রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৪

একটি হজ্জ ও একটি ওমরার সমান সওয়াব পাওয়ার আমল

একটি হজ্জ ও একটি ওমরার সমান সওয়াব পাওয়ার আমলঃ
একটি হজ্জ ও একটি ওমরার সমান সওয়াব পেতে চাইলে,
ð  ফযরের ফরয সালাত আদায় করার পর জায়নামাযেই বসে থাকতে হবে, কোন প্রয়োজন ছাড়া উঠা যাবেনা। পুরুষদেরকে সালাত জামাতে পড়ে মসজিদে বসতে হবে, আর নারীদেরকে ঘরে সালাত আদায় করার পর জায়নামাযেই বসতে হবে
ð জায়নামাযে বসা অবস্থাতে যিকর-আযকার, ক্বুরান তেলাওয়াত, দুয়া, দুরুদ ইত্যাদি নফল ইবাদত করতে হবে। উল্লেখ্য, এসময় মসজিদে জোরে জোরে সম্মিলিত যিকির করা যাবেনা, কারণ সেটা বিদাত। তাবলীগ জামাতের ফাযায়েলে আমল বা বেহেশতি জেওর, মুকসুদুল মুমিনিন, নেয়ামুল কুরান, বানোয়াট ওযীফা সহ কোন ধরণের শিরকি, বিদাতী কিতাব বা জাল হাদীসের বয়ান ও বানোয়াট কিচ্ছা পড়া যাবেনা বা শোনা যাবেনা। তবে যেকোন ক্বুরান হাদীসের বই বা সহীহ হাদীস ভিত্তক বই-পত্র পড়া যাবা বা সেইগুলো শিক্ষা দেওয়া হয় এমন কোন দারসে বসা যাবে।
ð এইভাবে যতক্ষন পর্যন্ত না বেলা উঠে সালাতের জন্য নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এইভাবে অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়টা হচ্ছে ফযরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে বেলা উঠা শুরু হলে  সূর্যোদয় শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর্যন্ত হচ্ছে সালাতের জন্য নিষিদ্ধ সময়। মোবাইলে সফটওয়ার দেখে বা নিউজপেপার থেকে ফযরের ওয়াক্তের শেষ সময়ের সাথে ২০-২৫ মিনিট সময় যোগ করে সহজেই এই সময়টা বের করা যায়।
ð বেলা উঠে সালাতের জন্য নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শেষ হলে ২ রাকাত নফল সালাত পড়তে হবে। এই সালাতের আলাদা কোন নিয়ত না নিয়ম নেই, সাধারণ নফল সালাতের নিয়ত করে স্বাভাবিক নিয়মেই ২ রাকাত নফল সালাত পড়তে হবে। এই সালাতকে ইশরাকের সালাত বলা হয়।
ð এই নিয়মে ২ রাকাত ইশরাকের সালাত আদায় করলে পূর্ণ একটি হজ্জ ও পূর্ণ একটি উমরার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এর প্রতিদান হিসেবে পূর্ণ একটি হজ্জ ও পূর্ণ একটি ওমরার সমান সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।
আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামাআতে আদায় করে, তারপর সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহ তাআলার যিকর করে, তারপর দুই রাকাত সালাত আদায় করে, তার জন্য একটি হজ্জ ও একটি উমরার সমান সওয়াব রয়েছে। আনাস রাদিয়াল্লাহ আনহু আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পূর্ণ, পূর্ণ, পূর্ণ (হাজ্জ ও উমরার সাওয়াব)।
[তিরমিযী, হাদীস নং- ৫৮৬] হাদীসটিকে ইমাম ইবনে বাজ রাহিমাহুল্লাহ হাসান লিগাইরি এবং শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাসান সহীহ বলেছেন। তাআলীকুর রাগীবঃ ১/১৬৪, ১৬৫, মিশকাতঃ ৯৭১।


মানিকগঞ্জের ভন্ড পীর কি বলছে দেখুনঃ

মানিকগঞ্জের ভন্ড পীর কি বলছে দেখুনঃ

https://www.facebook.com/video.php?v=957777494254998

আল্লাহ নাকি ভেজাল বাজাইছে (নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক)!
আল্লাহ আসুক না দেহি, আমাগো লগে পারেনি? (নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক)!!

বেরেলুবি কবর মাযার পূজারীদের বিরুদ্ধে বললে দেওবন্দীরা খুশি হয়, কারণ তারা নিজেদের ‘হাক্কানী পীর’ বলে দাবী করে। আসলে হাক্কানী পীর বলেন আর ভন্ড পীর বলেন, পীর মানেই হচ্ছে শিরক-বেদাত। বাংলাদেশে দেওবন্দীদের সবচাইতে বুজুর্গ পীর হচ্ছে চোরমনাই! এই চোরমনাই সাবও মানিকগঞ্জের পীরের মতোি শিরকি-কুফুরী বক্তব্য দিয়ে ওয়াজ করে। কিন্তু যেহেতু সে দেওবন্দী ফেরকার অনুসারী, সেইজন্য অন্য দেওবন্দী আলেমরা চোরমনাইয়ের পক্ষে সাফাই গায়। চোরমনাইয়ের কুফুরী বয়ান নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই পোস্ট দেখুন -

https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/pb.125167817515974.-2207520000.1409369233./886620604704021/?type=1&source=42


এদের বিরুদ্ধে নাকি কিছু বলা যাবে না! যারাই এই সব জাহেলদের বিরুদ্ধে কথা বলবে তারাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে!!

প্রশ্নঃ নামাজের সিজদাতে বা তাশাহুদে বাংলায় দোয়া পড়া যাবে?

প্রশ্নঃ নামাজের সিজদাতে বা তাশাহুদে বাংলায় দোয়া পড়া যাবে?

উত্তরঃ আরবীতে দুয়া না জানলে, নফল-সুন্নত নামাযে বাংলা বা অন্য ভাষাতে দুয়া করা যাবে। তবে উত্তম হচ্ছে আরবীতে সুন্নতী কয়েকটি দুয়া মুখস্থ করে সেইগুলো দিয়ে দুয়া করা। আপনারা হিসনুল মুসলিম বইয়ে অনেক সহীহ দুয়া পাবেন, বা ক্বুরানের দুয়াগুলো মুখস্থ করে অর্থসহ বুঝে নামাযের সিজদাতে ও সালাম ফেরানোর পূর্বে দুয়া করতে পারেন।

যারা অত্যাধিক হাসি-ঠাট্টা করে

যারা অত্যাধিক হাসি-ঠাট্টা করে, আসলে তাদের অন্তরটা মৃত। তাদের থেকে সাবধান এদের মৃত/রুগ্ন অন্তরের প্রভাব আপনার উপরেও পড়তে পারে। রাসুল সাঃ বলেছেন, তোমরা অধিক হাসি-তামাশা করোনা, কারণ সেটা অন্তরকে মেরে ফেলে

বিয়ে-বহির্ভূত প্রেম-ভালোবাসা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মানুষ প্রেমে পড়ে পরপুরুষ বা পরনারীর প্রতি কামনা সহকারে দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে এবং তাকে ঘিরে জল্পনা-কল্পনা করার কারণে। একারণে অবৈধ দৃষ্টিপাতকে শয়তানের তীর বলা হয়েছে, যার দ্বারা শয়তান অপরিণত অন্তরগুলোকে কবজা করে। বারবার কারো চেহারার দিকে তাকানোর মাধ্যমে তার ছবিটা অন্তরে ক্যামেরার ছবির মতো জমা হয়ে তার প্রতি অনিয়ন্ত্রিত আবেগের জন্ম হয়। এজন্য ইসলাম পুরুষ ও নারীদেরকে পরনারী অথবা পরপুরুষের প্রতি দৃষ্টি অবনত রাখতে আদেশ করেছে এবং পরপুরুষের সামনে নারীদের চেহারা ঢেকে রাখা ওয়াজিব করেছে। রাসুল সাঃ বলেছেন, দুজন মানুষের প্রেমের জন্য বিয়ের চাইতে উত্তম অন্য কোন উপায় নেই

যারা বলে প্রেম পবিত্র.....

যারা বলে প্রেম পবিত্র.....

পবিত্র কথাটা যেখানে সেখানে ব্যবহার করবেন না, কোনটা পবিত্র কোনটা খবিস বা অপবিত্র সেটা নির্ধারণ করেন আল্লাহ। আর বিয়ে বহির্ভূত প্রেম, পরকীয়াকে পবিত্র মনে করে বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারী বিকৃত রুচির লোকেরা। এইগুলো কোন মুসলমানের কথানা। যৌন বিকৃতির এই লোকগুলোই মুসলমানদের মাঝে ইউসুফ-জোলেখা নাম দিয়ে সম্মানিত নবীর নামে প্রেমের জঘন্য মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। মিশরের বাদশাহর স্ত্রী ছিলো চরিত্রহীনা নারী, যে ইউসুফ আঃ এর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে জিনার জন্য আহবান করেছিল। আল্লাহ তার সম্মানিত নবীকে এই নোংরামি থেকে হেফাজত রাখেন।


ইউসুফ আঃ এর নামে প্রেমের কাহিনী রটনা করা কুফুরী, নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। নারী পুরুষের মাঝে প্রেমের উতস হচ্ছে কাম, এই কথাকে যে অস্বীকার করে সে হয় অপ্রাপ্তবয়ষ্ক অথবা শয়তান তারর ব্রেইন ওয়াশ করেছে। প্রেম যদি বিয়ের মাধ্যমে হয়, সেটা জায়েজ এবং ভালো। আর বিয়ে বহির্ভূত হলে সেটা শয়তানের মায়াজাল, হারাম এবং মানুষের অনেক দুর্ভাগ্যের কারণ।

সৌদি আরবে সালাতের (নামাজের)

সৌদি আরবে সালাতের (নামাজের) সময় হলে ৫ মিনিট আগে থেকে হাইয়ার (সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধাদানকারী সংস্থা, ইসলামিক পুলিশ) লোকেরা গাড়ীতে করে এসে মাইকিং করে যায়,
সালাহ সালাহ আস সালাহ ইয়া আবদুল্লাহ... সালাহ...

তারপরে, আরেক দল আসে, চেক করতে নামাজের সময় কেউ দোকানপাট/ অফিস খোলা রাখল কিনা!

সাউদিতে নামাজের সময় সকল দোকান, কোম্পানি বন্ধ রাখতে হয়, এটা আইনে লিপিবদ্ধ আছে। কেউ খোলা রাখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যদিও কেউ খোলা রাখেনা, এটা সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে গেছে। বলা চলে, সৌদি আরবের এমন একটি সমাজ আছে যেখানে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক ভাবে সালাত কায়েম আছে।
সৌদি আরবে এই আইন ২/১ দিনে গড়ে উঠেনি! এর পিছনে মুজাদ্দিদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রাহঃ) থেকে শুরু আজকের উলামারা পর্যন্ত মানুষ কে নামাজের হেফাজতের জন্য, বেনামাজির বিধান, নামাজের গুরুত্ব ইত্যাদির ব্যাপারে ওয়াজ নাসিহাত এবং নামাজী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মেহনত করে যাচ্ছেন! অতঃপর সাউদিতে এটা এখন এখানে সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে যে নামাজের সময় সকল কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। শুধু আইন করেই ক্ষান্ত হয়নি প্রশাসন! কেননা জোর জবস্তি করে মানুষের দেহে প্রভাব বিস্তার করা যায় কিন্তু মানুষের অন্তরকে শাসন করা যায় না! তাই তো আল্লাহপাক নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে ইসলামের দাওয়াতের নীতিমালার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন,
ﻓَﺬَﻛِّﺮْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺃَﻧﺖَ ﻣُﺬَﻛِّﺮٌ
ﻟَّﺴْﺖَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﺑِﻤُﺼَﻴْﻄِﺮٍ
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা মাত্র, আপনি তাদের উপরে শাসক নন!
(যে তাঁদের কে পিটিয়ে বাধ্যকরে হক কে কবুল করাবেন)
[সুরা গাশিয়াহ: ২১-২২]

কোন 'আইন' সাফল্যর মুখ দেখে তখনই যখন সমাজের মানুষ ঐ আইন কে শ্রধার চোখে দেখে মেনে নেয়, কিন্তু বোঝা হিসেবে দেখলে ঐ আইন সমাজে কখনো সাফল্যর মুখে দেখে না!
যেমন, তালেবান দের শাসন আমলে যুবকদের দাঁড়ী রাখা বাধ্যতামূলক ছিল! দাঁড়ী বিহীন কেউকে দেখলে ৭০ দিনের জেল দিত! যখন তালেবানরা ক্ষমতা থেকে চলে গেছে তখন সেলুনে লাইন লেগেছে গেছে দাঁড়ী কামানোর!

আমাদের বাংলাদেশে যদি রাতারাতি সৌদি আরবের মতো এই আইন চালু করে দেয় যে, আগামীকাল থেকে নামাজ চলাকালীন সময়ে সমস্ত কিছু বন্ধ রাখতে হবে, মেয়েদের বোরকা পড়া ব্যতীত বাহিরে বের হলে শাস্তি দেওয়া হবে! তাহলে বলুন, এই আইন কি আদৌ সাফল্যর মুখ দেখবে? এইসব আইন করতে হলে প্রয়োজন সমাজে প্রচুর ভাবে ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং আলেম উলামাদের ইখলাছের সহিত মেহনত করা।

শাইখ সাইফুদ্দিন বেলাল আমাদের সাথে এক অন্তরঙ্গ আলাপে একটি কথা বলেছিলেন যা আমারএখনো মনে আছে, কাউকে কোন কাজ ভালো মতো বুঝিয়ে না দিয়ে তাকে ঐ কাজের দায়িত্বশীল করে দেওয়া বড় অন্যায়!

---collected from জনৈক সৌদি প্রবাসী ভাই


প্রশ্নঃ মানুষ পাপ কাজ কেনো করে?

প্রশ্নঃ মানুষ পাপ কাজ কেনো করে?
উত্তরঃ মানুষের পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলোঃ
১. শাহওয়াত (কামনা/বাসনা/কুপ্রবৃত্তিকে) প্রাধান্য দেওয়া
২. আল্লাহকে যথাযথ ভয় না করা
৩. আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে গাফেল বা উদাসীন থাকা।
৪. হালাল-হারাম, সুন্নত-বিদাত, ফরয-ওয়াজিব না জানা। এককথায় দ্বীনি জ্ঞান না থাকা।

শাহওয়াতের তাড়নায় মানুষ যখন পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে তখন বিবেক হারিয়ে ফেল, জাহান্নামের শাস্তির কথা ভুলে যায় বা জাহান্নামের শাস্তিকে হালকা ব্যপার মনে করে। এটা চরম অজ্ঞতা, কারণ আমরা আসলে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে জ্ঞান রাখিনা এবং এই ব্যপারে প্রকৃত ঈমান দুর্বল। যাইহোক,

জাহান্নামের সবচাইতে হালকা(!) শাস্তি যাকে দেওয়া হবে তার বর্ণনাঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "জাহান্নামীদের মাঝে সবচাইতে হালকা শাস্তি যাকে দেওয়া হবে, তাকে এক জোড়া আগুনের জুতা পড়িয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে তার মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে।" [মুসনাদে আহমাদ]
কিন্তু সে মনে করবে, তাকেই বুঝি সবচাইতে কষ্টকর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে!!

লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। নিচে আমি কয়েকটি কবীরাহ গুনাহ (যার জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে) কিন্তু ছোটখাট বিষয় মনে করে অধিকাংশ মানুষ এইগুলোতে লিপ্ত, এমন কিছু পাপের নাম উল্লেখ করলাম। পরকালে বিশ্বাসী ভাই-বোনদের আন্তরিকভাবে অনুরোধ করবো, এইগুলো থেকে তোওবা করে ফিরে আসার জন্য।

বহুল প্রলচিত কবীরাহ গুনাহসমূহঃ
১. বেনামাযী হয়ে থাকা, ইচ্ছা করে নামাযে অবহেলা করা বা নামায কাযা করা।
২. ছেলদের টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়া।
৩. দাড়ি শেইভ করা।
৪. বেপর্দা চলাফেরা করা, সাজগোজ করে প্রপুরুষের সামনে যাওয়া।
৫. হারাম ইনকামে লিপ্ত থাকা।
৬. গান শোনা, টিভিতে হারাম অনুষ্ঠান দেখা, গল্প-উপন্যাস পড়া। এই সবগুলোর সাথেই অশ্লীলতা জড়িত।
৭. নারী-পুরুষের মাঝে অবৈধ সম্পর্ক, যিনা-ব্যভিচার ও পরকীয়া।
৮. গীবত করা।
৯. দ্বীন শিক্ষা না করা, ক্বুরান-সুন্নাহ থেকে দূরে থাকা।
১০. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, তাদেরকে অবহেলা/অসম্মান করা।
১১. স্বামী/স্ত্রীর হক্ক আদায় না করা, তাদের প্রতি জুলুম অত্যাচার করা।
১২. বিদাতি দলের সাথে জড়িত থাকা, দ্বীনি ব্যপারে আন্দাজে, মনগড়া কথা বলা।
১৩. স্ত্রীর মাসিক অবস্থায় অথবা পায়ুপথে মিলন করা।
১৪. স্বামী আহবান করলে সাড়া না দেওয়া বা স্বামীর অবাধ্য হওয়া।
১৫. স্ত্রী কারণে বাবা-মায়ের সাথে, অথবা বাবা-মায়ের কারণে স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করা।
১৬. স্ত্রী-সন্তানকে বেপর্দায় রাখা, তাদের ভরণ-পোষণ না দেওয়া।
১৭. অপচয় করা।
১৮. কৃপণতা করা।
১৯. হালাল-হারাম পরোয়া না করা।
২০. কাফেরদের সংস্কৃতির তাকলিদ বা অন্ধ অনুকরণ করা।
২১. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা।

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

ইসলামের সুসভ্য দৃষ্টিতে নারীর পর্দা ও সভ্য লেবাসের কয়েকটি শর্ত:

ইসলামের সুসভ্য দৃষ্টিতে নারীর পর্দা ও শালীন পোশাকের কয়েকটি শর্তঃ ১. মুসলিম মহিলা যে পোশাক ব্যবহার পড়বে তাতে যেন হিজাব-পর্দা রক্ষা হয়; অর্থাৎ সেই পোশাক যেন তার সারা দেহকে আবৃত করে। সুতরাং, যে লেবাসে নারীর মাথা ও চুল, ঘাড়, বক্ষদেশ, উদর ও পৃষ্ঠদেশ (যেমন, শাড়ি ও খাটো ব্লাউজে) এবং হাঁটু ও পা (যেমন স্কার্ট, ঘাগরা, ফ্রক, থ্রি-কোয়ার্টার চুজ পায়জাম ইত্যাদিতে) প্রকাশিত থাকে তা গায়ের মাহরাম (যেই পুরুষদের সাথে বিয়ে জায়েজে, তাদের সামনে) পরিধান করা হারাম। ২. নারীদের পোশাক যেন সৌন্দর্যমন্ডিত ও দৃষ্টি-আকর্ষণকারী না হয়। সুতরাং, এমব্রয়ডারি করা আকর্ষণীয়, চকচকে রঙিন বোরকা পরিধান করা জায়েজ নয়। ৩. পোশাক এমন পাতলা যেন না হয় যাতে ভিতরের চামড়ার রঙ নজরে আসে। অতএব কাফের ব্যভিচারী, পতিতা নারী (নায়িকা/গায়িকাদের) অনুকরণে পাতলা শাড়ি, উড়না প্রভৃতি কোন মুসলিম মহিলার ড্রেস হতে পারেনা। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী; যাদেরকে আমি এখনো দেখিনি। (অর্থাৎ তারা ভবিষ্যতে মুসলমানদের মাঝে আসবে।) প্রথম শ্রেণীঃ (অত্যাচারীর দল) - যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক, যদ্দারা তারা মানুষদেরকে প্রহার করবে। দ্বিতীয় শ্রেণীঃ (ফাহেশা নারী) - তারা হচ্ছে সেই নারীদল; যারা কাপড় তো পরিধান করবে, কিন্তু কাপড়ে পড়েও বস্তুতঃ তারা উলঙ্গ থাকবে, যারা পুরুষদেরকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও পর পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে। যাদের মস্তক (চুল খোপা বেঁধে) উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিটুকুও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধি এত এত দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে।” ৪. এমন টাইটফিট বা আঁট-সাঁট যেন না হয়; যাতে দেহাঙ্গের উচ্চতা ও নীচতা এবং আকার ও আকৃতি কাপড়ের উপরে থেকেও বুঝা যায়। তাই এমন চুস্ত ও ফ্যাশনের লেবাস মুসলিম নারী পরিধান করতে পারে না, যাতে তার শরীরের ভাজ প্রকাশ পায়। ৫. এই লেবাস যেন পুরুষদের পোষাকের অনুরূপ না হয়। সুতরাং প্যান্ট, শার্ট, প্রভৃতি পুরুষদের মত পোশাক কোনো মুসলিম মহিলা ব্যবহার করতে পারে না। যেহেতু পুরুষদের বেশধারিণী নারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ থাকে, তাই কোনো নারীর জন্য পুরুষের বেশ ধারণ করা উচিত নয়। রাসূল সা. বলেছেন, “নারীদের বেশধারি পুরুষের উপর অভিশাপ এবং পুরুষদের বেশধারিণী নারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ”। ৬. তদ্রূপ তা যেন কাফের মহিলাদের অনুরূপ না হয়। অবশ্য ঢিলে ম্যাক্সি ও শেলোয়ার কামীস এবং তার উপর চাদর বা উড়না; যা মাথার কেশ, বক্ষস্থল ইত্যাদি আচ্ছাদিত করে তা মুসলিম নারীর লেবাস। কেবলমাত্র শেলোয়ার কামীস বা ম্যাক্সি অথবা তার উপর বক্ষে ও গ্রীবায় থাক বা ভাঁজ করা উড়নার লেবাস কাফের মহিলাদের। অনুরূপ শাড়ি যদি সর্বশরীরকে ঢেকে নেয় তবে মুসলিমদের; নচেৎ থাক করে বুকে চাপানো থাকলে তথা কেশদাম ও পেট-পিঠ প্রকাশ করে রাখলে তা কুফফার মহিলাদের লেবাস। আর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কোন ব্যক্তি যেই জাতির অনুকরণ করবে, সে সেই জাতির দলভুক্ত বলে গণ্য হবে”। ৭. এই পোশাক যেন জাঁকজমক ও আড়ম্বরপূর্ণ তথা প্রসিদ্ধিজনক না হয়। ৮. লেবাস যেন সুগন্ধিত বা সুরভিত না হয়। রাসুলুল্লাহ সা বলেছেন, যে নারী সুগন্ধি ছড়িয়ে লোকালয়ে যায়, সে ব্যভিচারিনী নারী। ৯. প্রকাশ যে, নারীদের সাবালিকা হওয়া মাত্রই এই শর্তের পোশাক পরা ওয়াজেব। ---আল্লামাহ, মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ।

“ইলম ও আলেম”

ইলম ও আলেম
আজকাল মানুষ মনে করে, যারা টিভিতে লেকচার দেয় এরাই বুঝি বড় আলেম। অথবা কিছু ওয়াজ করতে পারলে বা মনগড়া লেখা লিখতে পারলেই, মানুষ তাকে বড় জ্ঞানী মনে করছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, মানুষ সত্যিকারের মুজতাহিদ আলেমদেরকে চেনে না। রেডিও ও টিভির তালেবুল ইলম, দ্বাইয়ী, লিখক ও বক্তাদেরকেই আলেম মনে করে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। যাইহোক, একই নামে বর্তমান যুগের কয়েজকন বড় আলেমের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ-
. শায়খ সালেহ বিন আব্দুল্লাহ আল-ফাওজান
২. শায়খ সালেহ বিন আব্দুল আজীজ আহলে-শায়খ
৩. শায়খ সালেহ আল-লুহাইধান
৪. শায়খ সালেহ আস-শুহাইমি

একটা কথা উল্লেখ করছি, একবার একজন লোক স্বপ্ন দেখলো তার ছেলে অনেক বড় আলেম হয়েছে। সে অনেক আশা নিয়ে তার ছেলের নাম রাখলো সালেহ যার অর্থাৎ নেককার। তিনি তার সেই ছেলেকে আলেম বানানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু আল্লাহর কি ইচ্ছা সেই ছেলে কোন আলেম হলোনা! যাই হোক, সেই ছেলে তার এক ছেলের নাম রেখেছিলো মুহাম্মাদ। এই মুহাম্মদকে তিনি পড়তে পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন সৌদি আরবের সবচাইতে বড় আলেম ও মুফাসসির, আল্লামাহ আব্দুর রহমান ইবনে নাসির আস-সাদী রাহিমাহুল্লাহর মাদ্রাসায়। সেই ছেলে ইমাম আস-সাদীর কাছে পড়াশোনা করে ইলম অর্জন করলো এবং পরবর্তীতে অনেক বড় আলেম হয়েছিলেন, যাকে মানুষ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন (অর্থাৎ সালেহ এর ছেলে মুহাম্মদ) বা শায়খ ইবনে উসায়মিন নামে বেশী চেনে। এইভাবে, আল্লাহ তাআলা শায়খ ইবনে উসায়মিন এর দাদার স্বপ্ন তার নাতিকে দিয়ে সত্যি করেছিলেন। উল্লেখ্য, হাদিসে নাতি-নাতনীদেরকে সন্তান বলা হয়েছে, তারা আসলে সন্তানের মতোই।

আল্লাহর কাছে ইলম চাওয়ার ছোট্ট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দুয়াঃ
আল্লাহ যখন কারো ভালো করতে চান তখন তাকে অনেক টাকা পয়সা, ভালো স্বামী বা স্ত্রী, দামী গাড়ি দেননা। যদিও আমরা এইগুলোকেই কল্যানের বিষয় মনে করি। পার্থিব সুখ স্বাচ্ছন্দ কখনো আল্লার নেয়ামত হতে পারে, কখনোবা আল্লাহর পরীক্ষা হতে পারে। কিন্তু আল্লাহ যখন কারো কল্যান করতে চান, তখন তাকে ফিকহ বা দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।
আর সেই জ্ঞান চাওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শেখানো সুন্দর ছোট্ট একটা দুয়া আছে, আপনারা মুখস্থ করে নিতে পারেন।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نَافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান নাফিআন, ওয়া রিযক্বান ত্বাইয়্যিবান ওয়া আমালাম মুতাক্বাববালান।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র জীবিকা ও গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।
ইবনে মাজাহ, হিসনুল মুসলিম পৃষ্ঠা ১১৩।
এই দুয়াটা আমার প্রিয় কারণ, এর সাথে আরো দুইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চাওয়া হয়েছে রিযকান ত্বাইয়্যিবান বা পবিত্র জীবিকা এর দ্বারা দুনিয়াবি চাহিদার পূরণের জন্যও দুয়া করা হলো আর, আমালান মুতাক্বাব্বালান বা এমন আমল যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়, পরকালের জন্য যা প্রয়োজন তাও প্রার্থনা করা হলো।
এতো গুরুত্বপূর্ণ তিনটা বিষয় একসাথে ছোট্ট একটা দুয়ার মধ্যে থাকায় আমাদের সবার শিখে নেওয়া উচিত।
এই দুয়া প্রত্যেকদিন ফযরের নামাযের পর একবার পড়া সুন্নত। এছাড়া সিজদাতে, সালাম ফিরানোর আগে সহ যেকোনো সময় করা যাবে। আরবীতে না পারলে বাংলাতেও করা যাবে, যতদিন না মুখস্থ হচ্ছে।
দুয়াটা পাওয়া যাবে হিসনুল মুসলিম বইয়ের ১১৩ নাম্বার পৃষ্ঠায়। দিনে রাতে যে কোনো সময় আমল করার জন্য এই বইয়ের সবগুলো দুয়াই সহীহ, আর দাম মাত্র ৫০ টাকা। ছোট্ট এই বইটা পকেটে রেখে দেওয়া যায়, রাস্তায়, জার্নিতে, বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষায় বা যে কোনো অবসব সময়ে বের করে দুয়াগুলো শিখে বা পড়ে সময়টা নষ্ট না করে কাজে লাগানোর জন্য।

ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, দ্বীনের কথা প্রচার করার সুযোগকে কাজে লাগান।

বিয়ের জন্য কেমন পাত্রী চাই?

বিয়ের জন্য কেমন পাত্রী চাই?
হাদীস অনুযায়ী বিয়ের জন্য যে সমস্ত বিষয়গুলো দেখে নারীদেরকে বাছাই করা উচিত, সে সম্পর্কে কিছু বিষয় বর্ণনা করা হলো।

১. ঈমান
বিবাহের জন্য সবার প্রথম পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ঈমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাওহীদে বিশ্বাসী, নামাযী এবং সুন্নতের অনুসারী এমন কারো জন্য বেনামাযী, কবর, মাযার আর পীর পূজারী, মনপূজারী অথবা দুনিয়া পূজারী, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র বা প্রচলিত শিরকি-কুফুরীর রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কাউকে বিয়ে করা যাবেনা। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ঈমান গ্রহণ করে। নিশ্চয়ই একজন মুসলমান ক্রীতদাসী, মুশরেক স্বাধীনা নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও (দুনিয়ার চাকচিক্য, সৌন্দর্য অথবা সম্পদের কারণে) তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাস একজন স্বাধীন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা (কাফের/মুশরেক) তোমাদেরকে জাহান্নামের দিকে আহবান করে, আর আল্লাহ তাঁর আদেশের মাধ্যমে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন, যাতে করে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। [সুরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত ২২১ এর তর্জমা]

২. দ্বীনদারী বা ধার্মিকতা
দুনিয়াতে মুসলমান অনেক ধরণেরই আছে কিন্তু, এই দুনিয়ার মাঝে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। সম্পদ বা সৌন্দর্যের লোভে বেদ্বীন বা দ্বীনের মাঝে ত্রুটি আছে এমন কাউকে বিয়ে করলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের অনেক কল্যান ও শান্তি থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এ প্রসংগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, মানুষ সাধারণত নারীদের মাঝে চারটি গুণ দেখে বিবাহ করে, তার ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং ধর্ম। (কিন্তু এমন করবেনা), তোমরা বিয়ের জন্য ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার দাও। তোমরা যদি ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার না দাও, তাহলে অবশ্যই তোমাদের দুই হাত ধূলায় ধূসরিত হবে (অর্থাৎ, নিশ্চয়ই সেটা তোমাদের জন্য মন্দ ও অকল্যান ডেকে আনবে)।
সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতঃ ৩০৮২, ৩০৯০, বিবাহ অধ্যায়।

৩. পর্দানশীল ও বিনয়ী
বেপর্দা নারী মানেই অহংকারী, অহংকারী কারো জন্য স্বামীর আনুগত্য বজায় রাখা খুবই কষ্টকর, আর এদের মাঝে খুব কম সংখ্যক নারীই জান্নাতে প্রবেশ করবে। অথচ শিক্ষিত/অশিক্ষিত, আলেম হোক আর জালেম হোক, শতকরা ১০০ ভাগ পুরুষ স্ত্রীর কাছ থেকে আনুগত্য কামনা করে, এবং স্ত্রীর অবাধ্যতাকে ঘৃণা করে।

একবার এক সফরে রাসুল (সাঃ) সাহাবাদেরকে নিয়ে একটা পাহাড়ে উঠলেন। সেখানে হঠাত তারা একটা কাক দেখতে পেলেন, যার পা ও ঠোট ছিলো লাল। এই ধরণের কাক আসলে খুবই বিরল, দেখতে পাওয়া যায়না বললেই চলে। সাহাবারা এতো বিরল একটা জিনিস দেখে আশ্চর্য হয়ে বলাবলি করতে লাগলেন। রাসুল সাঃ তখন বললেন, এইরকম কাকের মাঝে লাল পয ও লাল ঠোটওয়ালা কাক যেমন অত্যন্ত বিরল, তেমনি নারীদের মাঝে যারা বেপর্দা চলাফেরা করবে তাদের মাঝে খুব কম সংখ্যক নারীই জান্নাতে প্রবেশ করবে।

৪. ইলম ও আমল
ইলম ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা বা বিপদ-আপদ ও ফেতনার সময়ে ঈমান নিয়ে টিকে থাকা খুবই কষ্টকর, যা বর্তমান যুগে খুব বেশি অনুভূত হচ্ছে। সংগী/সংগিনীর যদি ইলমের ব্যপারে ত্রুটি থাকে, তাহলে তার প্রভাব আপনার উপরেও পড়বে। রাসুল সাঃ বলেছেন, একজন মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের উপরেই আছে।

থিওরিটিক্যালি স্বামী/স্ত্রী একজন অপরজনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হওয়ার কথা। সুতরাং, জ্ঞানী, ইসলামী জীবন-যাপনে আগ্রহী ও অভ্যস্ত এমন কাউকে বিয়ে করতে চেষ্টা করুন যে আপনার দ্বীনের ব্যপারে সাহায্যকারী হবে, বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেনা।

>>>  প্রেমময়ী এবং অধিক সন্তান জন্মদানকারী  <<<
এক ব্যক্তি নবী করীম (সাঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলল, আমি একজন সুন্দরী এবং উঁচু বংশের রমনীর সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সে কোন সন্তান প্রসব করে না (বন্ধ্যা) । আমি কি তাকে বিবাহ করব? তিনি বলেন, না। অতঃপর, সে ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এসে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলো, তিনি পুনরায় তাকে নিষেধ করলেন। পরে তৃতীয়বার সে ব্যক্তি এলে তিনি বলেন, তোমরা এমন স্ত্রীলোকদের বিবাহ করবে, যারা স্বামীদের অধিক মহব্বত করে এবং অধিক সন্তান প্রসব করে। কেননা আমি (কিয়ামতের দিন) তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে (পূর্ববর্তী উম্মতের উপর) গর্ব প্রকাশ করব।

৫. প্রেমময়ী
মানুষ স্বামী/স্ত্রীর কাছ থেকে যা কামনা করে, তা না পেলে অনেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আর এই কুপথে না গেলেও, সারাজীবনের জন্য সেটা একটা অভিশাপ হিসেবেই থেকে যাবে। তাই, নারী পুরুষ উভয়ের উচিত সংগির হক্ক পূর্ণভাবে আদায় করার ব্যপারে সজাগ থাকে।

৬. অধিক সন্তান জন্মদানকারী
রাসুল সাঃ পুরুষদেরকে অধিক সন্তান জন্মদানকারী নারীদেরকে বিয়ে করার উতসাহিত করেছেন, এর দ্বারা উম্মতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যা নিয়ে কেয়ামতের দিন রাসুল সাঃ গর্ব করবেন। এছাড়া সন্তানদেরকে হাদিসে #রিযক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিছু ওলামা বলেছেন, কোন নারী অধিক সন্তানদানকারী হবে কিনা, সেটা বোঝার জন্য তার মা ও খালার সন্তানের সংখ্যা কত, তার দিকে লক্ষ্য করতে বলেছেন। কোন মেয়ের মা ও খালা যদি অধিক সন্তান জন্মদানকারী হয়ে থাকে, তাহলে আশা করা যেতে পারে সেও অধিক সন্তান জন্মদানকারী

৭. কুফু বা সমতা
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং কুফু (সমতা) দেখে বিবাহ কর।
ইবনু মাজাহঃ ১৯৬৮; হাদীসটি সহীহ শায়খ আলবানী। সিলসিলা সহীহাহঃ ১০৬৭।

বিয়ের সময় নারী ও পুরুষের মাঝে অবশ্যই কুফু বা সমতার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। দাড়ী কামাতে অভ্যস্ত, হারাম ইনকাম এমন কোন পুরুষের সাথে যদি ক্বুরানের হাফিজাহ কোন নারীকে বিয়ে দেওয়া হয়, আর বিয়ের পরে স্বামী তাকে মডার্ণ ড্রেস পড়তে বাধ্য করে, হিন্দী গান শোনানোর বায়না ধরে তাহলেতো প্রবলেম। আবার কোন নারী যদি বিয়ের পরে যেকোন উপায়ে স্বামীকে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করতে চাপ দেয়, দাঁড়ি রাখা যাবেনা বায়না ধরে, মা-বাবার হক্ক আদায়ে বাঁধা দেয়...এই সংসারে আর যাই হোক সুখ নামক নামক অচিন পাখিটা কখনো ধরা দেবেনা। তাই বিয়ের পূর্বে সার্বিক দিক বিবেচনা করে কুফু রক্ষা করা উচিৎ।

৮. কুমারী
নারীদেরকে আল্লাহ তাআলা প্রেমময়ী, সহজাত লজ্জাবোধ ও কমনীয়তা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা পর্দানশীল কুমারী নারীদের মাঝে সবচাইতে বেশি থাকে। এইজন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাতী নারীদেরকে চিরকুমারী করে সৃষ্টি করেছেন। রাসুল সাঃ বলেছেন, তোমরা কুমারী মেয়েদেরকে বিয়ে করো, কারণ তারা মিষ্টিভাষী, অধিক সন্তান জন্মদানকারী এবং অল্পে তুষ্ট হয়ে থাকে। [তাবারানি, হাদীসটি হাসান সহীহ]

পূর্বে বিয়ে হয়েছে, এমন কেউ স্বভাবতই ম্যাচিউরড হবে এবং অনেক হিসাবী হবে। তবে অকুমারী মেয়েদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ বা অপছন্দনীয় কোন বিষয়, এমন নয়। স্বয়ং রাসুল সাঃ এর স্ত্রীদের মাঝে মা আয়িশাহ রাঃ ছাড়া অন্য সব স্ত্রী ছিলেন অকুমারী। এছাড়া একজন সাহাবী অকুমারী মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন যাতে করে সে তার ৭ জন ছোট বোনদের দেখাশোনা করতে পারে।

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাঃ এর যুগে এক মহিলাকে বিবাহ করলাম। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন, হে জাবির! তুমি কি বিবাহ করেছো? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম, বিধবা। তিনি বললেন, কেন তুমি কুমারী মেয়ে বিবাহ করলে না, তাহলে তার সাথে তুমি রসিকতা ও কৌতুক করতে পারতে? আমি বললাম, আমার কয়েকটি বোন আছে। তাই আমি আমার ও আমার বোনদের মধ্যে একটি কুমারী মেয়ের প্রবেশ করাকে সংকটজনক বোধ করলাম। তিনি বলেন, তাতো ভালো কথা।

বুখারীঃ ২০৯৭, মুসলিমঃ ৭১৫, তিরমিযীঃ ১১০০।

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪

দ্বীন Vs দুনিয়া 2

দ্বীন Vs দুনিয়াঃ

আচ্ছা বলুনতো, বেকার কোন ছেলে যদি কোন মেয়েকে বিয়ে করার বর্তমান যুগের কোন বাবার কাছে প্রস্তাব পাঠায়, তাহলে সেই বাবা তার মেয়েকে বিয়ে দিতে কোনদিন রাজি হতেন? বা আপনি নিজে হলে কি করতেন?

অথচ এই ছেলেটা যদি বড় কোন চাকুরী পেয়ে ঐ মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয় আমার মনে হয়, অনেক বাবাই আছেন ছেলে বেনামাযী হলেও তিনি কোন আপত্তি করবেন না। এ প্রসংগে শেখ সাদীর সেই বিখ্যাত গল্পটা স্বরণ করা যেতে পারে। একবার তিনি একজনের বাড়িতে মেহমান হিসেবে গেলেন, কিন্তু তার পড়নে তখন ছিলো পুরোনো কমদামী পোশাক। গৃহকর্তা তাকে গরীব মনে করে তেমন আদর-যত্ন ও সম্মান করলেন না আর ভৃত্যকে দিয়ে খাবার খেতে দিলেন, তাও নিম্নমানের খাবার। শেখ সাদী অন্য এক সফরে, সেই একই বাড়ীতে মেহমান হিসেবে গেলেন। এবার তার পড়নে ছিলো অনেক দামী পোশাক। এবার গৃহকর্তা তাকে অনেক আদর যত্ন ও সম্মান করলেন এবং তাকে নিজে সাথে নিয়ে দামী দামী খাবার খেতে দিলেন। শেখ সাদী তখন খাবারগুলো না খেয়ে তার পোশাকের মাঝে ভরতে লাগলেন। মেহমানের এমন অদ্ভুত আচরণ দেখে তিনি শেখ সাদীর কাছে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, ইতিঃপূর্বে আমি যখন কমদামী পোশাক পড়ে আপনার বাড়িতে আসি, আপনি আমাকে কম দামী খাবার দিয়েছিলেন। আর এখন আমার দামী পোশাক দেখে এই খাবারগুলো দিয়েছেন। সুতরাং, এই খাবারগুলো আপনি আসলে আমাকে দেন নি, আমার পোশাক দেখে দিয়েছেন, তাই এই খাবারগুলো আমার না খেয়ে আমার পোশাককেই খাওয়ানো উচিৎ। 

শেখ সাদীর এই বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ দেখে সেই লোক কোন শিক্ষা নিয়েছিলেন কিনা সেটা জানা যায়না, তবে আমরা আল্লাহর কাছে দুয়া করি, আল্লাহ যেন আমাদেরকে তার দ্বীনকে সত্যিকার অর্থে মূল্যায়ন করার তোওফিক দান করেন, আমিন।

উল্লেখ্যঃ ছেলে বেকার হলেও, যদি স্ত্রীর দেখাশোনা করতে পারে এবং দ্বীনদারীর দিক থেকে এগিয়ে থাকে তাহলে, সেই ছেলের ব্যপারে চিন্তা করা উচিৎ। আর দেখাশোনা করার মতো সামর্থ্য নেই, ,মেয়ের সাথে সমতা রক্ষা হয়না, তাহলে এমন ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়া নির্বুদ্ধিতা হবে। 

বেনামাযীকে নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১. বেনামাযীকে বিয়ে করা যাবে? 
২. বেনামাযী স্ত্রী/স্বামীর সাথে সংসার করার বিধান কি?
৩. কোন বেনামাযী রোযা রাখলে বা হজ্জ করলে, সেটা কি কবুল হবে?

গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন, আল-ফকীহ আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ। উৎস গ্রন্থঃ ফতোয়া আরকানুল ইসলাম। 

(১৯২) বেনামাযী স্বামীর সাথে মুসলিম নামাযী স্ত্রীর বসবাস করার বিধান কি? তাদের কয়েকজন সন্তানও আছে। বেনামাযীর সাথে মেয়ে বিবাহ দেয়ার বিধান কি?
উত্তরঃ কোন নারী যদি এমন লোককে বিবাহ করে, যে ছালাত আদায় করে না, জামাআতের সাথেও না বাড়ীতেও একাকি না। তার বিবাহ বিশুদ্ধ নয়। কেননা ছালাত পরিত্যাগকারী কাফের। যেমনটি আল্লাহর সম্মানিত কিতাব, পবিত্র সুন্নাত ও ছাহাবায়ে কেরামের উক্তি সমূহ একথাটি প্রমাণ করে। আবদুল্লাহ্‌ বিন শাক্বীক্ব বলেন,

]كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الْأَعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلَاةِ[

“নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)এর ছাহাবীগণ ছালাত ব্যতীত কোন আমল পরিত্যাগ করার কারণে কাউকে কাফের মনে করতেন না।” কাফেরের জন্য কোন মুসলিম নারী বৈধ নয়। আল্লাহ্‌ বলেন,

]فَإِنْ عَلِمْتُمُوهُنَّ مُؤْمِنَاتٍ فَلَا تَرْجِعُوهُنَّ إِلَى الْكُفَّارِ لَا هُنَّ حِلٌّ لَهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّ[

“যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্য হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্য হালাল নয়।” (সূরা মুমতাহিনাঃ ১০)

বিবাহের চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর যদি স্বামী ছালাত পরিত্যাগ করা শুরু করে তবে তওবা করে ইসলামে ফিরে না আসলে তার বিবাহ ভঙ্গ হয়ে যাবে। কতক বিদ্বান বলেছেন, বিবাহ ভঙ্গের বিষয়টি ঈদ্দতের সাথে সম্পৃক্ত। যদি ঈদ্দত পার হয়ে যায় তারপর সে তওবা করে ইসলামে ফিরে আসে তবে নতুন চুক্তি করে আবার উক্ত স্ত্রীকে ফেরত নিতে পারবে। উক্ত মহিলার জন্য আবশ্যক হচ্ছে বেনামাযী স্বামী থেকে আলাদা থাকবে। তাকে মেলামেশা করতে দিবে না- যতক্ষণ না সে তওবা করে ছালাত আদায় করে। যদিও তাদের সন্তান থাকে। কেননা এ অবস্থায় পিতার কোন অধিকার নেই সন্তানদের প্রতিপালনের।

এ উপলক্ষে আমি মুসলিম ভাইদেরকে সতর্ক করছি ও নসীহত করছি, তারা যেন কোন বেনামাযীর সাথে মেয়েদের বিবাহ সম্পন্ন না করেন। কেননা বিষয়টি অত্যন্ত ভয়ানক। এক্ষেত্রে তারা যেন নিকটাত্মীয় বা বন্ধুর সাথে কোন আপোষ না করেন। (আল্লাহ্‌ই অধিক জ্ঞাত আছেন)

(৪৪৯) বেনামাযীর হজ্জের বিধান কি? যদি এ ব্যক্তি তওবা করে, তবে সমস্ত ইবাদত কি কাযা আদায় করতে হবে?
নামায পরিত্যাগ করা কুফরী। নামায ছেড়ে দিলে মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। একথার দলীল হচ্ছে কুরআন, সুন্নাহ্‌ ও ছাহাবায়ে কেরামের উক্তি। অতএব যে লোক নামায পড়ে না তার জন্য মক্কা শরীফে প্রবেশ করা বৈধ নয়। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,

]يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا[

“হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা হচ্ছে একেবারেই অপবিত্র, অতএব তারা যেন এ বছরের পর মসজিদুল হারামের নিকটেও আসতে না পারে।” (সূরা তাওবাঃ ২৮)

যে ব্যক্তি নামায পড়ে না, তার হজ্জ বিশুদ্ধ হবেনা এবং কবূলও হবেনা। কেননা কাফেরের কোন ইবাদতই সঠিক নয়। আল্লাহ্‌ বলেন,

]وَمَا مَنَعَهُمْ أَنْ تُقْبَلَ مِنْهُمْ نَفَقَاتُهُمْ إِلَّا أَنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ وَلَا يَأْتُونَ الصَّلَاةَ إِلَّا وَهُمْ كُسَالَى وَلَا يُنفِقُونَ إِلَّا وَهُمْ كَارِهُونَ[

“আর তাদের দান খায়রাত গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এজন্যে যে, তারা আল্লাহ্‌র সাথে ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছে, তারা শৈথিল্যের সাথে ছাড়া ছালাত আদায় করে না। আর তারা দান করে না, কিন্তু অনিচ্ছার সাথে করে।” (সূরা তাওবাঃ ৫৪)

যে সমস্ত আমল তারা পূর্বে পরিত্যাগ করেছে তা কাযা আদায় করা আবশ্যক নয়। কেননা আল্লাহ বলেন,

]قُلْ لِلَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ يَنتَهُوا يُغْفَرْ لَهُمْ مَا قَدْ سَلَفَ[

“(হে নবী ব!) আপনি কাফেরদেরকে বলে দিন, তারা যদি অনাচার থেকে বিরত থাকে (এবং আল্লাহর দ্বীনে ফিরে আসে) তবে পূর্বে যা হয়েছে তা আল্লাহ্‌ ক্ষমা করবেন।” (সূরা আনফালঃ ৩৮)

সুতরাং যে ব্যক্তি এরূপ অন্যায় করেছে সে যেন আল্লাহর কাছে খাঁটিভাবে তওবা করে। নেক কাজ চালিয়ে যায়। বেশী বেশী তওবা ইসে-গফার ও অধিকহারে ভাল কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। আল্লাহ্‌ বলেন,

]قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ[

“বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছো তোমরা আল্লাহ্‌র রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সমস্ত গুণাহ্‌ ক্ষমা করেন। তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।” (সূরা যুমারঃ ৫৩)

যারা তওবা করতে চায় আল্লাহ্‌ তাদের জন্য এই আয়াতগুলো নাযিল করেছেন। সুতরাং বান্দা যে পাপই করে না কেন্ত যদি শির্কও হয় এবং আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহ্‌ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহই সরল সঠিক পথে হেদায়াতদানকারী।

(৪৪৯) বেনামাযীর হজ্জের বিধান কি? যদি এ ব্যক্তি তওবা করে, তবে সমস্ত ইবাদত কি কাযা আদায় করতে হবে?
উত্তরঃ নামায পরিত্যাগ করা কুফরী। নামায ছেড়ে দিলে মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। একথার দলীল হচ্ছে কুরআন, সুন্নাহ্‌ ও ছাহাবায়ে কেরামের উক্তি। অতএব যে লোক নামায পড়ে না তার জন্য মক্কা শরীফে প্রবেশ করা বৈধ নয়। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,

]يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا[

“হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা হচ্ছে একেবারেই অপবিত্র, অতএব তারা যেন এ বছরের পর মসজিদুল হারামের নিকটেও আসতে না পারে।” (সূরা তাওবাঃ ২৮)

যে ব্যক্তি নামায পড়ে না, তার হজ্জ বিশুদ্ধ হবেনা এবং কবূলও হবেনা। কেননা কাফেরের কোন ইবাদতই সঠিক নয়। আল্লাহ্‌ বলেন,

]وَمَا مَنَعَهُمْ أَنْ تُقْبَلَ مِنْهُمْ نَفَقَاتُهُمْ إِلَّا أَنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ وَلَا يَأْتُونَ الصَّلَاةَ إِلَّا وَهُمْ كُسَالَى وَلَا يُنفِقُونَ إِلَّا وَهُمْ كَارِهُونَ[

“আর তাদের দান খায়রাত গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এজন্যে যে, তারা আল্লাহ্‌র সাথে ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছে, তারা শৈথিল্যের সাথে ছাড়া ছালাত আদায় করে না। আর তারা দান করে না, কিন্তু অনিচ্ছার সাথে করে।” (সূরা তাওবাঃ ৫৪)

যে সমস্ত আমল তারা পূর্বে পরিত্যাগ করেছে তা কাযা আদায় করা আবশ্যক নয়। কেননা আল্লাহ বলেন,

]قُلْ لِلَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ يَنتَهُوا يُغْفَرْ لَهُمْ مَا قَدْ سَلَفَ[

“(হে নবী ব!) আপনি কাফেরদেরকে বলে দিন, তারা যদি অনাচার থেকে বিরত থাকে (এবং আল্লাহর দ্বীনে ফিরে আসে) তবে পূর্বে যা হয়েছে তা আল্লাহ্‌ ক্ষমা করবেন।” (সূরা আনফালঃ ৩৮)

সুতরাং যে ব্যক্তি এরূপ অন্যায় করেছে সে যেন আল্লাহর কাছে খাঁটিভাবে তওবা করে। নেক কাজ চালিয়ে যায়। বেশী বেশী তওবা ইসে-গফার ও অধিকহারে ভাল কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। আল্লাহ্‌ বলেন,

]قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ[

“বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছো তোমরা আল্লাহ্‌র রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সমস্ত গুণাহ্‌ ক্ষমা করেন। তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।” (সূরা যুমারঃ ৫৩)

যারা তওবা করতে চায় আল্লাহ্‌ তাদের জন্য এই আয়াতগুলো নাযিল করেছেন। সুতরাং বান্দা যে পাপই করে না কেন্ত যদি শির্কও হয় এবং আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহ্‌ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহই সরল সঠিক পথে হেদায়াতদানকারী।

ফুটনোটঃ

সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

অত্যাবশ্যকীয় পাঠ

আল্লামাহ আব্দুল আজিজ বিন বাজ রহিমাহুল্লাহ, সাবেক সউদি আরবের প্রধান মুফতি  লিখিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বইঃ

"ঈমান-আকীদা, পবিত্রতার বিধান, নামাজ শিক্ষা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী"

যে সমস্ত ভাই ও বোনেরা পূর্ণাঙ্গ নামাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ খুজছেন, তাদের জন্য উপকারে আসতে পারে এই বইটি ‘ইন শা আল্লাহ’।

ডাউনলোড লিংক - http://d1.islamhouse.com/data/bn/ih_books/single/bn_muslim_ummahr_guruttopurno_dars_shomuho.pdf

শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪

স্বাস্থ্য ও রূপচর্চা


স্বাস্থ্য ও রূপচর্চাঃ

=> দ্বীন মেনে চলুন, এর মাঝেই রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যান। দ্বীন মেনে চললে আপনি নিজেও হয়তোবা জানেন না কিভাবে যে উপকৃত হবেন। নারী-পুরুষের মাঝে অবাধ যৌন সম্পর্কের কারণে মানুষের মাঝে এইডস, সিফিলিস সহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ে, এটা মানুষ জেনেছে মাত্র কয়েক দশক হলো, অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সমস্ত নবী-রাসুলদের মাধ্যমে পাঠানো আসমানী কিতাবে বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে হারাম করেছেন এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। অনেকে মনে করে, তার প্রেমিক-প্রেমিকা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য কারণ সে নামাযী(!) বা হিজাবী(!), অথচ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে - ছেলেদের কারণে যেমন পতিতালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর পাশাপাশি অনেক মেয়ে কয়েকজন বয়ফ্রেন্ডের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছে। আর যাই হোক, প্রেমের কারণে  যে একজন ছেলে-মেয়ের সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে, অন্য আরেকটা প্রেমের কারণে তার অগোচরে আরেকজনের সাথে প্রেম/পরকীয়া করবেনা, এই গ্যারান্টি কে দিলো?

=> সিগারেট, জর্দা, তামাক, গুল এইসবগুলো হারাম ও নেশার দ্রব্য। তার উপরে এটা অপচয়, আর অপচয়কারী শয়তানের ভাই। অনেক বোকাশ্রেণীর ডাক্তারও এই খবিস নেশায় আক্রান্ত, অথচ তারা সবচেয়ে ভালো জানে - হার্ট, লাংস সহ অনেক অংগ-প্রত্যংগের রোগের বড় একটা কারণ হচ্ছে ধূমপান। সুতরাং হারাম খাবেন না, শয়তানের ধোঁকা থেকে ফিরে আসুন।

=> খাবার সময় কাঁচা লবণ খাবেন না, এটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। রাসুল সাঃ পাতে লবণ নিয়ে খেতেন এই মর্মে কোন সহীহ হাদীস নেই, এটা সুন্নাহ নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি বদঅভ্যাস।

=> প্রতিদিন টক জাতীয় ফল (যেমন লেবু) খাবেন, যা আপনাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করবে। তবে আচার জাতীয় খাবার আমাদের প্রিয় হলেও, এই ধরণের খাবার বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আচার বা প্রসেসড ফুড ও অতিরিক্ত ভাজা বা পোড়ানো খাবারে ফ্রী-রেডিক্যাল এর পরিমান বেশি থাকে। দিনের পর দিন বেশি পরিমানে ফ্রী রেডিক্যাল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ ক্যান্সারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।

=> সবজি জাতীয় খাবার অল্প আগুনে, ঢেকে রান্না করবেন। উচ্চ তাপমাত্রা ভিটামিনগুলোকে নষ্ট করে দেয় আর খোলা রান্না করলে জলীয় বাষ্পের সাথে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো উড়ে চলে যেতে পারে।

=> ছোট-বড় সকলের সাথে হাসিমুখে কথা বলুন এবং অন্তর থেকে হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকার ত্যাগ করুন। একেতো এটা জাহান্নামীদের কাজ, তার উপরে এটা আপনার উপর মানসিক স্ট্রেস তৈরী করে। মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলা প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর সুন্নাহ।

=> বেনামাযী ভাই ও বোনেরা নিয়মিত নামায পড়ুন। হাইয়া আলাল ফালাহ অর্থ হচ্ছে কল্যানের দিকে এসো। নামাযের মাঝে দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক কল্যান রয়েছে। ৫ বার ওযু ও নিয়মিত গোসল অনেক রোগ-জীবানু ও ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। মনকে রাখে সজীব ও সতেজ, যারা নামাযী তারা সকলেই এই কথা জানেন। তাই ইসলামের মাঝে ফিরে আসুন ও নামায পড়ে সৌভাগ্যের চাবি কাঠিকে বেছে নিন।

=> বোনেরা পূর্ণাংগ হিজাব-পর্দা করুন। সূর্যের আলো ও ধূলাবালি হচ্ছে ত্বক ও চুলের প্রধান শত্রু । হিজাব-পর্দা আপনাকে রুক্ষ আবাহাওয়া থেকে আপনার সৌন্দর্যকে রক্ষা করবে।