‘ওহদাতুল
ওজুদ’ হচ্ছে একটি জঘন্য শিরকি ও কুফুরী মতবাদ, যার
অর্থ হচ্ছেঃ খালিক্ব (সৃষ্টিকর্তা) এবং মাখলুক্ব আলাদা কোন কিছু নয়, এক। সৃষ্টিকর্তা
এবং সমগ্র সৃষ্টির অস্বিত্ব এক ও অভিন্ন, স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির মাঝেই অবস্থান করেন।
এই মতবাদের পক্ষে সবচাইতে বেশি অবদান হচ্ছে মহিউদ্দিন ইবন আরাবী (১১৬৫-১২৪০
খ্রিস্টাব্দ) নামক একজন পথভ্রষ্ট সূফী, যে কোটি কোটি মুসলমানদেরকে এই শিরকি মতবাদ
শিক্ষা দিয়ে তাদের ঈমান নষ্ট করেছে। ইবনে আরাবী বিশ্বাস করতো,
“স্রষ্টা
মানুষের মাঝে বসবাস করেন।’’
ইবন আরাবীর লেখা আল-ফুতুহাত আল-মাক্কিয়াহঃ ২য় খণ্ড; ৬০৪ পৃষ্ঠা।
জঘন্য শিরকী মতবাদ প্রচার করার কারণে সমস্ত আলেম ওলামা ইবনে আরাবীকে কাফের,
যিন্দিক (বেদ্বীন) এবং ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদের চাইতে নিকৃষ্ট বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
একজন হানাফী আলেম,
মোল্লা আলী কারী (রহ.) ইবনে আরাবীকে কাফের ঘোষণা করেছেনে এবং তাকে
এবং তার অনুসারীদেরকে সালাম দিতে এবং তাদের সালামের জবাব দিতে নিষেধ করেছেন। মোল্লা আলী কারী হানাফী (রহ.) বলেন,
“সুতরাং
আপনি যদি সত্যিকার মুসলিম এবং ঈমানদার হন, তবে ইবনে আরাবী এবং তার
দলের কুফুরী সম্পর্কে সন্দেহ করবেন না এবং তাদের পথভ্রষ্টতা এবং অজ্ঞ পথভ্রষ্ট
দলের মধ্যে আবদ্ধ হবেন না। যদি প্রশ্ন করা হয় তাদেরকে কি আগে সালাম দেওয়া জায়েয?
আমি বলবো, না এবং তাদের সালামের উত্তর দেওয়াও
জায়েয না। বরং আলাইকুম পর্যন্ত বলবেন না, কারণ তাদের শয়তানী
ইহুদী ও খ্রীস্টানদের চাইতেও মারাত্মক, এবং তাদের সম্পর্কে
ফাতাওয়া হলো তারা পাষন্ড কাফেরের দল। যে সমস্ত বই তারা লিখেছে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা
ওয়াজিব এবং তাদের শয়তানী এবং ভন্ডামী সবার নিকট প্রকাশ করা উচিত। তাদের সম্পর্কে
আলেমদের নীরবতা এবং কিছু বর্ণনাকারীর মতোবিরোধ এই ফিতনার কারণ হয়ে গেছে।”
রাদ
আলাল ক্বাআ’লীন বি-ওয়াহদাতুল ওজুদঃ ১৫৫-১৫৬ পৃষ্ঠা । আরো দেখুন -
কুফুরী আকীদার ইবন আরাবী দেওবন্দীদের কাছে মহান শাইখ!!!
https://www.facebook.com/notes/708815065913182/
“হুলুল” এবং “ওয়াহদাতুল ওজুদ” আক্বীদাহ কি?
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2015/08/blog-post_47.html
মানসুর হাল্লাজ প্রসংগে.....
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/08/blog-post_48.html