=> ঈদ
উপলক্ষ্যে নারীরা হাতে-পায়ে মেহেদী দিয়ে সাজতে পারে, কোন
সমস্যা নাই। পায়েও দিতে পারে, এতে বেয়াদবী হবেনা বা মোটেও
খারাপ কোন কিছু নয়। তবে গায়ের মাহরাম পুরুষদেরকে শরীরের যেকোন অংগ দেখানো সম্পূর্ণ
হারাম। রোযার পরেই বেহায়া শ্রেণীর কিছু নারী লম্পট লোকদের সাথে নষ্টামি করার জন্যে
বেড়িয়ে পড়ে। আর দাইয়ুস শ্রেণীর গার্জিয়ানেরা ব্যক্তি স্বাধীনতা, নারী স্বাধীনতা, আধুনিকতার নামে নারীদেরকে ফ্রী ছেড়ে
দিয়ে তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আশা করি জাহান্নামী নারী ও পুরুষদের কাজ
থেকে সতর্ক থাকবেন।
=> পুরুষের
জন্য মেহেদী দেওয়া জায়েজ নয়, শুধুমাত্র সাদা হয়ে গেলে দাঁড়ি
ও চুলে দিতে পারবে।
=> ঈদের
আগের রাতের বিশেষ কোন ফযীলত সহীহ হাদীসে নেই, এই রাতে দুয়া
কবুল হয় বা এতো এতো ফযীলত – এ সম্পর্কিত হাদীসগুলো জাল নয়তো জয়ীফ। সুতরাং সেইগুলো বিশ্বাস করা যাবেনা।
=> অসুস্থতার
কারনে যে রোজা রাখতে পারিনি সে রোজা আগে পূণ করতে হবে শাওয়াল মাসের ৬ আগে? কষ্ট করে জানাবেন।ধন্যবাদ।
উত্তরঃ হাদীসে বর্ণিত সারা বছর রোযা রাখার সওয়াব পাওয়ার জন্যে আগে কাযা
রোযা রেখে এর পরে শাওয়ালের ৬ রোযা করতে হবে। বিস্তারিত জানার জন্যে শায়খ ইবনে
উসায়মিন রহঃ এর ফতোয়া দেখুন ফতোয়া আরকানুল ইসলামে।
=> ঈদ
উপলক্ষ্যে যারা শেইভ করে তাদের উচিৎ তোওবা করা, কারণ রোযা
রেখে তারা ফাসেকী কাজ বর্জন করা শিখতে পারেনি।