“কতিপয় হারাম কাজ যেগুলোকে মানুষেরা হালকা মনে করে অথচ তা থেকে বেচেঁ থাকা
প্রত্যেকের ওয়াজিব”
- শায়খ
মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ
"বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম"
সমস্ত প্রসংশা
একমাত্র আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমাদেরকে অতি
সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন।
আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই,তিনি
এক ও একক,তার কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি
মুহাম্মদ(সাল্লালাহু আলাইহি অ-সাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও তাঁর রাসূল।
আল্লাহ্ তা'আলা স্বীয় বান্দাদের উপরে এমন কিছু জিনিস ফরজ করে দিয়েছেন,
যা পরিত্যাগ করা জায়েয নয়।
এমনি ভাবে তিনি
কিছু সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন যা অতিক্রম করা বৈধ নয় আর তিনি এমন কিছু জিনিস
হারাম করে দিয়েছেন যার ধারে কাছে যাওয়া ঠিক নয়।
আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআন এ বলেছেন-
"যে
আল্লাহ্ ও রাসূলের আদেশের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে- আল্লাহ্
তাকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাবেন। তথায় সে চিরস্থায়ী থাকবে আর তার জন্য
রয়েছে লাঞ্ছনাময় শাস্তি"।
সূরা- আন-নিসা
:১৪
নিচে এমন কিছু
নিষিদ্ধ বিষয় সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হলো যেগুলো পবিত্র কুরআন ও সহিহ্ হাদীসের
ভিত্তিতে নিসিদ্ধ কিন্তু আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, আর বহু সংখ্যক মুসলমান তা নির্দ্বিধায় করে চলেছেঃ
১। আল্লাহ্র
সাথে শির্ক করা,
২। কবর পূজা,
৩।
গায়রুল্লাহ্র নামে জবেহ্ করা,
৪। জাদু, ভাগ্য গণনা ও হারানো বস্তুর সন্ধান দেয়ার দাবি করা,
৫। বান্দার
পক্ষে আল্লাহ্র হিফাজত লাভের উপায়সমূহ,*
৬।
গায়রুল্লাহ্-এর নামে শপথ করা,
৭। আল্লাহ্
ছাড়া অন্য কারো নামে মানত করা,
৮। রাশিফল ও
মানবজীবনের উপর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব সম্পর্কিত বিশ্বাস,
৯। আল্লাহ যা
হালাল করে দিয়েছেন তা হারাম সাব্যস্ত ও যা হারাম করে দিয়েছেন তা হালাল সাব্যস্ত
করা,
১০। আল্লাহ্
যে সব বস্তুতে কল্যাণ রাখেননি তাতে সে কল্যাণ থাকার আকিদা পোষণ করা,
১১। লোক দেখানো
ইবাদত,
১২। অশুভ আলামত
গ্রহণ করা,
১৩। খাতির
জমানোর জন্য মুনাফিক ও ফাসিকদের সংগে উঠা-বসা,
১৪। নামাজে
ধীরস্থিরতা পরিহার করা।
১৫। নামাজের
ভিতরে বিনা প্রয়োজনে কোন কাজ করা এবং বেশি বেশি নড়াচড়া করা,
১৬। নামাজে
ইচ্ছাকৃতভাবে ইমামের আগে মুক্তাদির গমন করা,
১৭।
পিয়াঁজ-রসুন কিংবা দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস খেয়ে মাসজিদে গমন করা,
১৮। যিনা-ব্যভিচার
করা,
১৯। পুংমৈথুন
বা সমকামিতা,
২০। শার’ঈ ওজর ছাড়া স্ত্রী কতৃক স্বামীর
শয্যা গ্রহণ করতে অস্বীকার করা,
২১। যিহার,*
২২। স্ত্রীর
মাসিক অবস্থায় তার সাথে সহবাস করা,
২৩। স্ত্রীদের
মাঝে সমতা বিধান না করা,
২৪। পরনারীর
সাথে নির্জনে অবস্থান করা,
২৫। বিবাহ বৈধ
এমন নারীর সাথে মুসাফাহা করা,
২৬। সুগন্ধি
মেখে মেয়েদের বাড়ীর বাইরে যাওয়া ও পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করা,
২৭। কোন মাহরাম
আত্মীয় ছাড়া মহিলাদের একাকী সফর করা,
২৮। পরনারীর
প্রতি ইচ্ছাপূর্বক দৃষ্টিপাত করা,
২৯। দাইয়ুছী
বা নারী ও পুরুষের বেপর্দা থাকা,
৩০। পালক
সন্তান গ্রহণ ও নিজের ঔরসজাত সন্তানকে সন্তান বলে অস্বীকার করা,
৩১। সুদ খাওয়া,
৩২। বিক্রয়ের
সময় যে কোন বস্তুর দোষ গোপন করা,
৩৩। দালালী করা,
৩৪। জুম’আর দিনে জুম’আর খুতবার আজানের পর বেচা-কেনা করা,
৩৫। জুয়া খেলা,
৩৬। চুরি করা,
৩৭। জমি
আত্মসাত করা,
৩৮। নিজে ঘুষ
খাওয়া ও অপরকে ঘুষ দেওয়া।
৩৯। সুপারিশের
বিনিময়ে উপহার গ্রহণ করা,
৪০। শ্রমিক
থেকে ষোলআনা শ্রম আদায় করে তাকে পুরো মজুরি না দেয়া,
৪১।
সন্তানদের-কে উপহার প্রদানে সমতা রক্ষা না করা,
৪২। একান্ত
প্রয়োজন ছাড়া ভিক্ষা করা,
৪৩। ঋণ পরিশোধ
করার ব্যপারে গড়িমসি করা,
৪৪। হারাম
খাওয়া,
৪৫। ধূমপান করা,
৪৬। মদ পান করা
যদিও পরিমানে এক ফোঁটা হোক না কেন,
৪৭। সোনা-রূপার
পাত্র ব্যবহার করা আর তাতে পান করা,
৪৮। মিথ্যা
সাক্ষ্য দেওয়া,
৪৯।
বাদ্যযন্ত্র বাজানো ও গান শোনা,
৫০। গীবত ও
গীবতকারীর পরিণতি,
৫১। চোগলখুরি
করা,
৫২। অনুমতি
ছাড়া অন্যে কারো বাড়ীতে প্রবেশ করা ও উঁকি দেয়া,
৫৩। তৃতীয়জনকে
বাদ দিয়ে শুধু দুজনে পরামর্শ করা,
৫৪। টাখনুর
নিচে কাপড় পরা,
৫৫। দাড়ি
মুন্ডানো/সেইভ করা,
৫৬। পুরুষদের
স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার করা,
৫৭। মহিলাদের
খাটো, পাতলা ও টাইট-ফিট পোষাক পরিধান করা,
৫৮। পরচুলা
ব্যবহার করা,
৫৯।
পোষাক-পরিচ্ছদে, কথা-বার্তায় ও বেশ-ভূষায়
নারী-পুরুষ একে অপরের বেশ ধারণ করা,
৬০। পাকা চুলে
কাল খেজাব/কলপ্ ব্যবহার করা,
৬১। কাপড়, দেয়াল বা কাগজ ইত্যাদিতে কোন প্রাণীর ছবি অংকন করা,
৬২। মানুষের
নিকট মিথ্যা স্বপ্ন বলা,
৬৩। কবরের উপর
বসা, কবর পদদলিত করা এবং কবরস্থানে
পেশাব-পায়খানা করা।
৬৪। পেশাব থেকে
অসতর্ক থাকা,
৬৫। লোকদের
অপছন্দ সত্ত্বেও গোপনে তাদের আলাপ-আলোচনা শ্রবণ করা,
৬৬। অসৎ
প্রতিবেশী,
৬৭। অছিয়ত
দ্বারা কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করা,
৬৮। তাস্ ও
দাবা খেলা,
৬৯। কোন মু’মিনকে অভিশাপ দেওয়া এবং যে অভিশাপ
পাওয়ার যোগ্য নয় তাকে অভিশাপ দেওয়া,
৭০। বিলাপ ও
মাতম করা,
৭১। মুখমন্ডলে
আঘাত দেওয়া ও দাগ দেওয়া,
৭২। একমাত্র শর’ঈ কারণ ছাড়া তিন দিনের উর্ধ্বে
কোন মুসলমানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা।
হে আল্লাহ্
আমাদের প্রত্যেককে এইসমস্ত হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।।
* প্রতিটি
বিষয় সম্পর্কে কুরআন-হাদিসের রেফারেন্স সহ বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক থেকে
মাত্র ৭.৭৫ মেগাবাইটের “কতিপয় হারাম কাজ যেগুলোকে মানুষেরা হালকা মনে করে অথচ তা থেকে বেচেঁ থাকা
প্রত্যেকের ওয়াজিব” বইটি ডাউনলোড করে নিন।
http://islamicsheba.com/archives/784
http://www.mediafire.com/download/z2a1y5sbscxuazs/kotipoy_haram_kaj_.pdf