রবিবার, ৩১ মে, ২০১৫

‘শবে বরাত’ এর রোযা সম্পর্কে বিস্তারিত

আজ ১৩ই শাবান, ১৪৩৬ হিজরী।
___________________________
প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ এই তিন দিন রোযা রাখা মোস্তাহাব, যাকে আইয়ামে বীজ এর রোযা বলা হয়।আইয়ামে বীজ এর রোযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আমাদের এই পোস্ট দেখুন
___________________________
***প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোযা রাখা মুস্তাহাবঃ
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/a.130928300273259.14132.125167817515974/746199228746160/
___________________________
রমযানের প্রস্তুতি হিসেবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোযা রাখতেন। সেই সুন্নাহ হিসেবে কেউ ইচ্ছা করলে শাবান মাসের এই তিন দিন রোযা রেখে অনেক সওয়াব অর্জন করতে পারেন। উল্লেখ্য, শবে বরাত উপলক্ষ্যে রোযা রাখা ও সারা রাত নফল রোযা রাখার বিধান কোন একটি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয়নি, এ সম্পর্কে সবগুলো হাদীস জাল নয়তো জয়ীফশবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আমাদের এই পোস্ট দেখুন
___________________________
প্রশ্নঃ শাবানের মধ্যরাত্রি বা শবে বরাত উদযাপন করা যাবে কি?
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/06/blog-post_413.html
___________________________
সুতরাং আপনারা যারা রোযা রাখতে ইচ্ছুক, তারা শাবান মাসের আইয়ামে বীজ এর রোযার নিয়তে রোযা রাখবেন, শবে বরাতের রোযা এমন নিয়ত করবেন না। আর ১৫ই শাবান উপলক্ষ্যে সারা রাত জেগে নফল নামায পড়ার কোন দলিল নেই। সুতরাং, যার ইচ্ছা যে কোন দিন তাহাজ্জুদ এর নামায পড়বেন, কোন বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই। কিন্তু শবে বরাতকে উপলক্ষ্য করে সারা রাত জেগে নফল নামায পড়ার বিধান ক্বুরান ও সুন্নাহয় নেই।
___________________________
আগামী কাল ঢাকায় সাহরীর শেষ সময়ঃ ৩:৪০ মিনিট এবং ইফতার শুরুঃ ৬:৪১ মিনিটে। 
___________________________
[এ সম্পর্কিত কারো কোন প্রশ্ন থাকলে বলুন]
___________________________
বিনীত,

আনসারুস সুন্নাহ

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

“হাইয়্যা আ’লাল ফালাহ” vs বেনামাযী

প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ফরয সালেতের আযানে মোট ১০বার করে ঘোষণা করা হয়,
হাইয়্যা আলাল ফালাহ
- আসো, তোমরা কল্যানের দিকে আসো।
অথচ, কোটি কোটি মুসলমান যারা নিজেদেরকে ঈমানদার, মুসলমান দাবী করে, কিন্তু ঈমান কি; ইসলাম কি তা জানেনা, তারা চিরস্থায়ী কল্যান (সালাতকে) বাদ দিয়ে দুনিয়াবী সাময়িক কল্যানের দিকে ছুটে বেড়ায়। এমন লোকদের সম্পর্কে সুরা মারিয়মে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
অতঃপর তাদের পরে এল কিছু অপদার্থ শ্রেণীর লোক, যারা তাদের সালতকে নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসারী হল। তারা অচিরেই তাদের পথভ্রষ্টতার ফল ভোগ করবে। কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎ আমল করে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবেনা।

[সুরা মারিযামঃ ৫৯-৬০]

“Online Dhaka Guide” নামের একটা পেইজের একটা লেখা

অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও
করে।’’ [সুরা ইউসুফঃ ১০৬]
______________________
এইমাত্র Online Dhaka Guide নামের একটা পেইজের একটা লেখা আমার চোখে পড়লো...যেখানে তারা নিউজ করেছে,
স্থানীয় (ইন্দোনেশিয়ানদের) বিশ্বাস, আয়াম চেমানি হলো জাদুর মোরগ। এই মোরগের নাকি ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)! আর এই লোকবিশ্বাসের কারণেই আয়াম চেমানির দাম এত বেশি। এশিয়ায় আয়াম চেমানি বেশি জনপ্রিয় এর মাংসের জন্য। কালো মাংসে কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।
______________________
নাউযবিল্লাহি মিন যালিক! মোরগের কাছে নাকি ঈশ্বরের ক্ষমতা! কত বড় ডাহা শিরকি আকিদাহ!! নিজেদের পেইজ বা পত্রিকার লাইক/শেয়ার বাড়ানোর জন্য কিছু জাহেল লোকেরা এইরকম চমকপ্রদ, মনভোলানো শিরকি/কুফুরী কথা প্রচার করে বেড়ায়। আর নয়তো নষ্ট চরিত্রের লোভী পুরুষদেরকে আকর্ষণ করার জন্য যৌন উত্তেজক ছবি, কথা বা কাহিনী প্রচার করে। আপনারা এই ধরণের কোন ব্যক্তি, পেইজ, পত্রিকা, টিভি দেখবেন না, তাদের লেখা পড়বেন না বা শুনবেন না। যারা এইগুলো পড়ে, দেখে অথবা শুনে, তাদের অন্তরগুলো আসলে ঐ খবিস লোকদের মতোই।
______________________
এইরকম ইসলাম বিরোধী, খবিস কথা-বার্তা প্রচার করার জন্য কুখ্যাত কিছু মিডিয়ার নামঃ
১. প্রথম আলো, bdnews24 সহ এমন অন্যান্য ধর্মবিদ্বেষী পত্রিকা ও চ্যানেলগুলো।
২. রেডিও মুন্নার, রেডিও আমার...মতো শয়তানদের পেইজগুলো যারা ইসলামের নামে ভন্ডামি প্রচার করে সরলমনা মুসলমানদেরকে বোকা বানাচ্ছে
৩. দেশি-বিদেশী টিভি চ্যানেলগুলো যেইগুলোর মেইন কাজ হচ্ছে নাটক-সিনেমা নামে অশ্লীলতা ও যৌনতা প্রচার করা।
৪. অশ্লীল ও নাটক সিনেমার টিভি, ম্যাগাজিন, পত্রিকা সহ আরো অন্যান্যরা।  
______________________

#আনসারুস_সুন্নাহ।

শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫

নারীদের জন্য একাকী সফর করা হারামঃ


_____________________
নারীদের জন্য একাকী সফর করা হারামঃ
_____________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে নারী আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে জেনে রাখ! তার জন্য অনুমতি নেই যে সে আপন স্বামী অথবা মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর সমান দূরত্বে একাকী ভ্রমণ করব্ব।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৩৮।
_____________________
এমনকি কোন নারী হজ্জের উদ্দেশ্যেও মক্কাতেও একাকী যেতে পারেনাঃ
_____________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
কোন নারী নিজ মাহরাম সংগী ছাড়া একাকী সফর করবেনা।
তখন উপস্থিত এক সাহাবী আরয করলেন, আমি তো অমুক জিহাদে যাচ্ছি। আর এদিকে আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে যাচ্ছে। (আমি কি করবো)? জিহাদে বের হবো, নাকি স্ত্রীর সাথে হজ্বের সফরে বের হব।? কারণ আমি ছাড়া তার অন্য কোন মাহরারম সঙ্গী নেই।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
তুমি জিহাদে না গিয়ে তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্বের সফরে যাও।
সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৩০০৬।
_____________________
নারীদের মাঝে অনেকেই দ্বীন শিক্ষা করেনা, মানাতো দূরের কথা, হালাল-হারাম কি সেটাই জানেনা। জাহান্নামে নারীরা বেশিঃ
_____________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
আমি জান্নাতের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখলাম তার অধিকাংশ অধিবাসী দরিদ্র, আর আমি জাহান্নামের প্রতি দৃষ্টি করে দেখলাম যে তার অধিকাংশ অধিবাসী হচ্ছে নারী।
জামি তিরমিযী।
_____________________
ইসলামের কোন বিষয়কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বা হেয় মনে করা কুফুরী এবং মুনাফেকের লক্ষণঃ
_____________________
আজকাল হরহামেশা অনেক লেখক, সাহিত্যিক ইসলাম নিয়ে তির্যক লেখা লিখেন, না জেনে বা না বুঝে এ বিষয়ে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে ডুবে যান কুফুরীর অতল সাগরে। মুসলমানী নামটুকু ছাড়া তার আর কিছুই বাকী থাকেনা। আল্লাহ পাক এমন লোকদেরকে বলছেন,
(হে নবী!) আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, আমরাতো হাসি তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে এবং তার আয়াতসমূহ ও তার রাসুলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছ? তোমরা কোন অযুহাত দেখিয়ো না, তোমরা তো ঈমান আনার পরে কুফুরী করে ফেলেছো। [সুরা তওবাঃ ৬৫-৬৬]
তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশকে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখান কর? তোমাদের যারা এমন করে তাদের পার্থিব জগতে লাঞ্ছনা ও অবমাননা ছাড়া আর কী প্রতিদান হতে পারে? এবং ক্বিয়ামতের দিন তারা কঠিন শাস্তির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে, আর তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ্ গাফেল নন।
সুরা আল-বাক্বারা, আয়াত নং- ৮৫।
মুনাফেকদের প্রথম পরিচয় ছিল, তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তাদেরকে বোকা ভাবতো। আল্লাহ পাক তাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন, তারাই বোকা অথচ নিজেরা তা জানে না। [সুরা আল-বাকারাহঃ ১৩]
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কিংবা কেউ যদি স্পষ্টভাবে এমন কোন কথা বলে যা আল্লাহ ও তার রাসূলের কোন বিধানকে তুচ্ছ করে, তা অবশ্যই কুফুরী।
ইমাম কুরতুবী (রহঃ) লিখেছেন, মজা করার জন্য হোক কিংবা সত্যি সত্যিই হোক, ইসলামের কোন সাধারণ বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করা কুফুরী। এতে কারো দ্বিমত নেই।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, দ্বীনের যে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা কুফুরী। যে এমন করল তার ঈমান ধ্বংস হয়ে কুফুরীতে পরিণত হল।
_____________________

বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০১৫

সবার প্রথম ‘তাওহীদ’ এর জ্ঞান অর্জন করুনঃ

সবার প্রথম তাওহীদ এর জ্ঞান অর্জন করুনঃ
-     আনসারুস সুন্নাহ  
__________________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
দ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও নারীর উপরে ফরয।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীসটি হাসান।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকাল অধিকাংশ মুসলমান নারী ও পুরুষেরা দ্বীন শিক্ষা করার ফরয দায়িত্বকে অবহেলা করেছে, ফলে সমাজে নিজেকে মুসলমান দাবী করে কিন্তু ফাসিক্ব, জালিম, বেনামাযীর সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বীন শিক্ষা করার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে তাওহীদ সম্পর্কে জানতে হবে। এ প্রসংগে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কিছু মূল্যবান কথা।
__________________________
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ (কোন আমল) কিভাবে করেছো, এটির উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই আমল কেন করতে হবে এ বিষয়টির প্রতি তেমন কোন গুরুত্বই দেয়না। তারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণের ব্যাপারে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চায়। কিন্তু আকীদাহ (ধর্মীয় বিশ্বাসের) উপরে কোন গুরুত্ব দেয়না। দুনিয়াবি বিষয়ে মানুষ খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। অথচ তার অন্তর আল্লাহ (আক্বীদাহ, ইখলাছ ও তাওহীদের বিষয়) সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাফেল। মূলতঃ দেখা যায় কতিপয় মানুষ বর্তমানে দুনিয়া পূজারী হয়ে গেছে। অথচ সে টেরও পাচ্ছে না। অনেক মানুষ আল্লাহর সাথে শিরকে লিপ্ত হয়েছে। অথচ সে সেটা অনুভবও করতে পারে না। আকীদার বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আলেম সমাজ পর্যন্ত অনেকেই গুরুত্ব প্রদান করে না। এ বিষয়টি খুবই ভয়াবহ। অবশ্য বিনা আমলে শুধু মাত্র আকীদার উপরে গুরুত্ব দেয়াও ভুল। কারণ আমল হল আকীদা সংরক্ষণের জন্য প্রাচীর স্বরূপ। আমরা রেডিও-টিভি এবং পত্র-পত্রিকায় শুনতে পাই যে, পরিচ্ছন্ন আকীদাই হল দ্বীন। আমল না করে এভাবে শুধুমাত্র আকীদার উপরে গুরুত্ব দেয়াতে দ্বীনের কিছু কিছু হারাম বিষয়কে হালাল করে নেয়ার আশংকা রয়েছে। এই যুক্তিতে যে, আকীদা ঠিক আছে।
মোট কথা এই যে, মানুষের উপর আকীদার বিষয়গুলো শিক্ষা করা ওয়াজিব (আবশ্যক)। যাতে করে তারা আল্লাহর নাম, তাঁর গুণাবলী এবং কর্মক্ষমতা ও তাঁর বিধানাবলী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে পারে। সে যেন নিজে বিভ্রান্ত না হয় এবং অপরকেও বিভ্রান্ত না করে। তাওহীদ এর জ্ঞান হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান। এ জন্য বিদ্বানগণ ইলমে তাওহীদকে ফিকহে আকবার বা সর্বশ্রেষ্ঠ ফিকহ বলে নাম রেখেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।
দ্বীনের জ্ঞানের মধ্যে তাওহীদের জ্ঞানের গুরুত্ব সর্বপ্রথম। তাই মানুষের উপর আবশ্যক হল, এ বিষয়টির উপর গুরুত্ব প্রদান করবে যে, কিভাবে সে তাওহীদের জ্ঞান অন্বেষণ করবে এবং কোন উৎস থেকে তা অর্জন করবে। প্রথমে সন্দেহ মুক্ত ও সুস্পষ্ট বিষয়গুলোর জ্ঞান অর্জন করবে। অতঃপর বিদ্‌আত ও সন্দেহ পূর্ণ বিষয়গুলোর শিক্ষা অর্জন করার পর সঠিক আকীদার আলোকে তার উত্তর দিবে। আকীদার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোর জ্ঞান অবশ্যই কুরআন, সুন্নাহ এবং সাহাবীগণের বক্তব্য অতঃপর তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীনে কেরাম এবং পরবর্তী যুগের নির্ভরযোগ্য আলেমগনের লেখনী ও বক্তব্য থেকে গ্রহণ করতে হবে। তাদের মধ্যে থেকে শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া এবং তাঁর সুযোগ্য ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিমের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফতোয়া আরকানুল ইসলামঃ ঈমান অধ্যায়, প্রশ্ন নং ৬০।

__________________________

বুধবার, ২০ মে, ২০১৫

বিয়ে করার বিধান কি?

প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
ক. বিবাহ করার বিধান কি? ফরজ না সুন্মত???
খ. আমি যদি বিবাহ করার জন্য দীনদার মেয়ে খুঁজে না পাই, তখন বেদ্বীন মেয়ে বিবাহ করব, নাকি বিবাহ করা থেকে বিরত থাকব???
জানালে উপকৃত হব!!
______________________
উত্তরঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন?
______________________
ক. বিয়ে করার বিধান কয়েক প্রকারঃ
১. যার বিয়ে করার সামর্থ্য আছে কিন্তু বিয়ে না করলে তার চরিত্র নষ্ট হয়ে অবৈধ সম্পর্কে ও জিনায় লিপ্ত হবে, তার জন্য বিয়ে করা ফরয।
২. যার বিয়ে করার সামর্থ্য আছে কিন্তু বিয়ে না করলেও চরিত্র ঠিক থাকবে তার জন্য বিয়ে করা সুন্নাহ অথবা মুস্তাহাব। তার বিয়ে করা উচিত।
৩. যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, স্ত্রীর হক্ক আদায় করতে পারবেনা তার জন্য বিয়ে করা হারাম।
______________________
খ. দ্বীনদার কাউকে খুঁজে না পেলে আরো খুজতে হবে এবং তার জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করতে হবে। দ্বীনদার স্বামী/স্ত্রী না পাওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। একটা বেদ্বীন স্বামী অথবা স্ত্রী কারো জীবন নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। সুতরাং, অভিশপ্ত প্রেম-ভালোবাসার খপ্পরে পড়ে, রূপ-সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ দুনিয়াবী শিক্ষা-দীক্ষার ধোকায় পড়ে কোন ফাসেক ও বেদ্বীনকে বিয়ে করা ঠিক নয়। এতে অনেক ফাসাদ রয়েছে।

______________________

সোমবার, ১৮ মে, ২০১৫

Sheikh Tauseef Ur Rahman position on ISIS, Dr. Zakir Naik, Mufti Menk and Ahlul Hadeeth organisation : _________________________

Sheikh Tauseef Ur Rahman position on ISIS, Dr. Zakir Naik, Mufti Menk and Ahlul Hadeeth organisation :
_________________________

Talked to Sheikh Tauseef Ur Rahman today (07/02/15), his position on Daesh (ISIS) is clear. They are khawarij and their shouldn't be any doubt about that. He said no matter how much people speak and get deceived by them scholars like Sheikh Souheymi, Sheikh Fawzaan, and Sheikh Al Sheikh have made the issue clear.
_________________________
His position on Dr. Zakir Naik is that Zakir has a lot of khair (goodness) and he is an expert in his field, and he prays for his mistakes to be cleared and forgiven.
_________________________
His position on Ismael Menk is that, he is not to be listened as he specialized in Deobandi madrassah in Gujraat and when a jamah is clearly misguided then their should be distance from them.
_________________________
His position on the Ahlul Hadeeth organisation is that their should be cooperation in Khayr and abandonment in siasi (political) masail. We do not support the siasi perspective of these groups and we pray for their hidayah.
_________________________
Allah knows best,
Wasalam o aleykum
_________________________
post written by Abu Ishaaq​

প্রসংগঃ শায়খ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালী হা’ফিজাহুল্লাহ

প্রসংগঃ শায়খ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালী হা’ফিজাহুল্লাহ
শায়খ রাবী একজন প্রবীন আলেম, যার প্রশংসা করে তাঁর কাছ থেকে ই’লম নেওয়ার জন্য রেকমেন্ড করেছেন এমন পূর্ববর্তী ওলামাদের মাঝে রয়েছেন,
১. ইমাম আব্দুল আজিজ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ
২. ইমাম নাসির উদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ
৩. ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ
আর জীবিত ওলামায়ে কিবার (বড় আলেমদের) মাঝে যারা শায়খ রাবীকে আলেম হিসেবে রেকমেন্ড করেছেন তাদের মাঝে রয়েছেণ,
১. শায়খ সালেহ আল-ফাউজান হা’ফিজাহুল্লাহ
২. শায়খ আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ হা’ফিজাহুল্লাহ
৩. শায়খ সালেহ আল-লুহাইধান হা’ফিজাহুল্লাহ
৪. শায়খ ওবায়েদ আল-জাবেরী হা’ফিজাহুল্লাহ
সহ আরো অনেক জীবিত ও মৃত আলেম।
শায়খ রাবী শিরক ও বিদাতের দিকে আহবানকারী জনপ্রিয় অনেক লেখক, বক্তা ও আলেমদের সমালোচনা করার কারণে ভ্রান্ত তরীকার অনুসারী ও ভক্তরা সালাফী মানহাজের অনুসারী ভাইদেরকে শাসকদের আনুগত্য, তাকফীর, জিহাদ, মানহাজ, জারহ ও তাদীল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ‘মাদখালী’ বলে গালি দেয়, যেমনটা আমাদের দেশের দেওবন্দী-তাবলিগি জামাতের লোকেরা ক্বুরান সুন্নাহর অনুসরণ করাকে ‘আলবানী মাযহাব’ বলে কটাক্ষ করে থাকে। এরা মূলত ইখোয়ানি, তাকফীরি, জিহাদী মানাহাজের অনুসারী যারা হয় IGNORANT নয়তো Deviant.
ইলম এবং বয়সের দিক থেকে ইয়াতীম যেই সমস্ত লোকেরা যারা বিভ্রান্ত বক্তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ‘মাদখালী’ গালি দিতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা হাদীস পেশ করছিঃ
“যে ব্যক্তি কোন মুমিন ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কটূক্তি করবে, যা তার মাঝে প্রকৃতপক্ষে নেই, আল্লাহ তাকে ‘রাদগাতুল খাবাল’ তথা জাহান্নামীদের গলিত রক্ত-পূজের স্তুপে বসবাস করাবেন।”
[আবূ দাউদ, বিচার অধ্যায়, ৩১২৩ নং হাদীস]
*শায়খ রাবীকে নিয়ে যারা বিভ্রান্তির মাঝে আছেন তাদের সন্দেহ দূর করার জন্য কমেন্টের এই ভিডিওটা
https://www.youtube.com/watch?v=LYJtcz-hd8Q

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০১৫

কেয়ামতের ভূমিকম্প কি ভয়ংকর ব্যপার!!

কেয়ামতের ভূমিকম্প কি ভয়ংকর ব্যপার!!
রিখটার স্কেলে সামান্য ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতিকেই মানুষ কত ভয় করে! অথচ, কেয়ামতের সময় এতো মারাত্মক ভূমিকম্প হবে যে সারা পৃথিবী এর ফলে ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু মানুষ সে ব্যপারে মানুষ বড়ই বেখবর!!
___________________________
কেয়ামত কবে হবে, এনিয়ে ক্বুরানুল কারীমে বলা হয়েছেঃ
বিসমিল্লাহ-হির রাহমানির রাহীম।
কেয়ামত খুব কাছে চলে এসেছে এবং চাঁদ দুই ভাগ হয়েছে।
সুরা আল-ক্বামারঃ ১।
___________________________
কেয়ামতকে ভয় করা আল্লাহ তাআলার নির্দেশঃ
তোমরা ঐ দিন (কেয়ামতকে) ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোন রকম অবিচার করা হবে না।
সুরা আল-বাক্বারাহঃ ২৮১।
___________________________
কেয়ামতের ভয়াবহতা কত মারাত্মক হবেঃ
হে মানুষেরা! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে ভুলে যাবে আর প্রত্যেক গর্ভবতী নারী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে তারা যেন মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠিন।
সুরা আল-হাজ্জঃ ১-২।
___________________________
সর্বশেষ, সুরা যিলযালের সরল তর্জমাঃ
বিসমিল্লাহ-হির রাহমানির রাহীম।
১. যখন পৃথিবীকে প্রচন্ড ভূমিকম্পে প্রকম্পিত করা হবে,
২. যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
৩. আর মানুষ তখন বলবে, এর কি হল?
৪. সেদিন পৃথিবী তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,
৫. কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে সেই আদেশ করবেন।
৬. সেই (কেয়ামতের) দিন মানুষ বিভিন্ন দলে বের হবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।
৭. অতঃপরঃ কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে সে তা দেখতে পাবে,
৮. এবং কেউ অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করলে, সে তাও দেখতে পাবে।
সুরা আল-জিলজাল।
___________________________

#আনসারুস_সুন্নাহ

বিষয়বস্তুঃ- তাবলীগ জামাত

বিষয়বস্তুঃ- তাবলীগ জামাত
অংশঃ- ৪র্থ
যা কিছু হয় সবই আল্লাহ থেকে হয়। এ কথাটি কালিমার ব্যাখ্যায় তারা ব্যবহার করে থাকে। এটার অর্থ দাড়ায় সব কর্ম আল্লাহই করেন। এতে বান্দা দায়মুক্ত থাকে এবং আল্লাহর উপর বান্দার সকল কর্মের দায় ভার এসে যায়। তারা এই ভাবে কালিমা তইয়্যাবাকে ডাল স্বরুপ গ্রহণ করে তাদের বানায়টি কালিমা ব্যাখ্যায় শুনিয়ে থাকেন। তাদের কালেমা হল লা মওজুদা ইল্লাল্লাহ, কোনো অস্তিত্ব নেই আল্লাহ ছাড়া। অর্থাৎ সব অস্তিত্বই আল্লাহ। লা ফায়েলা ইল্লাল্লাহ, লা ফায়েলা ইল্লাল্লাহ, কোনো কর্তা নেই আল্লাহ ছাড়া। অর্থাৎ মানুষ কোনো কর্তা নই। লা যাহেরা ইল্লাল্লাহ, কোনো প্রকাশ নেই আল্লাহ ছাড়া। অর্থাৎ সমস্ত রুপের প্রকাশ আল্লাহর রুপ বা অনন্ত রুপ। লা বাতেনা ইল্লাল্লাহ, নাই কোনো গোপন আল্লাহ ছাড়া। সমস্ত গোপন সত্তাই আল্লাহ। শুধু তবলিগ জামাতই নয় দেশের সমস্ত পীর ও মাসায়েখ গণ এই কৃত্তিম বা বানাউট কালেমার উপর প্রতিষ্ঠিত। দেশের ফুরফুরা, চরমোনাই, আটরশি, চন্দ্রপুরী, মাইয়িজ ভান্ডারী, শুরেশ্বরী সকলেই এই কালেমার ধারক বাহক হয়ে কুরআন ছুন্নাহর একমাত্র কালেমা শাহাদতের মুকাবিলা করে তাগুতের পথ বেছে নিয়েছেন। অতএব, এটা কুফরী মতবাদ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নি¤œ কতিপয় তবলিগের হুজুরদের বিভ্রান্ত উক্তি তুলে ধরা হচ্ছে। যেমন: হাজী এমদাদুল্লাহ সাহেবের কথারই পূর্ণ অনুসরণে এ ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। হাজী সাহেবের লেখা জিয়াউল কুলুব (উর্দু) বইয়ে তিনি লিখেছেন,
১। বিশ্ব জাহানের যাবতীয় ক্রিয়া কান্ড আল্লাহরই ক্রিয়াকান্ড বলে ভাববে। বাহ্যতঃ যাকে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে শুধুমাত্র মাধ্যম বলে মনে করবে আর আল্লাহরকেই প্রকৃত কর্তা বলে ভাববে। -(যিয়াউল কুলুব উর্দু ৩৪ পৃঃ)।
২। তাওহিদের জাতি এই যে, বিশ্ব জগতের সব কিছুকে আল্লাহ বলে ধারণা করা। (যিয়াউল কুলুব উর্দু ৩৫ পৃঃ)।
৩। সুফী তরীকার ধ্যান ও মুরাকাবা করতে করতে মানুষ বাহ্যতঃ আল্লাহ থাকলেও অভ্যন্তরীণ ভাবে আল্লাহ হয়ে যায়। (যিয়াউল কুলুব উর্দু ২৭ পৃঃ) যে হাজী এমদাদুল্লাহ সাহেবের প্রশংসা মওলানা যাকারিয়া সাহেব তবলীগ জামায়াতের প্রথম ধাপের মুরুব্বীরা এই হাজী এমদাদুল্লাহ সাহেবকে তাদের জন্য দোজাহানের আশ্রয়স্থল বলে বিশ্বাস করেন। দেখুন ফাযায়েল সাদাকাতের ২য় খন্ড ২২১ পৃষ্ঠায় তাকে হে আমার দ্বোজানের আশ্রয়স্থল বলে সম্বোধন করা হয়েছে। ইহা স্পষ্ট শির্ক কুরআনের সুরা জিন্ন ২২ নং আয়াতে এবং সুরা কাহাফের ২৭ নং আয়াতে আল্লাহ ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল নেই বলে প্রমাণিত হয়। তাছাড়া একজন মুসলিম কুরআন তিলওয়াতের আগে আল্লাহর কাছেই আশ্রয় চেয়ে পাঠ শুরু করে থাকে। ভ্রান্ত সুফীবাদে বিশ্বাসী মওলানা যাকারিয়া কান্ধলভী সাহেবের প্রসিদ্ধ ফাযায়েলের বইগুলোর অন্ধ অনুসরণ করে এই জামায়েতের লোকেরা তাবলীগ করেন। তার লেখা বইগুলোতে ভ্রান্ত শিরকী আকিদার অনেক বর্ণনা রয়েছে। তন্মধ্যে মাত্র কয়েকটির উল্লেখ করলাম। যাকারিয়া সাহেবের লোখা ৬৭টি বই রয়েছে। তিনি তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ইলিয়াস সাহেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য ফাযায়েল আমাল বইটি রচনা করেছেন। তিনি উক্ত বইয়ের ভুমিকায় লিখেছেন, এইরুপ বুযুর্গগণের সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য লিখা হয়নি। দ্বীনের কোন উপকারে আসে এমন কাজে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য না করে মানুষের সন্তুষ্টির জন্য করলে শির্ক হবে। এ কথাটা তাবলীগ পন্থী আলিমগণ মানতেই চাননা। তারা যাকারিয়া সাহেবের উক্তিতে বৈধতা দেয়ার জন্য নানা যুক্তি দেখিয়ে ফাতওয়া দিয়ে থাকেন। অথচ কুরআনের অনেক আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, দ্বীনের সকল কাজ, ইবাদত, দান খয়রাত ইত্যাদি একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য না করলে উহা কবুল হবে না বরং শির্ক হবে। তাবলীগের বুযুর্গানে দ্বীন নামে অভিহিত ব্যক্তিগণ বিশ্বাস করেন যে,
১। তাদের বুযুর্গরা মারা যাবার পরও জীবিত থাকে এবং মানুষের উপকার করে থাকে। (ফাযায়েলের সাদাকাতের ২য় খন্ড ৩৩১ পৃষ্ঠা দারুল কিতাব প্রকাশনার ছাপা এর কাহিনী থেকে প্রমাণিত)।
২। বুযুর্গ ব্যাক্তিরা মরার পর কথা বলে, হাসে, চোখ মেলে চায়, জীবিত মানুষের সাতে কৌতুক করে আংঙ্গুল টেনে ধরে। (ফাযায়েলে সাদাকাত ২য় খন্ড ৩৩১ ও ৩৩২ পৃষ্ঠার কাহিনী থেকে প্রমাণিত)।
৩। বুযুর্গ ব্যাক্তির কবরের কাছে এসে অভাবের কথা বলে তার কাছে সাহায্যের আবেদন করা যায়। (ঐ ২/৩৯৩ ও ৩৯৪ পৃঃ)
৪। মৃত্যুর পরও মুদ্রা ব্যাক্তি দান করতে পারে এবং উট জবেহ করতে পারে। (ঐ ২/৩৮৯ পৃঃ)।
৫। রাসূল (সা:) মৃত্যুর পর আহমাদ রেফায়ী নামক এক বুযুর্গের জন্য কবর থেকে হাত বের করে দেন এবং ঐ বুযুর্গ রাসূলের হাতে চুমু দেন। (ফাযাইলে হজ্জ ১৪০ পৃ:, লেখক মাওলানা যাকারিয়া)।
৬। জান্নাতের জিম্মাদার রেজওয়ান ফেরেশতা দুনিয়ায় এসে এক বুযুর্গকে পানি পান করিয়ে যান। (ফাযায়েলে হজ্জ - ১৮০ পৃ:)।
৭। রশীদ আহমাদ গংগুহী তাঁর পীরের কাছে লিখিত এক চিঠিতে আল্লাহকে সম্বোধন করে লিখেন; হে আল্লাহ, আমাকে মাফ করুন, হযরতের হুকুমে লিখিত হইয়াছে। মিথ্যুক আমি, কিছু নই, সব তোমারই ছায়া, তোমারই অস্বিত্ব, আমি কি, কিছুই নই এবং আমি যাহা রহিয়াছি উহাও তুমি। আমি ও তুমি স্বয়ং র্শিকের ভিতরে র্শিক। (ফাযায়েলে সাদাকাত ২/২২২ পৃ:)।
৮। তাদের বুযুর্গরা মৃত্যুর নির্দিষ্ট সময় বলতে পারেন। (ঐ ২য় খন্ড ৩৩১ পৃ:)।
৯। সালাত অবস্থায় এক বুযুর্গের পা কেটে ফেলা হলো অথচ তিনি টেরই পাননি। (ফাযায়েলে নামায ৯৮ পৃ:)।
১০। এদের এক বুযুর্গের মৃত্যুর পূর্বে জিবরাঈল (আ:) এসে পানি পান করান। (ঐ ২/৩৩৭ পৃ:)।
১১। স্বপ্নের মধ্যে এসে রাসূল (সা:) এক বুযুর্গকে রুটি দেন। (ফাযায়েলে হজ্জ- ১৩৮ পৃ:)।
১২। কবর থেকে রাসূল (সা:) উচ্চ আওয়াজে এক বুযুর্গের ছালামের উত্তর দেন। উপস্থিত শ্রোতারা সবাই শুনতে পায়। (ফাযায়েলে হজ্জ-১৩৭ পৃ:)।
১৩। মৃত্যুর পর রাসূল (সা:) কবর থেকে উঠে এসে মেঘের উপর চড়ে মক্কায় হাজ্জ করতে আসা মৃত্যু বরণকারী এক মহিলার মুখে ও পেটে হাত বুলিয়ে যান। এতে ঐ মহিলার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে যায়। (ফাযায়েলে দরুদ ৪৬ নং কাহিনী, লেখক মাওলানা যাকারিয়া)।
১৪। এক বুযুর্গ এক অজুতে ১২দিন পর্যন্ত সমস্ত সালাত আদায় করেছেন। (ফাযায়েলে নামাজ ৯৮-৯৯ পৃ: প্রকাশক দারুল কিতাব)। জবাবঃ রাসূল (সা) সালাতরত অবস্থায় শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতেন ও কেহ দরজার কড়া নাড়লে টের পেতেন ও দরজা খুলে দিতেন। তাহলে কি ঐ বুযুর্গ রাসূলের চেয়ে সালাতে বেশী মনোযোগী ছিলেন? এটা কি করে সম্ভব? অথচ রাসূলের (সা:) মৃত্যুর সময় জিবরাঈল (আ:) তাঁকে পানি পান করালেন না, তাহলে কি আল্লাহ নাবীর চেয়ে বুযুর্গকে বেশী ভালবাসেন? এটা কখনই সম্ভব নয়।
TO BE CONTINUE...........

সূরা আল ইখলাসঃ তাফসীরে ইবনে কাসীর vs সাইয়েদ কুতুবের তাফসীর

সূরা আল ইখলাসঃ তাফসীরে ইবনে কাসীর vs সাইয়েদ কুতুবের তাফসীর (ফী যিলালিল কোরআন)
-----------------------
একসাথে সূরা ইখলাসের তাফসীর উভয় তাফসীর গ্রন্থ থেকে পড়লাম। এ সূরায় আল্লাহ তাআলার গুনাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। ইবনে কাসীর রহ. সেগুলোই সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
কিন্তু সাইয়েদ কুতুবের ফী যিলালিল কোরআন পড়তে গিয়ে দেখলাম, তিনি রবের গুনাবলী ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমন তাওহীদের অবতারণা করেছেন, যাতে ওয়াহদাতুল ওযুদের মতবাদ প্রকাশ পায়। আমি তার এ তাফসীরের ভ্রান্তির ব্যাপারে নেটে আগেই পড়েছিলাম। আজকে বইতে সরাসরি প্রত্যক্ষ করলাম। আমি কয়েকটি অংশ তুলে দিচ্ছি -
১. আল্লাহ তায়ালার একত্বের অর্থ হচ্ছে তাঁর অস্তিত্বে তিনি একা। তাঁর অস্তিত্বের একথা ছাড়া আর কিছুই সত্য নয়, তাঁর অস্তিত্ব ছাড়া অন্য কিছুরই কোনো অস্তিত্ব নেই।
২. তিনি ছাড়া কোন করনেওয়ালা নেই। অন্য কোনো করনেওয়ালার কোনো প্রভাবও নেই।
৩. আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কোনো কিছুর অস্তিত্বই আসল নয়।
৪. অস্তিত্বের মূলগত ব্যাপারে যখন আল্লাহ তায়ালা ছাড়া সে অন্য কোনো সত্যকে দেখতে পায় না এমন ধরনের একটি ধারণা তার মনে সৃষ্টি হলে, তখন তার মনে এই ধারণাও সৃষ্টি হয় যে, সবকিছুর অস্তিত্বের মূলে সেই আসল ও খাঁটি অস্তিত্বই ক্রিয়াশীল। কেননা সব অস্তিত্বের ধারণা ও সৃষ্টি তো মূল সত্তার অস্তিত্ব থেকেই এসেছে। আর এই হচ্ছে সে পর্যায় যখন যাই দেখে তাতে সে আল্লাহর হাতকেই দেখতে পায়।
৫. এর আরো এক স্তর ওপরে উঠে সে এই কায়েনাতের সর্বত্র আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না। কেননা দেখার মতো আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছুই তো নেই।
--------------

collected from Mohsin Zaman

সাইয়েদ কুতুব, যিলালিল ক্বুরান, যিলালিল ক্বুরানে ওহদাতুল ওজুদের আক্বীদাহ আছে কিনা ও আব্দুল্লাহ আযযম এর ব্যপারে সালাফী ওলামাদের মূল্যায়ন

=> সালমান আল-আওদা বিভ্রান্তিকর কথাবার্তার জন্যই নিজেই সমালোচিত। শায়খ বিন বাজ (রহঃ) আওহদাহ যদি তোওবা না করে তাহলে তাকে যেন বক্তব্য দিতে ব্যন করা হয়, সেজন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে চিঠি লিখেছিলেন। NO WONDER তাকফিরীরা তাকে দলিল হিসেবে মানে।
=> ISLAMQA সাইটে সাইয়েদ কুতুবকে ডিফেন্ড করে শায়খ মুনাজ্জিদের ফতোয়াটা প্রায় সম্পূর্ণটাই ভুল, অথবা আউট অফ কনটেক্সট, শুধুমাত্র ইবনে জিব্রীন রহঃ এর ডিফেন্ড করার অংশটা ছাড়া। আল্লামা সালিহ আল-ফাওযান, আল্লামা আল-আলবানী সাইয়েদ কুতুবকে #জাহেল বলেছেন, এর টেপ মওজুদ আছে, তাদের ছাত্ররাও এর স্বাক্ষ্য বহন করছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা শায়খ ফাওজানের ফোন নাম্বার এভেইলেবেল, যেই কে চাইলে যেকোন মুহূর্তে শায়খ ফাউজানকে ফোন করে সাইয়েদ কুতুবের ব্যপারে জিজ্ঞেস করতে পারে। আর ইবনে জিব্রীন (রহঃ) এর ব্যপারে শায়খ উসাইমিন (রহঃ) বলেছিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে জিব্রিন আহলে সুন্নাহর, তবে তাঁর ছেলেরা ইখোয়ানুল মুসলিমিন এর সাথে জড়িত...এটা তাঁর জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। শায়খ ইবনে জিব্রীন, আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন তিনি ইখোয়ান দ্বারা প্রভাবিত একটা দলের সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন। এনিয়ে অনেক কথাই আছে তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আলেম-ওলামা কেউই ভুলের উর্ধে নয়। আলেম-ওলামাদের ভুলকে প্রবৃত্তির অনুসরণ করারর জন্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা একটা ক্রাইম। 
=> আহলে হাদিসরা ওহদাতুল ওজুদ যে অর্থে বুঝেন দেওবন্দ ও অন্যান্য উলামারা সেই ভ্রান্ত অর্থে বিশ্বাস করেন না...সত্যি কথা বলতে এই কথা যে বলে, সে অন্ধভাবে তার দলকে সমর্থন করায় কতটা কট্টর, সেটা বোঝার জন্যে এই একটি মাত্র কথাই যথেষ্ঠ! দেওবন্দীদের মুর্শিদ(!) ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কির জিয়াউল কুলুব বই থেকে একটা মাত্র কোটেশান তুলে ধরলামঃ
তাওহিদের জাতি হচ্ছে এই যে, বিশ্ব জগতের সব কিছুকে আল্লাহ বলে ধারণা করা। [নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক] যিয়াউল কুলুবঃ উর্দু ৩৫ পৃঃ।
সর্বশেষঃ সাইয়েদ কুতুব, যিলালিল ক্বুরান, যিলালিল ক্বুরানে ওহদাতুল ওজুদের আক্বীদাহ আছে কিনা ও আব্দুল্লাহ আযযম এর ব্যপারে সালাফী ওলামাদের মূল্যায়ন বোঝার জন্য এই একটা মাত্র ক্লিপ অনেক সাহায্য করবেঃ

https://www.youtube.com/watch?v=6LYAdAmUqlA

সোমবার, ৪ মে, ২০১৫

কিতাব আত-তাওহীদ

কিতাব আত-তাওহীদ
- শায়খুল ইসলাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহহাব (রহঃ)
=> রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর নামে কসম করলো, সে শিরক অথবা কুফুরী করলো।"
*গাইরুল্লাহ অর্থ হচ্ছে - আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে। যেমন নিজের বা ছেল-মেয়ের মাথা ছুয়ে কসম করা, মাটি বা শহীদের রক্তের শপথ করা ইত্যাদি।
=> যে ব্যক্তি যুগ বা সময়কে গালি দিলো সে আল্লাহর সাথে অন্যায় করলো। কারণ যুগ বা সময়, দিন ও রাতের আবর্তন আল্লাহ তায়ালাই করেন।
=> রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
"তোমরা বাতাসকে গালি দিওনা।"
এই হাদীস অনুসারে প্রচন্ড ঠান্ডা অথবা গরম পড়লে, অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি, বিরূপ আবাহাওয়াকে গালি দেওয়া যাবেননা। কারণ এইগুলো আল্লাহ তায়া'লা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রন করেন। এমন অবস্থায় পাপের জন্য তোওবা করতে হবে।
=> ভোর বেলায় মোরগ ডাকলে তাকে গালি দেওয়া যাবেনা, কারণ মোরগ রহমতের ফেরেশতাদের দেখে ডাকে। মোরগের ডাক শুনলে এই দুয়া পড়া সুন্নতঃ
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা মিং ফাজলিকা"
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করিতেছি।

#আনসারুস_সুন্নাহ

বিষয়ঃ নারীদের হিজাব-পর্দা কি?

বিষয়ঃ নারীদের হিজাব-পর্দা
শরিয়াহ অনুযায়ী স্বাধীন মুমিনাহ নারীরা যদি উপযুক্ত কারণে বাইরে বের হয় তাহলে গায়ের মাহরাম পুরুষদের সামনে তাদের জন্য ফরয হচ্ছে বোরখা অথবা এমন লম্বা চাদর যা দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর ঢাকে তা পরিধান করা। এসময় তারা তাদের জিলবাবের একটা অতিরিক্ত অংশ দিয়ে নিজেদের মুখ ও বুক ঢেকে রাখবে। [বিস্তারিত দেখুন সুরা নূর ও সুরা আহজাবের তর্জমা ও তাফসীর]। এ হচ্ছে শরিয়াহ সম্মত হিজাব-পর্দা, যা প্রত্যেক সাবালিকা মুসলিম নারীর জন্য ফরয। বর্তমানে মুসলমানরা দুর্বল থাকায় নিয়মিত জিহাদ হচ্ছেনা,যার ফলে যুদ্ধবন্দী দাস-দাসী নেই। কিন্তু জেনে রাখা ভালো, দাসী-বাদী নারীদের জন্য হিজাব-পর্দার এই বিধান প্রযোজ্য নয়। মুসলিম পুরুষদের জন্য ফরয হচ্ছে নিজেদের স্ত্রী-কন্যা ও অধীনস্থ নারীদেরকে ইসলাম শিক্ষা দেওয়া এবং তাদেরকে হিজাব-পর্দা করতে আদেশ করা। যারা এই দায়িত্ব পালন করবেনা তারা গুনাহগার হবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীরাই হিজাব-পর্দা করেনা। হাতে গোনা যে ২-৪জন নারী পর্দা করে তাদের মাঝে অনেকেরই হিজাব-পর্দা হচ্ছে নিজেদের মনগড়া আবিষ্কার অথবা ত্রুটিপূর্ণ, যার ফলে হিজাব-পর্দার মূল উদ্দেশ্যই নষ্ট হচ্ছে। যেই সমস্ত ভাইয়েরা তাদের ঘরের নারীদেরকে খোলামেলা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের কাছে অনুরোধ, আপনার ঘরের নারীরা স্বাধীন, তাদেরকে দাসী-বাদীর মতো করে রাখবেন না। নারীদেরকে যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিন।
#আনসারুস_সুন্নাহ

বিঃদ্রঃ দয়া করে সবাই শেয়ার করুন, অন্যদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন।