শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০১৫

ফিতরা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর

ফিতরা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর
- আনসারুস সুন্নাহ
____________________
১. ফিতরা কি?
সাওমের ভুল-ত্রুটির জন্য যেই কাফফারা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাকে ফিতরা বলা হয়।
২. ফিতরা কতটুকু দিতে হবে ?
এক সা' বা প্রায় আড়াই কেজি খাদ্য দ্রব্য।
৩.ফিতরা কখন দিতে হবে?
ঈদের চাঁদ উঠার পর থেকে ঈদের সালাত আদায় করার পূর্ব পর্যন্ত। তবে ২-১ দিন পূর্বে দেওয়াও জায়েজ আছে।
৪. কেও যদি টাকা দিয়ে ফিতরা দিয়ে দেয় তাহলে কি তার আবার দিতে হবে ?
হ্যা, তাকে আবার দিতে হবে। কারণ ইবাদত করতে হয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তরীকা মোতাবেক, অন্য কারো তরিকা মতে ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না। টাকা যা দান করেছেন সেটা নফল সাদাকাহ বলে গণ্য হবে, ওয়াজিব ফিতরা হিসেবে গণ্য হবেনা। উল্লেখ্য যারা না জেনে টাকা দিচ্ছেন, তাদের ওযর আছে যে তারা জানেন না, আমাদের উচিৎ তাদেরকে জানানো। কিন্তু কেউ জেনেশুনে ভুল করলে তাকে সেই ব্যপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
৫. কেও যদি এক জন মিস্কিনকে ১ কেজি ,আরেকজনকে দেড় কেজি দেয়, ফিতরা আদায় হবে কিনাকি এক জনকেই  পুরো আড়াই কেজি দিতে হবে??
হ্যা হবে, তবে একজনকে একজনেরটা দেওয়াই ভালো। একজনকে দিতে পারেন বা একাধিক জনকে।
৬. ঈদের  দুপুরের পর দিলে কিছু হবে কিনা? কিছু মিস্কিন দুপুরের দিকে আসে।
না হবেনা, ঈদের সালাতের পূর্বেই দিতে হবে।
৭. যারা দিন আনে দিন খায়, কিন্তু খেটে খায় তারা কি ফিতরা নিতে পারবে? ওরা ফিতরা পেলে খুশি হয়।
হ্যা পারবে।
৮. কাজের বুয়া ,গাড়ির ড্রাইভার ,বাগানের মালি ,ঝাড়ুদার তারা কি ফিতরা নিতে পারবে?
যদি অভাবী হয় পারবে।
৯. অনেকে অনেক রকম চাল খান ,তারা কি সেটাই দিবে নাকি কম দামের চাল পাওয়া যায় সেগুলো দিলেও চলবে ?
প্রত্যেকে নিজে যেই মানের চাল খায়, সেই মানের চাল দিয়ে দিতে হবে।
১০. কি কি দিয়ে ফিতরা দেয়া যায় ?

প্রধান খাদ্য দ্রব্য। আমাদের দেশে চাল বা গম।