উন্নত বিশ্বের ভোগ-বিলাস বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গরীব দেশের
মানুষদের ফ্রী সেবা করতে এসেছে। তাদের জীবনের একটাই মিশন, মুসলমানদেরকে খ্রীস্টান বানিয়ে
স্বর্গ (আসলে জাহান্নামের আগুন) কিনে নেওয়া।
৪. দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য
বিতরণ করে তাদের অন্তরকে কুফফারদের প্রতি ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতি-সভ্যতার প্রতি নরম করে
তোলা। কথায় আছে, গরীব মানুষের অন্তরের স্থান করে নেওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে তাদের গলার
নিচ দিয়ে (খাওয়ানোর মাধ্যেমে)।
৫. যিশুর নামে একতাবদ্ধ
হবার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করা।
৬. মুসলিম দেশগুলোতে কারখানা,
কোম্পানী তৈরী করা এবং মোটা টাকার বিনিময়ে মেধাবীদের নিয়োগ করা। বেকারদের ক্রুশ ঝুলানোর
শর্তে চাকরী দেয়া।
৭. তাদের তৎপরতার আরেকটি
মাধ্যম প্রকাশনা। তারা বাইবেলকে ইজ্ঞীল শরীফ নামে কুরানের মত করে সাজিয়ে বিতরণ করে।
৮. সুসমাচার, সুসংবাদ নামে
ছোট ছোট বই পুস্তক বাজারে ছাড়ে, যেন এসব পড়ার পর মনে অজান্তেই বিষ ঢুকে যায়।
৯. তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
গড়ার দ্বারা সমাজকে ধোকা দিচ্ছে। আমরাও না বুঝে আধুনিকতার দোহাই পেড়ে এসব স্কুলে
আমাদের শিশুকে পাঠাচ্ছি। মুলত আমরা আমাদের শিশুদের জবাই করছি। আমাদের দেশে নটরডেম কলেজ,
হলিক্রস কলেজ এই ধরনের কলেজগুলোতে উপদেশ দিতে আসে ফাদার নানেরা। তারা যে কৌশলে তাদের
ধর্মের দিকেই তরুণ-তরুণীদেরকে দাওয়াত দিবে, এটা একজন বোকা লোকেও বুঝে। উল্লেখ্য, হলিক্রস
নামটাই খ্রীস্টানদের কুফুরী একট বিশ্বাস। হলিক্রস - পবিত্র ক্রুশ, নাউযুবিল্লাহ, ইসলাম
এই ধরণের ক্রুশে বিশ্বাসী করা কুফুরী ও শিরক। কলেজে ভর্তি হওয়ার কারণে হাজার হাজার
নারী এই শিরকি নামটা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় লিখছে-বলছে, তাহলে চিন্তা করুন একটা মুসলিম দেশে
এই নামে কলেজ চলে কি করে?
১০. IELTS, GMAT, GRE,
TOEFL দ্বারা মেধাসমূহকে তাদের দেশে পাচার করছে।
১১. মিডিয়ার দ্বারা তারা
প্রতিটি মুহুর্তে কৌসলে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষেদগার ছড়াচ্ছে। তারা হকপন্থী আলেম, মাদরাসা
সমুহকে জঙ্গী বলে প্রচার করছে। তবে পীর সুফীদের তারা কখনোই জঙ্গী বলে না, কারণ পীর-মুরিদেরা
কলবের জিহাদে ব্যস্ত, এরা কোনদিন শিরক ও কুফরের বিরুদ্ধে বলেনা, মাযার আর খানকার ধর্ম
ব্যবসা নিয়েই পড়ে থাকে। এইজন্য সূফীবাদীদেরকে কুফফাররা তাদের জন্য সবচাইতে নিরাপদ মনে
করে। এমনকি আমেরিকাতে কিছু তথাকথিত নামধারী সূফী সংগঠনকে টাকা দিয়ে সাহায্য কর যাচ্ছে
বুশ-ওবামা নামের যুগের ফেরাউনেরা, যাতে করে তাদের ভ্রান্ত মতবাদ ছড়ানোর মাধ্যমে মূল
ইসলাম বিকৃত হয়।
১২. তারা বিভিন্ন রেডিও
স্টেশন তৈরী করেছে। যাতে তারা ছওতুল হক্ব, নূর আলা নূর জাতীয় ইসলামীক নাম ব্যাবহারের
দ্বারা বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালিত করে থাকে। তাদের প্রশ্ন দাতাদের নামও হয় মুসলিম
নামে। যেমন আব্দুল্লাহ।
১৩. এনজিও গুলোতে সুদ,
মহিলা নিয়োগ তাদের আরেকটি হাতিয়ার। তারা নারী কর্মীদের বোরকা হিজাব পড়তে নিষেধ করে
এবং খোলামেলা পোষাক পড়তে বাধ্য করে। তাছাড়াও মেয়েদের সাইকেল, হোন্ডা চালিয়ে বিভিন্ন
এলাকায় যেতে বাধ্য করে। দুনিয়ালোভী একশ্রেণীর অজ্ঞ নারী এদের চাকচিক্যের ধোঁকায় পড়ে
মুসলমানদের ঈমান ও আকীদা বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হচ্ছে।
১৪. প্রায় সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নারী ও পুরুষের সহশিক্ষা
চালু করা, নারীদের ক্ষমতায়ন নাম দিয়ে তাদের স্বাভাবিক অবস্থান ঘর থেকে বের করে
বেহিজাবী, বেপর্দা করে দেওয়া, নারী-পুরুষের সহাবস্থানের মাধ্যমে সমাজে
জিনা-ব্যভিচার ব্যপকতা রূপ দান করা।
১৫. গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পূজিবাদ ইত্যাদি ইসলাম বিরোধী মতবাদ ও
নাস্তিকতায় তরুণ সমাজকে দীক্ষা দিয়ে তাদেরকে খুনি, সন্ত্রাসী, ধর্ষক ও রাজনৈতিক
নেতাদের গোলামে পরিণত করা।
এমন বহু বাস্তব উদাহরণ
আছে। আপনারা খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।
প্রতিকারঃ
১. নিজের ঈমান, আমলকে হেফাজত
করুন। দ্বীন শিক্ষা করুন, দ্বীনকে আঁকড়ে ধরুন। পরিবারকে ইসলাম শিক্ষা দিন, তাদেরকে
ইসলামের ব্যপারে সচেতন করুন, কাফেরদের ষড়যন্ত্র বোঝান, আল্লাহর আদেশ মানতে বাধ্য করুন।
২. বাড়ীতে নোংরা টিভি
চ্যানেল ও ইসলাম বিরোধী পত্রিকা, মিডিয়াগুলো বন্ধ করুন।
৩. বাচ্চাদের হাফেজ, আলেম,
ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানী বানান। আপনার সন্তান যেন শায়খ বিন বায, শায়খ আলবানীর মতো হয়ে
গড়ে উঠে, সুদাইস, শুরাইমের মতো যেন তেলাওয়াত করতে পারে। যাদের তেলাওয়াত শুনে বহু
অমুসলিম মুসলিম হয়েছে।
৪. আলীয়া মাদরাসা এবং
ইসলাম বিরোধী স্কুল কলেজ ও শিক্ষা ব্যবস্থা বর্জন করুন। তবে কেবল পাবলিক পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ করা যেতে পারে।
মনে রাখবেন, সাহাবীদের
আমলে স্কুল, কলেজের মতো কিছু ছিল না। তারপরও তারা সোনার মানুষ হতে পেরেছিলেন ক্বুরানুল
কারীমের নিয়ামতের মাধ্যমে।
এসব কলেজ ভার্সিটি কখনো
ইসলাম শিক্ষা দেয় না। বরং উল্টো নোংরা মতবাদ শিখিয়ে থাকে। দিনে দিনে নাস্তিক তথা
ইসলাম বিরোধীদের বৃদ্ধি পাওয়াই যার প্রকৃষ্ট বাস্তব উদাহরণ। তাই এই সমস্ত বেদ্বীন
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের বিপরিতে যুগোপযোগী দ্বীনি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান
গড়ে তোলা মুসলিমদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।
৫. বিবাহের সময় সহীহ আকিদা
সম্পন্ন ছেলে কিংবা মেয়েকে নির্বাচন করুন। অভিজাত ফ্যামিলির বড়লোক, উচ্চ শিক্ষিত এবং সুন্দরও হতে হবে, আবার ধার্মিকও হতে হবে, এইরকম
ধান্দা বাদ দিন।
৬. দাওয়াত এবং জিহাদের
বিকল্প নেই। সুতরাং, লেখনী, বক্তব্য, আলেমদের বক্তব্য প্রচার করার কাজে ব্রতী হন।
আরো অনেককিছু বলা যায়।
তবে জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।
Collected and Edited
from Ahmadullah Saidpury