শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

৫ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে রোযা ও কুরবানি কবুল হবে কি?

প্রশ্নঃ ৫ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে রোযা ও কুরবানি কবুল হবে কি?
উত্তরঃ না হবেনা, কারণ যে ব্যক্তি বিনা কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায যে পড়েনা সে মুসলিম নয়, সে কাফের। আর কাফেরের কোন নেক আমল আল্লাহ কবুল করেন না। এমন কারো সাথে মেয়ে বিয়ে দেওয়া জায়েজ নয়। বেনামাযি ব্যক্তিকে নামায ত্যাগ করার কুফুরী থেকে তোওবা করে ঈমান আনতে হবে, ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করার জন্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং নিয়মিত নামায পড়তে হবে। এরপর সে যদি রোযা, দান-সাদাকা বা কুরবানির মতো কোন নেক আমল করে, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ সেটা কবুল করবেন।
বেনামাযি মুসলিম নয়, কাফের বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আপনারা ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহর ফতোয়া আরকানুল ইসলাম বইয়ের সালাত অধ্যায়ে ১৯০, ১৯১ এবং ১৯২ নং ফতোয়াগুলো দেখুন। আর আপনাদের সংক্ষিপ্তভাবে ধারণা লাভের জন্যে স্থায়ী ফতোয়া কমিটি, আল-লাজনাহ আদ-দাইয়িমাহর ফতোয়ার অনুবাদ দেওয়া হলো।
_____________________________
প্রশ্নঃ বেনামাযীর পাপের কাফফারা কি?
উত্তরঃ মুকাল্লাফ ব্যক্তি, অর্থাৎ যার উপরে শরয়ী শাস্তি প্রদান করার মতো শর্ত পূরণ হয়, এমন কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ত্যাগ করে সে কাফের ও মুর্তাদ বলে গণ্য হবে। শুধুমাত্র তোওবা করে নামায কায়েম করলেই তার এই গুনাহ থেকে ক্ষমা পাবে।
কারণ হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলা সুরা তাওবায় এরশাদ করেছেনঃ
 فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ
অবশ্য তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই।
সুরা আত-তাওবাঃ আয়াত ১১।
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা দ্বীনি ভ্রাতৃত্ব বা, কারো মুসলিম হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হিসেবে নামায কায়েম করাকে উল্লেখ করেছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
 العهد الذى بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد نفر
আমাদের ও তাদের (কাফের/মুশরিকদের) মাঝে প্রথম চুক্তি হচ্ছে নামায। সুতরাং, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল সে কুফরী করল।
হাদীসটি ইমাম আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন।
আল্লাহ আমাদেরকে সফলতা দান করুন। আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তার পরিবার ও তার সাহাবীদের প্রতি শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন।
- ফতোয়া আল-লাজনাহ আদ-দাইয়িমাহ।
সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় ফতোয়া কমিটির ফতোয়া নম্বরঃ ১৬৪৮৪।
ফতোয়া কমিটির সম্মানিত মুফতীরা হচ্ছেনঃ
১. শায়খ আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাজ (রহঃ)
২. শায়খ আব্দুল আজিজ আলে-শায়খ (হাফিঃ)
৩. শায়খ সালিহ আল-ফওজান (হাফিঃ)
৪. শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে গুদায়্যান (রহঃ)

৫. শায়খ বাকর আবু জায়েদ (রহঃ)