(১) হাদীসে
বলা হয়েছে যে, খোরাসান থেকে কালো পতাকা নিয়ে একটি দল বের
হবে। সেই দল কোনটি?
উত্তরঃ আল কায়েদাহ, আইসিস, জেএমবির মতো এমন পথভ্রষ্ট দলের অনুসারী কিছু লোকেরা কালো পতাকা সম্পর্কিত কিছু হাদীস প্রচার করে থাকে। অথচ, কালো পতাকা নিয়ে কোন একটি সহীহ হাদীস নেই, এ সম্পর্কিত সবগুলো হাদীস জাল নয়তো জয়ীফ। বর্তমানে আইসিস নামক একটি দল এইরকম জাল ও জয়ীফ হাদিসের উপর ভিত্তি করে নিজেদেরকে সেই কালো পতাকাবাহী দল বলে দাবী করছে। অথচ আকিদাহগত দিক থেকে তারা খারেজীদের চাইতে নিকৃষ্ট।
(২) সৌদি সরকার ইসরাইলকে কিছু বলে না কেনো?
উত্তরঃ এটা ইখোয়ানী, তাকফিরীদের বাজে ধারণা মাত্র, যা নিয়ে আসলে অতীত থেকে অনেক ইতিহাস জানার আছে। ১৯৯৯-২০০০ এর দিকে সৌদি আরব যখন ফিলিস্থিন ইস্যু নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী হয়েছিলো আর আমেরিকা কিছু অন্তঃসারশূণ্য মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আরব দেশগুলোকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলো। পরবর্তীতে ২০০১ এ ৯/১১ এর পরে পুরো বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থারই পরিবর্তন হয়ে গেছে, যার রেশ ধরে শুধু সৌদি আরবই নয়, অনেক কাফের ও মুসলমান দেশই অনেক ব্যপারে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে চলে গেছে। আর এইজন্যেই বিভিন্ন মোটিফ দেখে ধারণা করা হয় যে, ৯/১১ আসলে আমেরিকারই করা। হয় তারা সরাসরি নিজেরা করেছে, অথবা আইসিসের মতো এমন বিভ্রান্ত বিদাতী অথবা মুসলমান পোশাকে আমেরিকান স্পাই দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, যাতে করে একক আধিপত্য বিস্তার ও ইসলাম এর প্রচার বন্ধ করার জন্যে তাদের সাম্রাজ্যবাদী মিশন শুরু করতে পারে। এই ডকুমেন্টারিটা দেখুন, এনিয়ে ভালো কিছু তথ্য পাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=7GwFs7mPh0Q
(৩) সৌদি সরকার শিয়াদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে, তাহলে ইহুদির সাথে জিহাদ করাকে কেনো হারাম বলে?
এটা ভুল ব্যখ্যা বা অপপ্রচার। জিহাদের জন্যে একটা শর্ত হচ্ছে, সামর্থ্য থাকা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ অনেক কাফের দেশ প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্যভাবে ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সাহয্য দিয়ে থাকে। এমনকি যেকোন পরিস্থিতিতে অন্য দেশের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে জরুরী সামরিক সাহয্য দিতেও তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে আরব ও মুসলমান দেশগুলো নিজেরাই বিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরব বা কোন মুসলমান দেশই সামরিক শক্তি দিয়ে ইসরায়েলকে দমন করার জন্য শক্তিশালী নয়। সেজন্যে তারা ইসরায়েল এবং পাশ্চাত্যের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে যায়না। এজন্যে আমাদের উচিৎ আল্লাহর কাছে দুয়া করা এবং সমস্ত মুসলমান দেশগুলো যেনো একত্রিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে আমেরিকান আগ্রাসন রোধ করতে সচেষ্ট হয় সেইজন্য কাজ করা। আর সৌদি আরবের ইয়েমেনে হুছী শিয়া দমনের জন্যে যুদ্ধে কারণ হচ্ছে, শিয়ারা ইতিমধ্যেই ইরান, লেবানন, ইরাক, সিরিয়াতে ক্ষমতা দখল করে সেখানকার সুন্নীদের রক্ত গংগা বইয়ে দিয়েছে। এইভাবে তাদের টার্গেট হচ্ছে মক্কা মদীনাহ দখল করে সুন্নী মুসলমানদেরকে ধ্বংস করা। ইহুদীরা ফিলিস্থিন দখল করে সেখানকার মুসলমানদেরকে হত্যা ও নির্যাতন করছে কিন্তু তারা মক্কা মদীনা আক্রমন করার জন্যে আপাত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। কিন্তু শিয়ারা ইতিমধ্যে কয়েকটি সুন্নী দেশ দখল করে আস্তে আস্তে মক্কার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শিয়াদের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য সৌদি আরব ও তুরস্কের নেতৃত্বে প্রায় ২০টির মতো সুন্নী দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা আশা করি ও দুয়া করি এইভাবে মুসলমান দেশগুলো আল্লাহর জন্য এক হলে ভবিষ্যতে তারা অন্যান্য নির্যাতিত মুসলমানদেরকে সাহায্য করতে পারবে।
(৪) সালাফি আলেমরা বিদাতীর বিরুদ্ধে এতো কঠোর কেন?
উত্তরঃ সালাফি আলেমরা প্রতিটি ব্যপারে ক্বুরান, সুন্নাহ এবং সালাফ (সাহাবাদের) আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করেন। আর আমাদের সালাফরা অবস্থা অনুযায়ী বিদআ’তীদের প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করেছেন। সালাফদের সম্পর্কে আসারগুলোতে এনিয়ে অনেক রেওয়ায়েত আছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সবচাইতে ঘৃণিত বিষয় হচ্ছে বিদআ’ত।” [ইমাম বায়হাকী, সুনান আল-কুবরাঃ ৪/৩১৬]
(৫) সালাফিরা কি অমুসলিমের চাইতে বিদআ’তিদেরকে বেশি ঘৃণা করে?
উত্তরঃ নাহ, সালাফিরা অমুসলিমের চাইতে বিদাতিদেরকে বেশি ঘৃণা করেনা। তবে অমুসলিমদের ক্ষতি ও খারাপ দিক সম্পর্কে সকলেই জানে, কিন্তু বিদআ’তীরা ক্বুরান ও হাদীসের অপব্যখ্যা করে অনেক ধার্মিক মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত করে। এইজন্যে অনেক সময় অমুসলিমদের ক্ষতি থেকে বিদআ’তীদের দ্বারা ইসলাম এর ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে। কাফেররা আক্রমন ও নির্যাতন করে মুসলমানদেরকে শুধুমাত্র দুনিয়াবী ক্ষয়-ক্ষতি করতে পারে, কিন্তু বিদাতীরা সরলমনা সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করে তাদের দ্বীন এবং পরকালের ক্ষতি করে। একারণে মুসলমানদেরকে বিদাতীদের ব্যপারে এতো বেশি সতর্ক করতে হয়। হয়তোবা একারণেই বিদাতীদের ক্ষতি সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহাল না, তারা এই ভুল ধারণা করতে পারে যেঃ সালাফিরা অমুসলিমের চাইতে বিদাতিদেরকে বেশি ঘৃণা করে। এটা ভুল ধারণা, বিদআ’তি যদি ইসলাম ভংগকারী শিরক বা কুফুরী না করে, তাহলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআ’তের আকিদাহ অনুযায়ী তারা মুসলিম, এবং তাদের বিষয়টা আল্লাহর ইচ্ছার অধীন। আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে সরাসরি জান্নাতে দিতে পারেন, অথবা জাহান্নামে পাপের শাস্তি দেওয়ার পরে জান্নাতে দিতে পারেন। [আক্বিদাহ তাহাবীয়া]
আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছিঃ ৯/১১ এর পর থেকে জর্জ ডব্লিও বুশ ও এমেরিকা ইসলাম থেকে ‘জিহাদ’ এবং ‘আল-ওয়ালা ওয়াল বারা’ বাদ দিয়ে ‘কাফের বান্ধব ইসলাম’ প্রচার ও প্রসারের জন্যে অনেক টাকা ব্যয় করছে। দ্বীনের ব্যপারে আন্তরিক যেকেউ তাদের এই নীল নকশা বুঝতে পারছে, এবং একমাত্র দুনিয়াপূজারী, ফাসেক এবং মুনাফেক ছাড়া কোন মুসলমান এই ব্যপারে তাদেরকে জীবন থাকতে সাহায্য-সহযোগিতা বা সমর্থন করবেনা। হয়তোবা, এটা নিয়ে আমেরিকা কোন মুসলমানকে জেলে দিতে পারে, হত্যা করতে পারে কিন্তু তার দ্বীনকে সে পরিবর্তন বা ক্ষতি করতে পারবেনা। অন্যদিকে, ‘তাকফিরী কুতুবী’ মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত জংগী সংগঠন আল-কায়েদাহর অনুসারী আনোয়ার আওলাকি ২০১০ সালে একটা ভিডিওতে সহীহ কিন্তু মানসুখ হাদীসের অপব্যখ্যা করে ৯/১১ এর মতো সন্ত্রাসী বোমা হামলা করে নিরীহ মানুষ মারা হত্যা করা বৈধতা দিয়ে একটা ফতোয়া দিয়েছিলো। অনেক আওলাকি ভক্তরা সত্যিকারের ওলামাদের কথা না শুনে, যখনই কোথাও মুসলমান নাম নিয়ে এমন সন্ত্রাসী আক্রমন করছে, ‘জিহাদী চেতনা’ নিয়ে তোতা পাখির মতো সেই ফতোয়া আওড়ে সেইগুলোকে ‘ইসলামি জিহাদ’ প্রমান করা তারা নিজেদের জন্য ফরয করে নিয়েছে। এইভাবে বিভ্রান্ত বক্তারা ‘জিহাদ’ নাম দিয়ে মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে ইসলামের মহান সেবা বলে মনে করছে এবং তরুণ যুবকদেরকেও অনুরূপ ভ্রষ্টতার গর্তে ফেলছে। আল্লাহু মুস্তায়া’ন।
উত্তরঃ আল কায়েদাহ, আইসিস, জেএমবির মতো এমন পথভ্রষ্ট দলের অনুসারী কিছু লোকেরা কালো পতাকা সম্পর্কিত কিছু হাদীস প্রচার করে থাকে। অথচ, কালো পতাকা নিয়ে কোন একটি সহীহ হাদীস নেই, এ সম্পর্কিত সবগুলো হাদীস জাল নয়তো জয়ীফ। বর্তমানে আইসিস নামক একটি দল এইরকম জাল ও জয়ীফ হাদিসের উপর ভিত্তি করে নিজেদেরকে সেই কালো পতাকাবাহী দল বলে দাবী করছে। অথচ আকিদাহগত দিক থেকে তারা খারেজীদের চাইতে নিকৃষ্ট।
(২) সৌদি সরকার ইসরাইলকে কিছু বলে না কেনো?
উত্তরঃ এটা ইখোয়ানী, তাকফিরীদের বাজে ধারণা মাত্র, যা নিয়ে আসলে অতীত থেকে অনেক ইতিহাস জানার আছে। ১৯৯৯-২০০০ এর দিকে সৌদি আরব যখন ফিলিস্থিন ইস্যু নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী হয়েছিলো আর আমেরিকা কিছু অন্তঃসারশূণ্য মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আরব দেশগুলোকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলো। পরবর্তীতে ২০০১ এ ৯/১১ এর পরে পুরো বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থারই পরিবর্তন হয়ে গেছে, যার রেশ ধরে শুধু সৌদি আরবই নয়, অনেক কাফের ও মুসলমান দেশই অনেক ব্যপারে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে চলে গেছে। আর এইজন্যেই বিভিন্ন মোটিফ দেখে ধারণা করা হয় যে, ৯/১১ আসলে আমেরিকারই করা। হয় তারা সরাসরি নিজেরা করেছে, অথবা আইসিসের মতো এমন বিভ্রান্ত বিদাতী অথবা মুসলমান পোশাকে আমেরিকান স্পাই দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, যাতে করে একক আধিপত্য বিস্তার ও ইসলাম এর প্রচার বন্ধ করার জন্যে তাদের সাম্রাজ্যবাদী মিশন শুরু করতে পারে। এই ডকুমেন্টারিটা দেখুন, এনিয়ে ভালো কিছু তথ্য পাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=7GwFs7mPh0Q
(৩) সৌদি সরকার শিয়াদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে, তাহলে ইহুদির সাথে জিহাদ করাকে কেনো হারাম বলে?
এটা ভুল ব্যখ্যা বা অপপ্রচার। জিহাদের জন্যে একটা শর্ত হচ্ছে, সামর্থ্য থাকা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ অনেক কাফের দেশ প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্যভাবে ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সাহয্য দিয়ে থাকে। এমনকি যেকোন পরিস্থিতিতে অন্য দেশের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে জরুরী সামরিক সাহয্য দিতেও তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে আরব ও মুসলমান দেশগুলো নিজেরাই বিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরব বা কোন মুসলমান দেশই সামরিক শক্তি দিয়ে ইসরায়েলকে দমন করার জন্য শক্তিশালী নয়। সেজন্যে তারা ইসরায়েল এবং পাশ্চাত্যের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে যায়না। এজন্যে আমাদের উচিৎ আল্লাহর কাছে দুয়া করা এবং সমস্ত মুসলমান দেশগুলো যেনো একত্রিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে আমেরিকান আগ্রাসন রোধ করতে সচেষ্ট হয় সেইজন্য কাজ করা। আর সৌদি আরবের ইয়েমেনে হুছী শিয়া দমনের জন্যে যুদ্ধে কারণ হচ্ছে, শিয়ারা ইতিমধ্যেই ইরান, লেবানন, ইরাক, সিরিয়াতে ক্ষমতা দখল করে সেখানকার সুন্নীদের রক্ত গংগা বইয়ে দিয়েছে। এইভাবে তাদের টার্গেট হচ্ছে মক্কা মদীনাহ দখল করে সুন্নী মুসলমানদেরকে ধ্বংস করা। ইহুদীরা ফিলিস্থিন দখল করে সেখানকার মুসলমানদেরকে হত্যা ও নির্যাতন করছে কিন্তু তারা মক্কা মদীনা আক্রমন করার জন্যে আপাত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। কিন্তু শিয়ারা ইতিমধ্যে কয়েকটি সুন্নী দেশ দখল করে আস্তে আস্তে মক্কার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শিয়াদের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য সৌদি আরব ও তুরস্কের নেতৃত্বে প্রায় ২০টির মতো সুন্নী দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা আশা করি ও দুয়া করি এইভাবে মুসলমান দেশগুলো আল্লাহর জন্য এক হলে ভবিষ্যতে তারা অন্যান্য নির্যাতিত মুসলমানদেরকে সাহায্য করতে পারবে।
(৪) সালাফি আলেমরা বিদাতীর বিরুদ্ধে এতো কঠোর কেন?
উত্তরঃ সালাফি আলেমরা প্রতিটি ব্যপারে ক্বুরান, সুন্নাহ এবং সালাফ (সাহাবাদের) আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করেন। আর আমাদের সালাফরা অবস্থা অনুযায়ী বিদআ’তীদের প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করেছেন। সালাফদের সম্পর্কে আসারগুলোতে এনিয়ে অনেক রেওয়ায়েত আছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সবচাইতে ঘৃণিত বিষয় হচ্ছে বিদআ’ত।” [ইমাম বায়হাকী, সুনান আল-কুবরাঃ ৪/৩১৬]
(৫) সালাফিরা কি অমুসলিমের চাইতে বিদআ’তিদেরকে বেশি ঘৃণা করে?
উত্তরঃ নাহ, সালাফিরা অমুসলিমের চাইতে বিদাতিদেরকে বেশি ঘৃণা করেনা। তবে অমুসলিমদের ক্ষতি ও খারাপ দিক সম্পর্কে সকলেই জানে, কিন্তু বিদআ’তীরা ক্বুরান ও হাদীসের অপব্যখ্যা করে অনেক ধার্মিক মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত করে। এইজন্যে অনেক সময় অমুসলিমদের ক্ষতি থেকে বিদআ’তীদের দ্বারা ইসলাম এর ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে। কাফেররা আক্রমন ও নির্যাতন করে মুসলমানদেরকে শুধুমাত্র দুনিয়াবী ক্ষয়-ক্ষতি করতে পারে, কিন্তু বিদাতীরা সরলমনা সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করে তাদের দ্বীন এবং পরকালের ক্ষতি করে। একারণে মুসলমানদেরকে বিদাতীদের ব্যপারে এতো বেশি সতর্ক করতে হয়। হয়তোবা একারণেই বিদাতীদের ক্ষতি সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহাল না, তারা এই ভুল ধারণা করতে পারে যেঃ সালাফিরা অমুসলিমের চাইতে বিদাতিদেরকে বেশি ঘৃণা করে। এটা ভুল ধারণা, বিদআ’তি যদি ইসলাম ভংগকারী শিরক বা কুফুরী না করে, তাহলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআ’তের আকিদাহ অনুযায়ী তারা মুসলিম, এবং তাদের বিষয়টা আল্লাহর ইচ্ছার অধীন। আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে সরাসরি জান্নাতে দিতে পারেন, অথবা জাহান্নামে পাপের শাস্তি দেওয়ার পরে জান্নাতে দিতে পারেন। [আক্বিদাহ তাহাবীয়া]
আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছিঃ ৯/১১ এর পর থেকে জর্জ ডব্লিও বুশ ও এমেরিকা ইসলাম থেকে ‘জিহাদ’ এবং ‘আল-ওয়ালা ওয়াল বারা’ বাদ দিয়ে ‘কাফের বান্ধব ইসলাম’ প্রচার ও প্রসারের জন্যে অনেক টাকা ব্যয় করছে। দ্বীনের ব্যপারে আন্তরিক যেকেউ তাদের এই নীল নকশা বুঝতে পারছে, এবং একমাত্র দুনিয়াপূজারী, ফাসেক এবং মুনাফেক ছাড়া কোন মুসলমান এই ব্যপারে তাদেরকে জীবন থাকতে সাহায্য-সহযোগিতা বা সমর্থন করবেনা। হয়তোবা, এটা নিয়ে আমেরিকা কোন মুসলমানকে জেলে দিতে পারে, হত্যা করতে পারে কিন্তু তার দ্বীনকে সে পরিবর্তন বা ক্ষতি করতে পারবেনা। অন্যদিকে, ‘তাকফিরী কুতুবী’ মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত জংগী সংগঠন আল-কায়েদাহর অনুসারী আনোয়ার আওলাকি ২০১০ সালে একটা ভিডিওতে সহীহ কিন্তু মানসুখ হাদীসের অপব্যখ্যা করে ৯/১১ এর মতো সন্ত্রাসী বোমা হামলা করে নিরীহ মানুষ মারা হত্যা করা বৈধতা দিয়ে একটা ফতোয়া দিয়েছিলো। অনেক আওলাকি ভক্তরা সত্যিকারের ওলামাদের কথা না শুনে, যখনই কোথাও মুসলমান নাম নিয়ে এমন সন্ত্রাসী আক্রমন করছে, ‘জিহাদী চেতনা’ নিয়ে তোতা পাখির মতো সেই ফতোয়া আওড়ে সেইগুলোকে ‘ইসলামি জিহাদ’ প্রমান করা তারা নিজেদের জন্য ফরয করে নিয়েছে। এইভাবে বিভ্রান্ত বক্তারা ‘জিহাদ’ নাম দিয়ে মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে ইসলামের মহান সেবা বলে মনে করছে এবং তরুণ যুবকদেরকেও অনুরূপ ভ্রষ্টতার গর্তে ফেলছে। আল্লাহু মুস্তায়া’ন।