আনোয়ার আল-আওলাকির ‘মানহাজ’ কি ছিলো?
___________________________
জনপ্রিয় এমেরিকান বক্তা আনোয়ার আল-আওলাকি,
যাকে তার ভক্তরা ‘ইমাম আওলাকি’ বলে ডাকে, তার প্রকৃত মানহাজ ছিলো ‘তাকফিরী কুতুবী’ মানহাজ। আওলাকি এবং
বাংলাদেশের ‘জেএমবি’ আর ইরাকের ‘আইসিস’ এদের সবার root
disease same. সাধারণত অল্প বয়ষ্ক ছেলেরা খুব সহজেই আওলাকির হৃদয় গলানো লেকচার শুনে
নিজের অজান্তেই কুতুবি মানহাজের দিকে আকৃষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত ‘খারেজী আকীদাহর’ গর্তে গিয়ে পড়ে। এমনই
কিছু ছেলেদের দ্বারা পরিচালিত একটা ফেইসবুক পেইজ হচ্ছে ‘Rais Drops’ যার উদ্দেশ্য হচ্ছে
আওলাকির লেখা অনুবাদ করে প্রচার করা। দুঃখজনকভাবে কিছু অল্প বয়ষ্ক ছেলে নিজেদেরকে আহলে
হাদীস দাবী করে, কিন্তু তাকফিরী কুতুবীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখে, তাদেরকে প্রমোট করে।
এমন কুতুবী ও আধ-কুতুবী ব্যক্তি এবং সংগঠন - দুটোই বর্জনীয়।
___________________________
বিদআ’তি কোন ব্যক্তির ওয়াজ
বা লেকচার শোনা, তার লেখা বই-পুস্তক পড়া বা তার কাছ থেকে ‘ইলম’ নেওয়ার হুকুমঃ
ইমাম আল-বারবাহারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“কোন বাক্তির মাঝে বিদআ’ত প্রকাশ পেলে, তুমি
তার কাছ থেকে সাবধান থেকো। কেননা, সে যা প্রকাশ করে, তা অপেক্ষা সে যা গোপন করে তা
অনেক বেশী ভয়ংকর।”
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]
___________________________
ওলামাদের সতর্কবানী সত্ত্বেও, শুধুমাত্র
প্রিয় বক্তা বা লেখকের প্রতি অন্ধ ভালোবাসার কারণে বিদআ’তির কাছ থেকে ইলম নেওয়ার
ভয়াবহ পরিণতিঃ
১ ফুযাইল ইবনে আইয়ায রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“তুমি কোন আহলুল বিদআ’হর লোকের সাথে বসবেনা।
আমি ভয় করি যে, তুমি যদি কোন বিদআ’তির সাথে বসো, তাহলে
আল্লাহর অভিশাপ তোমার উপরেও আসবে।”
২ ইমাম সুফিয়ান আস-সাউরি রাহিমাহুল্লাহ
বলেন, “যে ব্যক্তি একজন বিদআ’তির কথা শ্রবণ করে,
সে আল্লাহর হেফাজত থেকে নিজেকে বের করে নিলো, এবং তাকে তার উপরেই ছেড়ে দেওয়া হবে।”
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]
___________________________
বিঃদ্রঃ যারা কুতুবী মানহাজ কি জানেন
না, তারা প্রথমে কুতুবী মানহাজ কি সেটা জানুন, এরপর আওলাকির সাথে মিলিয়ে দেখুন। না
জেনেই অহেতুক তর্ক করে সময় নষ্ট করবেন না।