মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১৬

আপনার দ্বীন সম্পর্কে জানুন

আলহামদুলিল্লাহ।
(১) ওযুর পানি পবিত্র, কারো নিজের না অন্য কারো ওযুর পানি গায়ে বা কাপড়ে লাগলে কোন সমস্যা নেই।
(২) কারো স্বামী বা স্ত্রী মারা গেলে সে তার মৃতদেহ দেখতে পারবে, গোসলও করাতে পারবে, এতে কোন সমস্যা বা বাধা নেই। অনেকে মনে করে মৃত্যুর সাথে সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, সুতরাং তাদের একজন আরেকজনকে দেখা হারাম। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
(৩) সিনেমা নাটকে অনেক নামধারী মুসলমান অভিনেতা অভিনেত্রী সামান্য কয়টা টাকার জন্যে যিনা-ব্যভিচারের অভিনয় করে, এমনকি এদেরকে টাকা দিলে মূর্তিপূজাও করে। অনেক গায়ক গায়িকা টাকার জন্যে অশ্লীল ও হারাম গান গাইছে, শিরকী কথা প্রচার করছে। মানব জাতির মাঝে এমন নারী পুরুষেরা নিকৃষ্ট এবং শয়তানের সৈনিক। এদের জন্যে কেয়ামতের দিন কঠোর শাস্তি রয়েছে। আফসোসের বিষয় হচ্ছে অনেক মুসলমান নারী পুরুষ এদেরকে ঘৃণা করেনা, বরং এদের হারাম কাজের দ্বারা আনন্দ উপভোগ করে, তাদেরকে মোহব্বত করে। এভাবেই এই সমস্ত মানুষেরা মানবরূপী শয়তানদের দ্বারা পথভ্রষ্ট হয়।
(৪) সকালের দিকে আল্লাহর অধিক বরকত রয়েছে, সুতরাং যেকোন ভালো কাজ সকাল সকাল করার চেষ্টা করবেন। যদিও আল্লাহর রহমত দিন রাত ২৪ ঘন্টাই উন্মুক্ত ও প্রশস্ত।
(৫) আসরের পরে ঘুমালে ক্ষতি হয় এটা ভিত্তিহীন, জাল কথা। এসময় ক্বুরান পড়া, জিকির করা, পড়াশোনা করা নিষিদ্ধ মনে করা একটা কুসংস্কার ও বাজে কথা।
(৬) মাগরিবের সালাতের পরে ঘুমানো এবং ইশা সালাতের পরে অনর্থক গল্প বা আড্ডা দেওয়া মাকরুহ। তবে ইশার পরে দ্বীন শিক্ষার জন্যে রাত্রি জাগরণ করা হাদীস দ্বারা প্রমানিত।
(৭) আল্লাহকে মুশরিকদের দেবতাদের নামে যেমন ব্রম্মা বিষ্ণু নামে ডাকা জায়েজ নয়। আল্লাহকে ডাকতে হয় ক্বুরান ও হাদীস দ্বারা প্রমানিত আসমাউল হুসনা সমূহ দ্বারা।
(৮) মানুষের কাছে বেশি চাইলে রাগ করে, কিন্তু আল্লাহর কাছে তার কোন বান্দা না চাইলে আল্লাহ রাগ করেন। আর আল্লাহ কাউকে কিছু দিলে তার কমে যাবেনা। সেইজন্যে আপনি যখন কোন কিছু চাইবেন, সবচাইতে বড়টাই চাইবেন, ছোটটা নয়। যেমন যখন জান্নাত চাইবেন একেবারে এক নাম্বার জান্নাত, জান্নাতুল ফেরদাউসই চাইবেন। কখনো মনটাকে ছোট করবেন না, আল্লাহর কাছে যত বেশি চাইবেন, আল্লাহ তত বেশি খুশি হন এবং বেহিসাবে দান করেন, হয় এই দুনিয়াতেই নয়তো আখেরাতে।
(৯) ব্যস্ততা ও ব্যক্তিগত কিছু কারণে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। সেজন্যে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। কারো ইমার্জেন্সি কোন প্রশ্ন হলে ইনবক্সে পাঠাবেন। আর উত্তর দেওয়া হোক না না হোক, আমাদের পোস্টে ফলোয়ারদের কেউ কোন উত্তর দেওয়া, অপ্রাসংগিক কোন মন্তব্য না নিজস্ব মতামত দেওয়া, লিংক বা আইডি শেয়ার করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পেইজটাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এ ব্যপারে আমাদের পেইজের নিয়ম অনুসরণ করার জন্যে আমি সকলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আর পাঠকদেরকে আমি বলছি, ফেইসবুকে ইন্টারনেটে কিছু লেখা বা উত্তর পেলেই সেটাকে ইসলামিক বলে মনে করবেন না। বরং তার উতস কি যাচাই করার চেষ্টা করুন।
(১০) সমস্ত শক্তির উতস হচ্ছে সূর্য, এটা বিজ্ঞানী নামধারী কিছু ভ্রান্ত লোকের ধারণা। সমস্ত শক্তির উতস হচ্ছেন এক আল্লাহ তায়া'লা।

(১১) আল্লাহ আমাদের ও আপনাদেরকে সফলতা দান করুন। আল্লাহ তার নবী, নবীর স্ত্রী, বংশধরদের প্রতি শান্তি ও বরকত নাযিল করুন। আমিন।