প্রশ্নঃ
আক্বিদাহ কি ছোট-খাট কোন বিষয়, যেমনটা অনেক #জোকার মনে থাকে?
__________________________________
নোমান
আলী-খান নামক ইংলিশ স্পিকিং একজন এমেরিকান মুফাসসির সাহেব দাবী করেছেন, “ক্বুরানে আক্বীদাহ শব্দটি কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।
আকীদাহ নিয়ে ক্বুরানে একটা আয়াতও নেই। আক্বিদাহর উপরে এতো জোর দেওয়া ঠিক নয়, আমাদের
ঈমান কি সেটা শিখতে হবে, আক্বিদাহ শেখা গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় নয়।”
উল্লেখ্য,
ইতিঃপূর্বে হামযা ইউসুফ নামক জনৈক ‘সূফী’ বক্তা অনেকদিন পূর্বে বলেছিলো, “আকিদাহ খুব সাধারণ একটা জিনিস, যা সামান্য কয়দিনেই
শেখা যায়। আকিদাহ শিক্ষা করার উপর জোর দেওয়া একটা ব্যাধি।”
__________________________________
আক্বিদাহ
কোন ছোট-খাট কোন বিষয়, বরং আকীদাহর বিষয়গুলো এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, ইমাম তাহাবী রাহিমাহুল্লাহ
যারা সুন্নী আক্বিদাহর বিরোধীতা করে তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন। আকীদাহর
উপরে ইমাম তাহাবী রহঃ এর লেখা অনন্য বইয়ে প্রায় ১০২টি পয়েন্টে “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআ’ত” এর আক্বিদাহ বর্ণনা করার পর ১০৩ নাম্বার পয়েন্টে
তিনি উল্লেখ করেছেনঃ
“এই
হচ্ছে আমাদের দ্বীন এবং আমাদের আক্বীদাহ বা মৌলিক ধর্ম বিশ্বাস, যা প্রকাশ্যে এবং অন্তরে
আমরা ধারণ করি। যারা উল্লিখিত বিষয় বস্তুর বিরোধিতা করে, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক
নেই।” [আল-আক্বীদাহ আত-তাহাবীয়া]
__________________________________
শায়খ
আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“আক্বিদাহ
যদি সঠিক না হয়, তাহলে সমস্ত কথা ও কাজ বাতিল।”
ফতোয়া
ইবনে বাজঃ ১/১৩, আল-ইফতা।
__________________________________
শায়খ
সালেহ আল-ফাউজান হা’ফিজাহুল্লাহ
বলেন,
“কোন
ব্যক্তি যদি বলে আমাদের জন্য ঈমানই যথেষ্ঠ, আক্বিদাহর উপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন নেই,
এটা পরস্পর বিরোধী একটা কথা। কোন ব্যক্তির ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত
না তার আক্বিদাহ সঠিক হচ্ছে। যার আক্বিদাহ সঠিক নয় তার ঈমান নেই এবং তার দ্বীনও সঠিক
নয়।”
__________________________________
ইসলামিক
বক্তার লেবাস নিয়ে যেই সমস্ত সেলেব্রিটিরা আধা-হিজাবী নারীদের উপস্থিতিতে ক্লাউনের
মতো হাহা-হিহি করে বেড়ায়, আর ওলামায়ে আহলে সুন্নাহ ও আক্বিদাহর মতো ভারী বিষয়কে নিয়ে
হাসি-ঠাট্টা করে...এমন বক্তাদেরকে দেখলে রুয়াইবিদাহর কথাই মনে পড়ে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মানুষের মাঝে অচিরেই এমন এক সময় আসবে যখন ধোঁকাবাজি
বাড়বে, তখন মিথ্যাবাদীকে সত্যবাদী মনে করা হবে আর সত্যবাদীকেই মিথ্যাবাদী মনে করা হবে,
আমানতদারকে খিয়ানতকারী মনে করা হবে আর খিয়ানতকারীকেই আমানতদার মনে করা হবে, আর ‘রুয়াইবিদা’রা কথা বলবে। জিজ্ঞাস করা হলো, ‘রুয়াইবিদা’ কারা? তিনি বললেন, সাধারণ মানুষের কর্মকান্ডে
হস্তক্ষেপ করে এমন ব্যক্তি।”
ত্বাবারানি,
কিতাবুল ফিতান, বাব সিদ্দাতুয যামনঃ ২/৩২৬১।
__________________________________