বিসমিল্লাহ। আলহা’মদুলিল্লাহ।
ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ’লা
রাসুলিল্লাহ।
আম্মা বাআ’দু।
_________________________
মহান আল্লাহ তাআ’লা
বলেন,
আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।
_________________________
“আমি
তোমাদেরকে (নারী এবং পুরুষ) জোড়া হিসেবে সৃষ্টি করেছি।”
সুরা নাবাঃ ৮।
_________________________
“তোমাদের
স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ আর তোমরা তাদের জন্যে পোশাকস্বরূপ।”
সুরা বাক্বারাহঃ ১৮৭।
_________________________
“আর
(আল্লাহ তাআ’লার) এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই
তোমাদের জন্যে সংগিনী (স্ত্রীদেরকে) সৃষ্টি করেছেন, যাতে
তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের (স্বামী এবং স্ত্রীদের) মাঝে
পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করে দিয়েছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল ব্যক্তিদের
জন্যে (আল্লাহর) নিদর্শনাবলী রয়েছে।”
সুরা রুমঃ ২১।
_________________________
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন,
“এমন
দুইজন যারা একজন আরেকজনকে ভালোবাসে,
তাদের জন্যে বিয়ের মতো এমন আর কিছু হয়না।”
সুনানে ইবনে মাজাহ।
_________________________
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
“এ
পৃথিবীর পুরোটাই হচ্ছে ভোগ-বিলাস ও আনন্দ উল্লাসের সামগ্রী। তার মাঝে সর্বোত্তম
সম্পদ হচ্ছে নেক ও সৎকর্মপরায়ণ স্ত্রী।”
সহীহ মুসলিম।
_________________________
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
“চারটি
জিনিস হচ্ছে সৌভাগ্যের নিদর্শনঃ
ক. নেককার স্ত্রী,
খ. প্রশস্ত বাসস্থান, গ. উত্তম প্রতিবেশী ও ঘ.
আরামদায়ক যানবাহন।
আর চারটি জিনিস হচ্ছে দুর্ভাগ্যের নিদর্শনঃ
ক. খারাপ স্ত্রী,
খ. সংকীর্ণ বাসস্থান, গ. খারাপ প্রতিবেশী ও ঘ.
মন্দ যানবাহন।
মুসনাদে আহমাদঃ ২৪৪৫,
ইবনে হিববানঃ ৪০৩২; হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লা, সিলসিলাহ ছহীহাহঃ ২৮২;
ছহীহুল জামেঃ ৮৮৭।
_________________________
আল্লামাহ শায়খ সালেহ আল-ফাউজান হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন,
“যে
ব্যক্তি খালি বাড়িতে ফিরে আসে এবং যার স্ত্রী নেই, সে একটা কঠিন জীবন পরিচালনা
করা, যদিও সে বাড়িটা সম্পদ ও আনন্দের বস্তু দ্বারা পূর্ণ
থাকে।”
আল-ইত্তিহাফঃ ৮৫৭ পৃষ্ঠা।
______________________
ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন রাহি’মাহুল্লাহ বলেন,
“মানুষের
রিজিক যেমনিভাবে পূর্বেও লিপিবদ্ধ করা করা হয়েছে, ঠিক তেমনি বিবাহ করাও
পূর্বেই নির্ধারিত করা রয়েছে। এই পৃথিবীতে কে কার স্বামী বা স্ত্রী হবে, সেটাও নির্দিষ্ট করা রয়েছে। আসমান জমিনের কোন কিছুই আল্লাহর কাছে গোপন নয়।”
ফাতাওয়া আরকানুল ইসলামঃ ঈমান অধ্যায়, প্রশ্ন নং-৬২।
_________________________
ই’বাদুর রহমান বা, যারা রহ’মানের বান্দা তারা এই বলে দুয়া করে,
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا
قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণঃ রাব্বানা হাবলানা মিং আযওয়াজিনা ওয়া মং যুররিয়্যাতিনা
ক্বুররাতা আ’য়ুনিন্। ওয়াজ্-আ’লনা লিল মুাত্তাক্বীনা ইমামা।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের ও সন্তানদেরকে আমাদের জন্যে
চোখের শীতলতা স্বরূপ করে দাও,
এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে ইমাম (আদর্শ) বানাও।
সুরা ফুরক্বানঃ ৭৪।
_________________________