হিন্দু ধর্মে
মেয়েরা বাবার মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকার সূত্রে কোন সম্পত্তি পায়না। এইজন্য হিন্দুরা
বিয়ের সময় মেয়ের বাবার কাছ থেকে যা পারে এক কালীন অর্থ সম্পদ আদায় করে নেয়, এটাকে তারা যৌতুক বা পণ বলে।
ইসলাম ধর্ম
মূর্তিপূজার ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মুসলমানদের মেয়েরা বাবার মৃত্যুর পরে
উত্তরাধিকারসূত্রে তার ন্যায্য অধিকার পায়। আবার বিয়েতে স্বামী স্ত্রীকে মোহর দেয়, বিয়ের জন্য এই মোহর নির্ধারণ করা ফরয। মোহর হচ্ছে স্ত্রীকে দেওয়া স্বামীর পক্ষ
থেকে উপহার। যাইহোক, যেহেতু পাক-ভারত উপমহাদেশে আমাদের
মুসলমানদের পূর্ব পুরুষরা ছিলো বৌদ্ধ বা হিন্দু, তাই আমাদের অনেকে মুখে কালেমাকে মেনে নিলেও কাজেকর্মে মুশরেক জাতির মতোই রয়ে
গেছে। বেশিরভাগক্্ষেত্রেই, নারীদেরকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত
করা হচ্ছে, নানা ছল-ছুতায় তাদের হক্ক নষ্ট করা
হচ্ছে। এ ব্যপারে আইন-আদালত সম্পূর্ণ ব্য্র্থ, নারীর অধিকার
প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
আবার বিয়েতেও
অনেক মুসলমান পুরুষ মোহরানা আদায় করেনা, বা বলে একটা
করে আরেকটা। লোক দেখানো মাহরের কথা বলে, কিন্তু সবাই
জানে সেটা কোনদিন আদায় করা হবেনা। তার চাইতেও জঘন্য কিছু লোক নির্লজ্জের মতো বিয়ের
জন্য মেয়ের বাবার কাছে যৌতুক দাবী করে। তথাকথিত অনেক শিক্ষিত পরিবারে যৌতুক চায়না
কিন্তু আশা করে, আকারে ইংগিতে বুঝিয়ে দেয়। গিফট নামের
আধুনিক যৌতুক না পেলে বিয়ের পরে শ্বুশুর বাড়ির লোকজন অশান্তি করে।
জাহেলিয়াতের
বিষে বিষাক্ত আমাদের সমাজের কতো যে নারী নির্যাতিত ও খুন হচ্ছে যৌতুকের কারণে।
যৌতুক দাবী করা
কিংবা আশা করা হারাম, এর টাকা খাওয়া হারাম। যে হারাম
অর্থ খায় তাকে হারামখোর বলা হয়। কোম হারামখোরের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়া ঠিক না।
যাদের পকেটে
শ্বশুরবাড়ির হারাম টাকা আছে আজকেই সেই টাকা ফেরত দিয়ে দিন, কেয়ামতের দিন এই টাকা সাপ হয়ে যাবে।