প্রশ্নঃ
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশানে যোগ দেওয়া যাবে? তাদেরকে কি যাকাত দেওয়া যাবে?
উত্তরঃ
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশানের গুরু ‘মহাজাতক’ শহীদ আল-বোখারী আসলে একজন ‘মহাপাতক’ বা মহাপাপী। আগে সে মানুষের হাত দেখে ভবিষ্যতবাণী
করতো এবং ভাগ্য পরিবর্তনের(!) শিরকি আংটি ও পাথর বিক্রি করে মানুষকে ধোঁকা দিতো। আসলে
সে একজন ধুরন্ধর ‘জ্যোতিষী’ বা গণক ঠাকুর। মিথ্যুক গণকেরা ‘গায়েব’ বা অদৃশ্যের জ্ঞানের দাবী করে, একারনে তারা
মুশরেক। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে
ব্যক্তি কোন গণকের কাছে গিয়ে কোন কিছু জিজ্ঞেস করবে, তার ৪০ দিনের সালাত কবুল হবে
না।” [সহীহ মুসলিম]
নবী
সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
“যে
ব্যক্তি কোন গণক বা জ্যোতিষের কাছে যায় এবং তার কথা সত্যি বলে বিশ্বাস করে, তাহলে সে
মুহাম্মাদ এর উপর নাযিলকৃত বিষয় (ক্বুরানুল কারীমের) সাথে কুফুরী করবে।” [সুনানে আবু দাঊদ]
গণকের
কথা যারা বিশ্বাস করে ও মানে, তারাও শিরকে লিপ্ত হয়ে মুশরেক হয়ে যাবে। যাই হোক, গণক
ঠাকুরের ব্যবসা আর আংটি বিক্রি করে যখন নাম-ডাক করে তখন ‘হিন্দু পন্ডিত’ রবি শংকরের মতো মহাজাতক ওরফে মহাপাতক হিন্দু,
বৌদ্ধ, সাধু সন্ন্যাসী ও বিভিন্ন সূফী পীর-মাশায়েখদের ধর্মের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার
ভ্রান্ত আকিদাহ, চিন্তা-ভাবনা ও ধ্যান-ধারণা ও পূজা-অর্চনা এবং তার সাথে উপরে উপরে
কিছু ক্বুরান হাদীসের কথা ও অপব্যখ্যা মিশিয়ে নতুন একটা খিচুড়ি মার্কা ধর্ম বানিয়েছে,
যার নাম দিয়েছে কোয়ান্টাম। নতুন এই মতবাদ প্রচার করে সে ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকা ইনকাম
করে নিচ্ছে। অল্প শিক্ষিত লোক, যাদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান জিরো, তারাই এদের চমকপ্রদ
কথার দ্বারা ধোঁকায় পড়ে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে ঈমান ধ্বংস করার কোর্সে(!) শরীক
হচ্ছে। কোয়ান্টাম ও মহাপাতক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আমি ‘সেবা প্রকাশনী’ নামক শয়তানীর সেবা থেকে প্রকাশিত মহাপাতক সাহেবের
লেখা একটা বই “কোয়ান্টাম মেথড” বইটা সংগ্রহ করি। যেখানে রয়েছে, হিন্দু, বৌদ্ধ,
সাধু-সন্ন্যাসীদের শিরকি ও কুফুরী আকীদাহ, ক্বুরান-হাদীসের অপব্যখ্যা, মনগড়া সম্পূর্ণ
বানোয়াট ও আজগুবী কথাবার্তা যার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। এই বইটাকে পোস্ট মর্টেম
করে একটা বই লেখা দরকার, যাতে করে যারা কোয়ান্টাম মেথডের অন্ধ মুরীদ তারা এই শয়তানের
পাল্লা থেকে তোওবা করে ফিরে আসে।
“কোয়ান্টাম
মেথড” বইয়ে “অন্তর্গুরু” নামক ২৬ নাম্বার অধ্যায়ে মহাপাতক সাহেব কোয়ান্টাম
মেথডের গুরু হিসেবে নিজেকে আল্লাহর সমান মর্যাদায় নিয়ে গেছে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)!
যেখানে দেখানো হয়েছে যে, অন্তর্গুরু যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ রাখে, সমস্ত কাজে
পথ দেখায়, যাকে যেকোন সময় ডাকলে সাড়া দেয়, কঠিন কাজগুলো করে দেয় ইত্যাদি। এছাড়াও এই
বইয়ে আর অনেক বড় বড় শিরক ও কুফুরী কথা রয়েছে, যা গুণে শেষ করে যাবেনা।
কোয়ান্টামে
যাকাত দেওয়া আর শয়তানকে সদকা দেওয়া একই কথা।