বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

তাবলীগ জামাত ও কবর মাযার পূজার শিক্ষা

তাবলীগ জামাত ও কবর মাযার পূজার শিক্ষাঃ

বি ইজনিল্লাহি তাআলা, চলুন আজকে আমরা প্রমান করে দেই তাবলীগ জামাতের লোকেরা #কবর_মাযার_পূজার কিচ্ছা প্রচার করে, কারণ তাদের #ভেজাল_কিতাবগুলোতে তাদের বুজুর্গরা এইগুলো লিখে রেখেছে!

#বড়_লেখা দেখে সম্পূর্ণ লেখা না পড়ে এড়িয়ে যাবেন না। শিরক কি জানুন শিরকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

#সম্পূর্ণ লেখা না পড়ে কমেন্ট করা নিষিদ্ধ।

#দলীল_বিহীন গালিগালাজ করে নিজের জন্মের পরিচয় না দিলেই ভালো। হক্ক কথা মেনে না নিয়ে গালি দিয়ে শিরক-বেদাতের দালালী করে কাল কেয়ামতের দিন পার পাবেন না।
__________________________

তাবলীগ জামাতের লোকেরা চায় ইসলামের দাওয়াত দিতে, কিন্তু তারা দাওয়াত ও তাবলীগ নাম দিয়ে মারাত্মক #সূফীবাদী_বেদাতী দল #দেওবন্দী_মাদ্রাসার আকীদা ও তাদের পথভ্রষ্ট মুরুব্বীদের দিকে দাওয়াত দেয়। সরলমনা মুসলমান, যারা দ্বীন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, ক্বুরান ও হাদীস সম্পর্কে, ইসলামী আকীদা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকার কারণে, তাবলীগ জামাতের লোকদের মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে তারা ধোঁকা খায়। তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে দেওবন্দী মুরুব্বীরা কি কৌশলে শিরকি-কুফুরীর সূফীবাদী কিচ্ছা-কাহিনী প্রচার করে যাচ্ছে, এটা ধরতে পারেনা।

তাবলীগ জামাতের লোকেরা ক্বুরান হাদীস বুঝে পড়েনা, বছরের পর বছর ধরে ফাজায়েল নামে কিচ্ছা-কাহিনী ও জাল জয়ীফ দিয়ে ভর্তি বেদাতী কিতাবে সবক দেয়। সেইজন্য তাদের দলের লোকেরা না জেনে মিথ্যা, বানোয়াট ও আজগুবী শিরকি কিচ্ছা কাহিনী প্রচার করে। আফসোসের বিষয় হচ্ছে অজ্ঞ এই লোকগুলো কোনদিন চিন্তা করেনা, কত বড় শিরকি কথাবার্তা প্রচার করে উম্মতকে বিভ্রান্ত করে কি ক্ষতি তারা করছে।

সামনে #হজ্জের মৌওসুম উপলক্ষে তাবলীগ জামাতের লোকেরা তাদের মুরুব্বী, মাওলানা #জাকারিয়া_সাহেবের লেখা #ফাজায়েলে_হজ্জ নামে একটা কেতাব অনেক মসজিদে পড়ানো শুরু করেছে, যা তাবলীগ জামাত ভক্ত সবাই জানে।

ফাযায়েলে হজ্জ নামে মারাত্মক বেদাতী এই বইটার পাতায় পাতায় ক্বুরান ও সুন্নাহ বিরোধী, আজগুবী, বানোয়াট, শিরকী, কুফুরী ও বেদাতী কথাবার্তা ও ভুয়া কিচ্ছা দিয়ে ভর্তি। অমুক বুজুর্গ এটা বলে, অমুক সূফী সাপের কেরামতী, কিচ্ছা এইরকম নামে দলীল বিহীন বানোয়াট কাহিনীগুলোর কোন রেফারেন্স দেওয়া নেই। এই বই দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যারা হজ্জের উদ্দেশ্যে যায়, তাদেরকে কবর-মাযার পূজার কিচ্ছা পড়ানো হচ্ছে।

এই কাহিনীগুলোর মাঝে অনেক কাহিনী আছে যেইগুলোতে ডাইরেক্ট কবর মাযার পূজার কাহিনী বলা আছে। কবরের কাছে গিয়ে মৃত মানুষের কাছে টাকা পয়সা চাওয়া, খাবার চাওয়া, বিপদে পড়ে ডাইরেক্ট কবরওয়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া এইরকম সরাসরি বড় শিরকি কাহিনী লিখে রেখেছে কথিত শায়খুল হাদীস নামের মাওলানা জাকারিয়া সাহেব।

নিচে এইরকম অসংখ্য শিরকি কাহিনী থেকে ২টি উদাহরণ তুলে ধরা হলো। কবর-মাযার পূজা বলতে আসলে কি বোঝায়, সহজ ভাষায় সংক্ষিপ্তভাবে নিচের এই পোস্ট দেখুন আশা করি ইন শা আল্লাহ দিনের আলোর মতো সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।

মাযার পূজা, পীর পুজা - ২টাই হচ্ছে শিরক
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/posts/805143942851688

#উদাহরণ
ফাজায়েলে হজ্জ, ১৩৮ পৃষ্ঠা।
মূল লেখক মাওলানা জাকারিয়া সাহেব, কাকরাইলে মুরুব্বীদের অনুমতি ও দোয়া নিয়ে অনুবাদ করেছেন মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ, প্রকাশনী তাবলিগি কুতুবখানা ৫০ বাংলাবাজার ঢাকা, ফোন ৭১২৩৫৩৮।

শায়েখ আবুল খায়ের বলেন, একবার মদীনা মোনাওয়ারায় হাজির হইয়া পাঁচ দিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস থাকতে হয়। খাওয়ার জন্য কিছুই না পেয়ে অবশেষে আমি হুজুর (রাসুল সাঃ কে তারা হুজুর নামে ডাকে, এই নামে ডাকা জায়েজ না) এবং শায়ইখানের (আবু বকর ও উমার রাঃ কে শায়খান বলা হয়) কবরের মধ্যে সালাম পড়িয়া আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আজ রাতে আপনার মেহমান হবো।
এই কথা আরজ করে মিম্বর শরীফের নিকট গিয়ে আমি শুইয়া পড়লাম। স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ) তাশরীফ এনেছেন। ডানে হযরত আবু বকর, বাম দিকে হজরত ওমর এবং সামনে হজরত আলী রাঃ । হযরত আলী রাঃ আমাকে ডেকে বলেন, এই দেখ, হুজুর সাঃ তাশরীফ এনেছেন । আমি উঠা মাত্রই মহানবী সাঃ আমাকে একটা রুটি দিলেন, আমি অর্ধেক খেয়ে ফেলি তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন আমার হাতে বাকী অর্ধেক ছিল (রুটি অবশিষ্টাংশ) ।
সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ, ১৩৮ পৃষ্ঠা।

সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা!!
=> আল্লাহকে ছেড়ে মৃত্যুর পর নবীর রওজায় (কবরে) গিয়ে খাদ্যের জন্য দুয়া করা স্পষ্ট শিরক নয় কি?

=> মৃতুর পর নবী কবরে থেকেও খাওয়াতে পারেন এ আক্বিদাহ পোষন করা শিরক নয় কি??

=> এই রকম শিরকী আকিদাহ কি মানুষকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়, নাকি জাহান্নামের দিকে???

অথচ মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেছেনঃ ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর।
সূরা হুদঃ ৬।
______________________

উদাহরণ
তাবলীগ জামাতের লেখক মাওলানা জাকারিয়া কান্ধলবী সাহেব কর্তৃক লিখিত, তাবলিগ জামাতের মূল পাঠ্যসূচি, ফাযায়েলে সাদাকাতে কবর-মাযার পূজার শিক্ষাঃ

মিশরে একজন নেক বখত লোক ছিলেন। অভাবগ্রস্ত হইয়া কোন এক লোক তাহার নিকট আসিলে তিনি চাঁদা উসুল করিয়া তাহাকে দিয়া দিতেন। একদা জনৈক ফকির তাহার নিকট আসিয়া বলিল আমার একটা ছেলে হইয়াছে, তাহার এছলাহের ব্যবস্থার জন্য আমার নিকট কিছুই নাই। এই ব্যাক্তি উঠিল ও ফকিরকে অনেক লোকের নিকট লইয়া গিয়াও ব্যর্থ হইয়া ফিরিল। অবশেষে নৈরাশ হইয়া একজন #দানবীর_ব্যাক্তির_কবরের_নিকট_গিয়া (!) সমস্ত কথা তাহাকে শুনাইল। রাত্রি বেলায় সেই লোকটি কবরওয়ালাকে স্বপ্নে দেখিল যে, সে বলিতেছে, আমি_তোমার_যাবতীয়_অভিযোগ_শুনিয়াছি(!), কিন্তু বলিবার অনুমতি দেওয়া হয় নাই। তুমি আমার ঘরে গিয়া পরিবারস্থ লোকদিগকে বল ঘরের অমুক অংশে যেখানে চুলা রহিয়াছে, উহার নিচে একটা চিনা বরতনে পাঁচশত আশরাফী রহিয়াছে তাহারা যেন উঠাইয়া সেই ফকিরকে দিয়া দেয়
ফাজায়েলে সাদাকাত, মাওলানা জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক ছাখাওয়াত উল্লাহ; ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নঃ- ৩২২; তাবলিগী কুতুবখানা ১৪২৬ হিজরী।
___________________________

মন্তব্যঃ নেককার লোকদের কবরের কাছে গিয়ে তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া, দুয়া করা, এটাই হচ্ছে কবর-মাযার পূজা। জাকারিয়া সাহেব ফাযায়েলে সাদাকাত নাম দিয়ে ভুয়া কাহিনী প্রচার করে এই শিক্ষাই দিলেন যে - এইভাবে কবরের কাছে প্রার্থনা করা জায়েজ আর এইভাবে কবরবাসীর কাছে সাহায্য চেয়ে নাকি উপকৃতও হওয়া যায় (নাউযুবিল্লাহ - ডাহা শেরেক)!
____________________________

=> তাবলীগ জামাত ও জামাতে ইসলামীর উপরে শায়খ আব্দুর রাক্বীব এর পর্যালোচনা (সংক্ষেপে)


জামাতে ইসলামী তাবলিগ জামাত এই দুইটি দলের মূল সমস্যাটা কোথায়?
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/05/blog-post_15.html

=> তাবলীগ জামাত এর উপরে শায়খ মুজাম্মেল আল-হক্ক এর গবেষণাধর্মী বিশ্লেষণ (বিস্তারিত)

http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/06/blog-post_6404.html

=> তাবলিগ জামাতের সাথে চিল্লা দেওয়া যাবে কিনা এনিয়ে আল্লামাহ, শায়খ ফাউজানের ফতোয়ার লিংক, উল্লেখ্য শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম, শায়খ বিন বাজ, শায়খ আলবানী, শায়খ ফাউজান সহ আরব বিশ্বের বড় বড় ওলামারা তাবলীগ জামাতের গোমরাহীর কারনে সৌদি আরবে তাদের কার্যক্রম ব্যন করে দিয়েছেন।

http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/04/blog-post_2743.html

=> তাবলীগ জামাত ও তাদের মূল দেওবন্দীদের আরো কিছু শিরকি কাহিনীর পোস্ট-মর্টেম দেখুন এই পোস্টেঃ

বাংলাদেশী দেওবন্দী আকাবির (বুজুর্গদের) মাঝে শিরকের প্রাদুর্ভাব
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/05/blog-post_27.html
___________________

(সমাপ্ত)