রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

দ্বীনের ভেতরে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা জরুরী

দ্বীনের ভেতরে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা জরুরী!!
কথা সত্য।
.
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মধ্যম পন্থা বলতে আপনি কি বোঝেন??
.
ফজরের আজান হয়ে যাবার পরেও ছেলে ঘুমিয়ে থাকে; আর পিতা তার ছেলের গায়ের কাঁথা ঠিক করে দিয়ে মাসজিদে রওয়ানা দেন!! এটাইকি মধ্যমপন্থা??
.
মেয়ে রোজা রাখেনা, আর মা বলেন রোজা রাখলে মেয়ে শুকিয়ে যাবে! এটাইকি মধ্যমপন্থা??
.
আপনার সামনেই লোকজন শিরক বি'দআত করতে থাকে আর আপনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে ওজুহাত দিয়ে চুপ করে বসে থাকেন! এটাইকি মধ্যমপন্থা??
.
সামাজিকতা রক্ষা করতে যেয়ে পূজার প্রসাদ খাওয়া শুরু করাটাওকি ঐ মধ্যম পন্থার মধ্যেই পরে??
.
জ্বীনা, এগুলো মধ্যমপন্থা নয়। এগুলা হচ্ছে শয়তানী পন্থা।
.
মধ্যম পন্থা হচ্ছে ছেলেকে স্বলাত আদায়ে বাধ্য করা, মেয়েকে রোজা রাখতে বাধ্য করা, শিরক বিদ'আত বর্জন করা।
.
আপনার অধীনস্তদেরকে ইসলাম পালনে আপনাকে বাধ্য করতেই হবে। তবে যারা আপনার অধীনস্থ নয় তাদেরকে আপনি জোর করতে পারবেন না, তবে সত্য দাওয়াত দিতেই হবে। এটাই হচ্ছে মধ্যম পন্থা।
.
মধ্যম পন্থা হচ্ছে সেটাই যা রসূল (সঃ) করে দেখিয়ে গেছেন, তাঁর সাহাবারা করে দেখিয়ে গেছেন।
.
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা জরুরী। তবে তা কিভাবে করতে হয় তা স্বয়ং রসূল (সঃ) করে দেখিয়ে গেছেন। কাজেই মধ্যম পন্থা শিখতে হবে রসূল (সঃ) এর সুন্নাহ্ থেকেই।
.
কুরআন সুন্নায় যা করতে নির্দেশ দেয়া আছে তা পালন করা এবং যা বর্জন করতে বলা হয়েছে তা বর্জন করার নাম ই হচ্ছে মধ্যমপন্থা।
.
মধ্যমপন্থার সংগা দিতে গিয়ে মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ফাতওয়া গ্রন্থে বলেনঃ
.
"দ্বীনের ভিতর মধ্যম পন্থা অবলম্বনের অর্থ এই যে, মানুষ দ্বীনের মধ্যে কোন কিছু বাড়াবে না, যাতে সে আল্লাহ্'র নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে ফেলে।
.
এমনিভাবে দ্বীনের কোন অংশ কমাবে না, যাতে সে আল্লাহ্'র নির্ধারিত দ্বীনের কিছু অংশ বিলুপ্ত করে দেয়।"
.
তিনি আরো বলেন, "সঠিক পথের অনুসারী হলো সেই ব্যক্তি যে রসূল (সঃ) এবং খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাহ্'র উপর চলবে।"
.
কাজেই ইসলামের কোন নির্দেশনা ছাড়া যাবেনা এবং কোন কিছু বর্ধিত করা যাবেনা। ঠিক তেমনভাবেই ইসলাম পালন করতে হবে, যেমনভাবে রসূল (সঃ) এবং তাঁর সাহাবীগণ পালন করতেন। আর এটাই হচ্ছে সত্যিকারের মধ্যম পন্থা।
.
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে সঠিকটা বুঝার এবং তা আমল করার তৌফিক দান করুক, আমীন।

post written by - Abdullah Tushar