তাওবাকারীর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাতওয়া
আপনি হয়তো বলতে পারেন, আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু আমি তাওবার হুকুম আহকাম সম্পর্কে অজ্ঞ। আমার মনে কতিপয় গুনাহের ব্যাপারে অনেক প্রশ্নের উদ্রেক হয় এর সঠিক তাওবার ব্যাপারে, আল্লাহর যে সব হক নষ্ট করেছি তা পূরণ করার ব্যাপারে এবং বান্দাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে যা আমি ইতিপূর্বে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করেছি। এসব প্রশ্নের উত্তর কি আছে?
আল্লাহর পানে প্রত্যাবর্তনকারী ব্যক্তি! আপনার জন্য এসব প্রশ্নের উত্তর উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।
[প্রশ্ন নং ১]
আমি পাপ করার পর তাওবা করি অতঃপর আমার কু-প্রবৃত্তি আমার উপর বিজয়ী হয়, যার ফলে আবার পাপের পথে ফিরে আসি, এর ফলে কি আমার পূর্বের তাওবা বাতিল হয়ে যাবে এবং আমার পূর্বের ও পরের গুনাহ বাকী রয়ে যাবে?
উত্তর: তাওবা সঠিক হওয়ার জন্য শর্ত হলো পাপ থেকে পূর্ণভাবে মুক্ত হওয়া এবং এজন্য অনুতপ্ত হওয়া, পুনরায় আর তা না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়া। এরপর যদি আবার কেউ পাপ করে ফেলে তাহলে সে যেন নতুনভাবে পাপ করল, এজন্য তাকে নতুনভাবে তাওবা করতে হবে এবং তার পূর্বের তাওবা ঠিক থাকবে।
[প্রশ্ন নং ৩]
অতীতে আমি আল্লাহর হক নষ্ট করেছি, নামায পড়িনি, রোজা রাখিনি, জাকাত দেইনি, এখন আমি কি করবো?
উত্তর: নামায পরিত্যাগ করার ব্যাপারে প্রসিদ্ধ মত হলো, এর কাজা আদায় করতে হবে না। কেননা এর সময় পার হয়ে গেছে এবং তা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে বেশী বেশী তাওবা, এসতেগফার পাঠ করে, বেশী বেশী নফল নামায আদায় করে, আশা করা যায় যে মহান আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিবেন।
কিন্তু রোজা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে কথা হলো, রোজা ভঙ্গের সময় যদি সে মুসলমান থেকে থাকে তাহলে তার প্রতি প্রত্যেক রোজার জন্য একজন করে মিসকিনকে খাবার দেয়া ওয়াজিব হবে এবং পরবর্তী রমজান আসার পূর্বেই এই কাফ্ফারা প্রদান করতে হবে। এর চেয়ে দেরী করতে পারবে না যদি তার কোন শরয়ী ওজর না থাকে। পূর্বে যত দিনই বাকী আছে সবগুলোরই কাজা আদায় করতে হবে যদিও এর সংখ্যা কয়েক মাস গিয়ে পৌছে।
উদাহরণ: কোন ব্যক্তি ১৪০০ হিজরীতে ৩টি রোজা ভঙ্গ করলো এবং ১৪০১ হিজরীতে ৫টি রোজা ছেড়ে দিলো এরপর সে যদি তাওবা করে, তাহলে তাকে ৮টি রোজার কাজা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক রোজার জন্য একজন করে মিসকিনের খানা দিতে হবে।
আরেকটি উদাহরণ: এক মেয়ে ১৪০০ হিজরীতে বালেগা হলো এবং সে লজ্জা করে তার পরিবারের লোকজনকে জানালো না। সে ঐ আট দিন (বা সাতদিন মাসিকের সময়) রোজা রাখল এবং পরে এর কাজা আদায় করলো না। তাহলে তার উপর ঐ আট দিনের রোজার কাজা আদায় করা কর্তব্য হয়ে গেল। এখানে একটি বিষয় অবশ্যই অবগত থাকতে হবে যে, নামায ছাড়া ও রোজা ভঙ্গ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যা আহলে ইলমরা উল্লেখ করেছেন। ওলামাদের কেউ কেউ মনে করেন যে, কেউ যদি ইচ্ছা করে রোজা ভঙ্গ করে তবুও কাজা আদায় করতে হবে না।
কিন্তু জাকাত না দেয়া থাকলে অবশ্যই জাকাত প্রদান করতে হবে। কেননা জাকাত এক দিকে আল্লাহর হক এবং অন্য দিকে গরীব মিসকিনের হক।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন মাদারেজুস সালেকীন ১/৩৮৩।
আপনি হয়তো বলতে পারেন, আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু আমি তাওবার হুকুম আহকাম সম্পর্কে অজ্ঞ। আমার মনে কতিপয় গুনাহের ব্যাপারে অনেক প্রশ্নের উদ্রেক হয় এর সঠিক তাওবার ব্যাপারে, আল্লাহর যে সব হক নষ্ট করেছি তা পূরণ করার ব্যাপারে এবং বান্দাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে যা আমি ইতিপূর্বে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করেছি। এসব প্রশ্নের উত্তর কি আছে?
আল্লাহর পানে প্রত্যাবর্তনকারী ব্যক্তি! আপনার জন্য এসব প্রশ্নের উত্তর উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।
[প্রশ্ন নং ১]
আমি পাপ করার পর তাওবা করি অতঃপর আমার কু-প্রবৃত্তি আমার উপর বিজয়ী হয়, যার ফলে আবার পাপের পথে ফিরে আসি, এর ফলে কি আমার পূর্বের তাওবা বাতিল হয়ে যাবে এবং আমার পূর্বের ও পরের গুনাহ বাকী রয়ে যাবে?
উত্তর: তাওবা সঠিক হওয়ার জন্য শর্ত হলো পাপ থেকে পূর্ণভাবে মুক্ত হওয়া এবং এজন্য অনুতপ্ত হওয়া, পুনরায় আর তা না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়া। এরপর যদি আবার কেউ পাপ করে ফেলে তাহলে সে যেন নতুনভাবে পাপ করল, এজন্য তাকে নতুনভাবে তাওবা করতে হবে এবং তার পূর্বের তাওবা ঠিক থাকবে।
[প্রশ্ন নং ৩]
অতীতে আমি আল্লাহর হক নষ্ট করেছি, নামায পড়িনি, রোজা রাখিনি, জাকাত দেইনি, এখন আমি কি করবো?
উত্তর: নামায পরিত্যাগ করার ব্যাপারে প্রসিদ্ধ মত হলো, এর কাজা আদায় করতে হবে না। কেননা এর সময় পার হয়ে গেছে এবং তা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে বেশী বেশী তাওবা, এসতেগফার পাঠ করে, বেশী বেশী নফল নামায আদায় করে, আশা করা যায় যে মহান আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিবেন।
কিন্তু রোজা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে কথা হলো, রোজা ভঙ্গের সময় যদি সে মুসলমান থেকে থাকে তাহলে তার প্রতি প্রত্যেক রোজার জন্য একজন করে মিসকিনকে খাবার দেয়া ওয়াজিব হবে এবং পরবর্তী রমজান আসার পূর্বেই এই কাফ্ফারা প্রদান করতে হবে। এর চেয়ে দেরী করতে পারবে না যদি তার কোন শরয়ী ওজর না থাকে। পূর্বে যত দিনই বাকী আছে সবগুলোরই কাজা আদায় করতে হবে যদিও এর সংখ্যা কয়েক মাস গিয়ে পৌছে।
উদাহরণ: কোন ব্যক্তি ১৪০০ হিজরীতে ৩টি রোজা ভঙ্গ করলো এবং ১৪০১ হিজরীতে ৫টি রোজা ছেড়ে দিলো এরপর সে যদি তাওবা করে, তাহলে তাকে ৮টি রোজার কাজা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক রোজার জন্য একজন করে মিসকিনের খানা দিতে হবে।
আরেকটি উদাহরণ: এক মেয়ে ১৪০০ হিজরীতে বালেগা হলো এবং সে লজ্জা করে তার পরিবারের লোকজনকে জানালো না। সে ঐ আট দিন (বা সাতদিন মাসিকের সময়) রোজা রাখল এবং পরে এর কাজা আদায় করলো না। তাহলে তার উপর ঐ আট দিনের রোজার কাজা আদায় করা কর্তব্য হয়ে গেল। এখানে একটি বিষয় অবশ্যই অবগত থাকতে হবে যে, নামায ছাড়া ও রোজা ভঙ্গ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যা আহলে ইলমরা উল্লেখ করেছেন। ওলামাদের কেউ কেউ মনে করেন যে, কেউ যদি ইচ্ছা করে রোজা ভঙ্গ করে তবুও কাজা আদায় করতে হবে না।
কিন্তু জাকাত না দেয়া থাকলে অবশ্যই জাকাত প্রদান করতে হবে। কেননা জাকাত এক দিকে আল্লাহর হক এবং অন্য দিকে গরীব মিসকিনের হক।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন মাদারেজুস সালেকীন ১/৩৮৩।