এমন
কিছু কাজ আছে যা করলে ওযু নষ্ট হয়ে যায়, নামায পড়ার জন্যে আবার নতুন করে ওযু করে নিতে
হয়। অনুরূপভাবে এমন কিছু কাজ আছে যা করলে মানুষের ঈমান নষ্ট হয়ে সে কাফের, মুশরেক বা
মুর্তাদ হয়ে যায়। কোন মুসলমান যদি এমন ঈমান ভংগকারী কোন কাজ করে ফেলে, তাকে সাথে সাথে
আন্তরিক তোওবা করে পুনরায় ঈমান নবায়ন করে নিতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান মুসলমানেরা
ওযু ভংগকারী কারণ জানে, কিন্তু কি করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে তা জানেনা। আজকে আমি ঈমান
ভংগকারী ২টি কারণ উল্লেখ করছি, যা অনেক মুসলমানেরাই করে যাচ্ছে অবলীলায়ঃ
১.
দ্বীনের কোন বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করাঃ
দ্বীনের
কোন বিষয়, চাই সেটা ফরয, সুন্নত, নফল, হালাল হারাম যাই হোক না কেনো, সেটা নিয়ে হাসি
ঠাট্টা করা কুফুরী এবং মুনাফেকের কাজ। যেমন কেউ যদি দাঁড়ি-টুপি, হিজাব-পর্দা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা
করে, পুরুষদের একাধিক বিয়ে করার অনুমতি থাকা এমন দ্বীনের কোন বিষয়কে হেয় করে কোন কথা
বলে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। যদি তোওবা করে ঈমান না আনে, তাহলে সে চির জাহান্নামী
হবে।
২.
দ্বীনের কোন বিষয়কে ঘৃণা করাঃ
অনুরুপভাবে
দাঁড়ী রাখলে অপরিষ্কার দেখা যায়, টাখনুর উপরে কাপড় পড়লে খ্যাতের মতো দেখা যায়, হিজাব-নিকাব
পড়লে জেলখানা দেখা যায়, রজম বা বিবাহিত জিনাকারীকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা বা চোরের শাস্তি
হাত কেটে দেওয়াকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলা - এমন দ্বীনের কোন বিষয়, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন
সেইগুলোর কোন একটাকে ঘৃণা করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।