“দুনিয়ার
জীবন হচ্ছে পরীক্ষা”
-
আনসারুস সুন্নাহ
___________________________
মহান
আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
“তোমরা
জেনে রাখ, তোমাদের পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক গর্ব-অহংকার এবং
ধন ও জনের প্রাচুর্য ছাড়া আর কিছুই না। (দুনিয়ার জীবনের উপমা হচ্ছে) যেমন এক বৃষ্টির
অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ
দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও
সন্তুষ্টি। (সাবধান!) পার্থিব দুনিয়ার জীবন প্রতারণাপূর্ণ ক্ষণস্থায়ী ভোগের সম্পদ ছাড়া
আর কিছুই না।” [সুরা আল-হাদীদঃ ২০]
___________________________
আল্লাহ
কাউকে স্বাস্থ্য, সম্পদ, সৌন্দর্য, স্ত্রী-সন্তান দিয়ে পরীক্ষা করেন, আবার কাউকে এইগুলো
না দিয়ে পরীক্ষা করেন। এটা আল্লাহর ‘সুন্নাহ’ বা নীতি, যা দিয়ে তিনি মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে
পরীক্ষা করেন। সুতরাং যাকে যা দেওয়া হয়েছে তাকে সেই ব্যপারে ধৈর্য ধারণ করতে হবে, এবং
আল্লাহর উপর আশা রেখে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যানের জন্য দুয়া করতে হবে, যদিও
সাময়িক অবস্থা তার জন্য কিছুটা অপছন্দনীয় হোক না কেনো। আর এটাই হচ্ছে তাক্বদীরের প্রতি
বিশ্বাসের বাস্তবতা, ভালো বা মন্দ সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে এর উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
এবং সেই অনুযায়ী আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থেকে আমল করে যাওয়া।
___________________________
দুঃখ
বেদনার সম্মুখীন বিপদগ্রস্থ বান্দা-বান্দীদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।
১৫২.
সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
১৫৩.
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিয়ই আল্লাহ
ধৈর্য্যশীলদের সাথেই আছেন।
১৫৪.
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু
তোমরা তা বুঝতে পারোনা।
১৫৫.
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল
বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদেরকে।
১৫৬.
(ধৈর্যশীল হচ্ছে তারাই) যখন তারা বিপদে পড়ে, তখন বলেঃ “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” - নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই
তাঁরই কাছে ফিরে যাবো।
১৫৭.
তারাই সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকেরাই
হচ্ছে হেদায়েত প্রাপ্ত।
[সুরা
আল-বাক্বারাহঃ ১৫২-১৫৭]