ক্বুরানুল
কারীমে প্রশংনীয় হৃদয় নিয়ে আয়াত
(১)
ক্বালবিং সালিম। অর্থঃ সুস্থ অন্তর, clean hear, pure heart.
সাইয়্যিদিনা
ইব্রাহীম আ’লাইহিস সালাম এই বলে দুয়া করেছিলেন, “(হে
আল্লাহ!) পুনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যেই দিনে কারো ধন-সম্পদ ও
সন্তান সন্ততি তার কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে ক্বালবিং সালিম (সুস্থ অন্তর)
নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে (শুধুমাত্র সে-ই মুক্তি পাবে)।” সুরা
আশ-শু’আরাঃ
৮৭-৮৯।
ক্বালবিং
সালিম বা সুস্থ অন্তর হচ্ছে শিরক, কুফুরী ও নিফাক মুক্ত, অন্তরের ব্যধি যেমন,
রিয়া, সম্মান-মর্যাদার প্রতি মোহ থেকে মুক্ত, হারাম ও পাপাচারের প্রতি আসক্তিহীন,
নেককার লোকদের অন্তর।
(২)
নাফসুল মুতমা-ইন্না। অর্থঃ যার হৃদয়টা প্রশান্ত ও সন্তুষ্ট, one who is in
(complete) rest and satisfaction.
বিচার
দিনে হিসাব-নিকাশের পর যারা দুনিয়ার জীবনের পরীক্ষায় পাশ করে জান্নাতে যাওয়ার
উপযুক্ত বলে প্রমানিত হবে, আল্লাহ তাআ’লা তাদেরকে এই বলে
জান্নাতে প্রবেশের জন্য আহবান জানাবেনঃ
“হে
‘নাফসুল
মুতমা-ইন্না’ (প্রশান্ত হৃদয়)! তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে এমনভাবে ফিরে
যাও, যেন তুমি তার উপরে সন্তুষ্ট এবং তিনিও তোমরা উপর সন্তুষ্ট। আর আমার (নেককার)
বান্দাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হও এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ করো।” সুরা
আল-ফাজরঃ ২৭-৩০।
(৩)
নাফসুল লাওয়্যামা। অর্থঃ এমন হৃদয় যে নিজেকে ধিক্কার দেয় বা নিজের সমালোচনা করে, self-reproaching
person.
আল্লাহ
তাআ’লা
বলেন, “(আমি
আরও শপথ করি) সেই হৃদয়ের, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়।” সুরা আল-ক্বিয়ামাহঃ ২।
আল্লাহ
তাআ’লা
এই সুরাতে যে ব্যক্তি নিজেকে ধিক্কার দেয়, তার শপথ করেছেন। আল্লাহ যখন কোন কিছুর
শপথ করেন, তখন এর দ্বারা তার গুরুত্ব ও মর্যাদা বোঝান। যে ব্যক্তি ঈমানদার, সে
নিজের কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়। কিন্তু কাফের কখনো তার কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়না, বরং
সর্বদা অহংকার করে বেড়ায়। এখানে আল্লাহ তাআ’লা মুমিনদের একটা
প্রশংসনীয় গুণ, নিজের কাজের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং নিজেকে ধিক্কার দেওয়াকে উল্লেখ
করে আসলে মুমিনদের মর্যাদা ও গুণের কথা উল্লেখ করেছেন।