প্রশ্নোত্তরে
ইসলাম - পর্ব ২
অনেক
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি আমি ইন শা’ আল্লাহ বাকিগুলো আগামি বৃহস্পতিবারে
উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। যেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হলো –
প্রশ্নঃ জন্মের
আগেই বাচ্চা ছেলে নাকি মেয়ে তা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা কি জায়েজ?
উত্তরঃ শায়খ
ইবনে উসাইমিন রহঃ বলেন, অনেক বেশি টাকা খরচ না হলে অর্থাৎ
সেটা যদি অপচয় না হয় তাহলে জায়েজ।
প্রশ্নঃ আল্লাহ
সকল প্রাণী বানানোর আগে মহানবী (সাঃ) কে বানান - কথাটা কি হাদিস নির্ভর? দয়া করে জানাবেন।
উত্তরঃ এটা
একটা জাল হাদীস, সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা। আল্লাহর সবার
প্রথম বানান আরশ, কলম, লাওহ মহফুয। মানুষের মাঝে প্রথম সৃষ্টি করেন আদাম আঃ কে। ফেরেশতা, ইবলিস জিনকে মানুষের আগেই সৃষ্টি করেছিলেন।
প্রশ্নঃ জিনের
সাথে মানুষের বিয়ে কি জায়েজ আছে?
উত্তরঃ না নেই, জিন ও মানুষের জগত আলাদা – দুইটাকে এক করতে গেলে অনেক সমস্যা, তার মধ্যে কমন
হচ্ছে যাদু ও জিনের আসর।
প্রশ্নঃ
গনতান্ত্রিক রাজনীতির হুকুম কি?
উত্তরঃ
গণতন্ত্র শিরকি মতবাদ, হারাম। ইসলাম ও গণতন্ত্র ২টি
সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।
নিচের লিংক এর
লেখার উপরে এক ভাই মেসেজে প্রশ্ন করেছেনঃ
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/a.130928300273259.14132.125167817515974/894225180610230/?type=1
প্রশ্নঃ আমি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তো এইখানে নারী পুরুষ এর একসাথেই উঠা বসা হয়। আমার বন্ধু
বান্ধব আছে। জানি যে ইসলামে নারী পুরুষের বন্ধুত্ব জায়েজ না। কিন্তু হয়ে গেছে আর
কি। তবে আমার কোন খারাপ মতলব নেই। তো এই ধরনের বন্ধুত্বও কি যেনার মধ্যে পরবে?? এইটার শাস্তিও কি এমন হবে??
উত্তরঃ গায়ের
মাহরাম নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া, মিষ্টি বা আবেগ নিয়ে
কথা বলা,
অন্তরে কামনা করা – হাদীস অনুযায়ী এই সবগুলো জেনার মাঝে পড়ে যা নারী ও পুরুষের মাঝে বন্ধুত্ব হলে
সৃষ্টি হতে বাধ্য। যেই নারী বা পুরুষ এই কথাটাকে অস্বীকার করে এবং বলে আমরা শুধুই
বন্ধু বা ভাই-বোনের মতো, আমাদের কুমতলব নেই - সে মিথ্যাবাদী
বা অন্যকিছু। যাইহোক, দূরত্ব রক্ষা করে চলবেন, এবং চেষ্টা করবেন নারী সংগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য। আগুন যেমন খড়কে জ্বালিয়ে
দেয় গায়ের মাহরাম নারী সংগ তেমনি পুরুষের সংযম, তাক্বওয়াকে
নষ্ট করে দেয়। এনিয়ে বিস্তারিত দেখুন ইবনে তাইমিয়ার একটা ফতোয়া আছে, তার মাঝে তিনি সুন্দর আলোচনা করেছেন।
প্রশ্নঃ ছেলে
মেয়ে চ্যাটিং কি বৈধ?
উত্তরঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল-মুতলাক নামে সৌদি আরবের আলেমে দ্বীন ফতোয়া দিয়েছেন, সামাজিক সাইটগুলোতে অনলাইনে নারী-পুরুষ চ্যাটিং ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ এবং এর কারণে তারা পাপে লিপ্ত হতে পারেন। এটা হারাম।
শেখ আব্দুল্লাহ আল-মুতলাক ‘সৌদি কমিটি অব সিনিয়র স্কলার’-এর একজন সদস্য।
শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, অনলাইনে সামাজিক সাইটে নারী-পুরুষ চ্যাটিং (খুলওয়া) হারাম ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
তিনি স্থানীয় একটি রেডিওর অনুষ্ঠানে বলেন,
‘মেয়েরা যখন ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে, সেখানে শয়তান উপস্থিত থাকতে পারে।’
তিনি এ সময় নারীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন পুরুষদের সঙ্গে কথা না বলেন।
আব্দুল্লাহ বলেন,
সামাজিক সাইটে নারী-পুরুষ চ্যাটিং যদি নির্দেশনামূলক কিংবা উপদেশও হয়,
তাহলেও তা ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ এবং গুনাহ।
প্রশ্নঃ মুকিম
অবস্থায় ৭ ভাগে কুরবানি জায়েজ আছে?
উত্তরঃ শায়খ
বিন বাজ রহঃ বলেন সঠিক মত অনুযায়ী - জায়েজ।
প্রশ্নঃ তাবলীগ
জামাত সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?
উত্তরঃ শিরক ও
বিদাতের তালিম দিতে এই জামাতের লোকেরা কুরান ও হাদীস থেকে তাদের বানোয়াট শিরকি
কিচ্চা দিয়ে লেখা ফাযায়েলে আমলের তাবলীগ বেশি করে। চিল্লা নাম দিয়ে মসজিদে মসজিদে
বেদাত প্রচার করছে, আর কুরান ও সুন্নাহ ভিত্তিক সঠিক ইসলামের বিরোধীতা করছে। আরব
বিশ্বের বড় বড় ওলামারা এদেরকে উপদেশ দিয়ছেনে। দেওবন্দ মাদ্রাসার আলেমরা এদেরকে
বিভ্রান্ত করেছে, সেইজন্য আলেমদএর উপদেশ নেয়নি। বর্তমানে সৌদি আরবে এরা নিষিদ্ধ।
এই পোস্টগুলো পড়েন এবং এদের কৌশল থেকে সাবধান থাকুন। এই পোস্টগুলো পড়ুন –
As Salamu Alaikum
Brother,
[ওয়া আলাইকুমুস
সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ]
Thanks for giving us
the opportunity to ask questions. I was waiting long time for this option. Hope
to get ur valuable feedback. Actually I have 3 questions
to ask. Following are those -
Question 1: আমি বুখারি শারিফ এ পড়েছি যে সুরা ফাতেহা ছাড়া নামাজ হবে না। আপনার
নামাজ এর উপর দেয়া post এ ও তাই ছিল। জামাত এ নামাজ পরার সময়
কেউ যদি দেরি করে শরিক হয় আর সুরা ফাতেহা পরার আগে ইমাম সাহেব রুকু তে চলে যান
তাহলে সেই খেত্রে নামাজ কি হবে নাকি ওই রাকাত আবার পরতে হবে??
উত্তরঃ না
বেশির ভাগ আলেমই একমত হয়েছেন রুকু পেলে রাকাত হয়ে যাবে, এটা সহীহ হাদীস দিয়ে প্রমানিত যে পরে নামাযে জয়েন করে তার
জন্য ফাতেহাঁ ছাড়াই ঐ রাকাত গণ্য হবে। এর বিপরীত যেইমত, সেটা
দুর্বল।
Question 2: নামাজ এর উপর আপনি কিছু বই এর রেফারেন্স দিয়ে ছিলেন। প্লিজ ওই post
এর লিনক টা আবার শেয়ার করবেন, আর বই গুলো কোথা
থেকে কিনতে পারব?? I need to buy those books rather than download.
বইয়ের লিংক -
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/04/blog-post_12.html
কেনার এড্রেস
অথবা কুরিয়ারে বাসায় পাওয়ার জন্য ফোন নাম্বারঃ
বইগুলো ঢাকার
কাটাবনে ইসলামী বইয়ের দোকানগুলোতে পাবেন। এছাড়া তাওহীদ পাবলিকেশানের দোকানগুলোতে
পাবেন। বাসায় কুরিয়ারে পাওয়ার জন্য এইখানে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন।
তাওহীদ
পাবলিকেশন্সঃ
যোগাযোগঃ ৯০
হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা-১০০০।
ফোনঃ ৭১১২৭৬২, ০১১৯০৩৬৮২৭২, ০১৭১১৬৪৬৩৯৬, ০১৯১৯৬৪৬৩৯৬, ০১৭৫১৭০৪৮৪৮।
Question 3: দীন শীখতে চাই। খালি fb তে ব্রাউজ করে ও website
দেখে না। conventional way তে - ক্লাস রুমে
বসে, মাস্টার এর কাছে যেয়ে। আমি general লাইন এর student কনো madrasha ডিগ্রি
নাই। এই বেপার এ আপনার suggestion কি??
উত্তরঃ ভালো
দ্বাইয়ী ও শায়খদের খুতবা ও হালাকাগুলো নিয়মিত অংশগ্রহণ করুন, স্থানীয় কোন উস্তাদ থাকলে তাদের দারসে বসুন, আর যদি সম্ভব হয় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। সরাসরি না হলেও অন্তত
ভালো আলেমদের বইয়ের অনুবাদ, অডিও ভিডিও লেকচার দ্বারা অনেক
উপকৃত হওয়া যায়।
প্রশ্নঃ আমার
প্রশ্ন হলো :- নামাজের সময় নিয়ে যেমন ফজরের সময় শুরু হয় ভোর ৪.২২ অথচ জামাত শুরু
৫.১৫ পর যহুর শুরু ১২ টা জামাত ১.৩০ এ রকম সব নামাজেই এত পারথক কেন?
উত্তরঃ আমাদের
দেশের মসজিদ যারা চালায় মসজিদ কমিটির লোক ও একশ্রেণীর ইমাম সাহেবরা খুব বেশি
শিক্ষিত নয়, তারা সত্যিকারের ওলামাদের কাছ থেকে
ইসলাম না শিখে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় গড়ে উঠে যারা বাপ দাদার অন্ধ অনুকরণ করে।
কুরান হাদীস থেকে বংশ পরপম্পরায় যা চলে সেইটাকে সঠিক মনে করে। এছাড়া মাযহাবের
দোহাই,
জাল জয়ীফ হাদীস সম্পর্কে অজ্ঞতা আরো অনেক কারণ আছে।
প্রশ্নঃ আমার
স্বামী ডাক্তার। অবৈধ সন্তান এবোরশান করার জন্য কেউ পরামর্শ চাইলে সাহায্য করতে
পারবে?
উত্তরঃ
বৈধ-অবৈধ যাই হোক, উপযুক্ত কারণ ছাড়া সন্তান এবোরশান
করা জায়েজ নয়। নাজায়েজ কাজে সাহায্য করতে শরীয়ত অনুমতি দেয়না।
প্রশ্নঃ ভাই
অামি অামার ছেলের অাকিকা গরু দিয়ে দিয়েছি. এটা কি সঠিক হবে?
উত্তরঃ যা ভুল
হয়েছে,
হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে সঠিকভাবে করলেই হবে।
প্রশ্নঃ স্ত্রীকে
তালাক দিলে কি ফেরত নিতে পারবে?
উত্তরঃ যদি এক
তালাক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে তাহলে ইদ্দতের মধ্যে হলে ফিরিয়ে নিতে পারবে, এর জন্য
বিয়ে পড়ানোর প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলেই সেই স্ত্রী তার
জন্য হালাল হবে। আর ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে নতুন করে মাহর দিয়ে বিয়ে করতে পারবে। পর পর
তিন তালাক হয়ে গেলে এর পরে আর ফিরিয়ে নিতে পারবেনা, যতক্ষণ না অন্য স্বামীর সাথে
বিয়ে হবে ও স্বাভাবিক ভাবে সেই স্বামী থেকে মুক্ত হবে। চুক্তিভিত্তিক হিল্লা বিয়ে
হারাম ও কবীরা গুনাহ।
প্রশ্নঃ বিতরের
সালাতের পর যদি ইচ্ছা হয় রাতে উঠে কি নফল সালাত পড়া যাবে?
উত্তরঃ যাবে, কোন সমস্যা নেই। শেষ রাতে উঠতে পারবেন নিশ্চিত হলে বিতির শেষ রাতে পড়তে হয়, নিশ্চিত না হলে ঘুমানোর আগে বিতির পড়ে ফেলবেন, ঘুম থেকে উঠে শুধু তাহাজ্জুদ ২, ২ করে পড়বেন, বিতির পড়বেন না। এক রাতে বিতির একবারই পড়তে হয়।
প্রশ্নঃ আমি
একজনকে এতো টাকা দিয়েছি, সে হালাল ব্যবসা থেক আমাকে লাভ
দেয়। এটা কি আমার জন্য হালাল?
উত্তরঃ হালাল
হবে যদি সেটা আপনি ব্যবসার অংশীদার হিসেবে দেন। অর্থাৎ লাভ হলে নির্দিষ্ট অংশ
মুনাফা পাবেন, আবার লস হলে আপনারও একটা অংশ লস হবে এমন
চুক্তি থাকলে। শুধু লাভ আপনার, আর লস সব যে নেয় তার -
এমন হলে সেটা সুদ হবে। তাই আগে থেকে ঠিক করে নেবেন তার ব্যবসার লাভ ও ক্ষতিই ২টাই
বহন করতে হবে।
প্রশ্নঃ
জুমুয়ার দিনে মেয়েরাও কি দুয়া কবুলের সময় বাসায় দুয়া করবে?
উত্তরঃ হ্যা, মেয়েরাও দুয়া কবুলের ঐ সময়টার খোঁজ করবে এবঙ দুয়া করবে, এটা সবার জন্যই সুন্নত।
প্রশ্নঃ হাত
তুলে দলবদ্ধ ভাবে মোনাজাত করা যাবে কি? অনেকে বলে যাবে
না। কেন?
উত্তরঃ আমাদের
দেশে ৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পরে যেই সম্মিলিত দুয়া করা হয় এটা বেদাত, কারণ রাসুল সাঃ এইকাজ করতেন না - এইজন্য এটা করা যাবেনা। বিস্তারিত দেখুন -
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/03/blog-post_4342.html
প্রশ্নঃ মসজিদে
মুড়ি বা খুরমা দিয়ে দোয়া চাওয়া ও দোয়া করার বিধান জানতে চাই ।
উত্তরঃ এইরকম
দুয়া চাওয়ার কোন দলীল নেই। এইগুলো করা যাবেনা। নিজে নামায পড়ে, রোযা রেখে বা নেক আমল করে বেশি বেশি দুয়া করতে হবে, আলেম বা কোন ধার্মিক লোককে দুয়া করতে অনুরোধ করা যেতে পারে।
প্রশ্নঃ সালাম
পায়ে ধরে করা ঠিক নাকি মুখে করলেই হবে?
উত্তরঃ সালাম
মুখে বলতে হয়, হাতে ইশারা বা স্যালুট করা যাবেনা। আর
পা ছুঁয়ে সালাম করা হিন্দুদের তরীকা ও হারাম। এতে মাথা নিচু করা হয় অন্যের সামনে
এটা মারাত্মক অন্যায়।
প্রশ্নঃ আমার
প্রশ্ন হল - বাংলাদেশে বুকের উপর ও নাভির নিচে হাতের বাধার প্রচলন আছে, কিন্তু আমি লিবিয়ার যেখানে সালাত আদায় করি, সেখানে ইমাম
সাহেব হাতই বাধেনা। আমি বুকে হাত বাধিয়া তাহার পিছনে সালাত পড়ি। তার পিছনে সালাত
পড়া ঠিক কিনা জানতে চাই।
উত্তরঃ হানাফী
মাযহাব অনুযায়ী নাভির নিচে হাত বাঁধা সুন্নত কিন্তু এর পক্ষে হাদীসগুলো জাল নয়তো
জয়ীফ। অপরদিকে হাম্বালী ও শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী বুকে বা বুকের নিচে হাত বাধতে হয়।
বিশুদ্ধতম হাদীস অনুযায়ী বুকের নিচে হাত বাঁধা সুন্নত। মালেকী মাযহাব মতে হাত না
বাঁধা সুন্নত। এর পক্ষে কোন দলীল নেই, ইমাম মালেক
এইরকম করতে বলেছেন এই কথারও কোন প্রমান নেই। পরবর্তী যুগের অন্ধ মুকাল্লেদ কোন লোক
এই ফতোয়া দিয়েছে, যা ভুল। নামাযে হাত বাঁধা সুন্নত, না বাঁধলেও তার নামায হবে কারণ সুন্নত ছেড়ে দিলে নামায বাতিল হয়না, সওয়াব কম হয়। আর সমস্ত ওলামারা এক মাযহাবের পেছনে অন্য মাযহাবের লোকদের নামায
জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন। আপনি হাত বাঁধবেন আপনি সওয়াব পাবেন, ইমাম বাধবেনা সে তার জন্য দায়ী থাকবে, আপনার নামাযের
কোন ক্ষতি হবেনা ইন শা’ আল্লাহ।
প্রশ্নঃ রক্ত
প্রবাহিত হলে ওযু ভংগ হয় না কিন্তু উহা কি
নাপাক নয় বা
রক্তাক্ত অবস্থায় কি রক্ত না ধুয়ে সলাত পড়া যাবে??
উত্তরঃ রক্ত
নাপাক,
রক্ত বের হলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু যে রক্ত বের হতে
থাকে,
রক্ত পড়া বন্ধ হয়না ঐ অবস্থায় নামায পড়া যাবে। রক্ত বের হলে
ওযু ভংগ হয় এই কথার সঠিক দলীল নেই। ওমার
রাঃ ও ইমাম আহমাদ রহঃ এর কাছ থেকে প্রমানিত, রক্ত পড়া
অবস্থাতেই তারা নামায পড়েছেন।
প্রশ্নঃ শরীর
থেকে কোথাও খালে গেলে যে আঠাল পদার্থ বের (যা রক্তও নয় পুজও নয় ) তা কি নাপাক?
উত্তরঃ পানি
জাতীয় তরল পদার্থ নাপাক নয়।
প্রশ্নঃ
দাঁড়িয়ে কল এ টিপ দিয়ে ওযু করা যাবে?
উত্তরঃ উত্তম
হচ্ছে বসে পাত্রে পানি নিয়ে ওযু করা যাতে করে কষ্ট না হয় ও পানির অপচয় না হয় ও
পূর্ণ ওযু হয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়।