“যাকাত
ও ফেতরা নিয়ে পরিবর্তন”
সহীহ
হাদীস দিয়ে প্রমানিত রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ ও সাহাবীদের আমল হলো ফসলের যাকাত ফসল,
গবাদি পশুর যাকাত গবাদি পশু ও সম্পদের যাকাত নগদ অর্থ দিয়ে আদায় করতে হবে। অপরদিকে
ফেতরা নির্ধারণ করা হয়েছে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে, টাকা দিয়ে নয়।
প্রমানঃ
ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন “আল্লাহর রাসুল (সাঃ) মুসলিমদের স্বাধীন ও ক্রীতদাস,
পুরুষ ও নারী এবং ছোটো ও বড় সকলের জন্য এক সা (প্রায় ২.৫ কেজির মতো) খেজুর বা যব খাদ্য
আদায় ফরয করেছেন।”
সহিহ
বুখারীঃ ১৫০৩।
সাহাবীরা
যে খাদ্যের পরিবর্তে টাকা পয়সা ফেতরা হিসেবে দিতেন না তার প্রমানঃ
আবু
সাঈদ আল-খুদরী ()রাঃ বলেন, “আমরা
আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) এর যামানায় ঈদের দিন এক সা খাদ্য আদায় করে দিতাম। আর তখন আমাদের
খাদ্য ছিলো যব, কিসমিস, খেজুর ও পানিয়।”
সহীহ
বুখারীঃ ১৫১০।
হাদীসের
সব জায়গায় ফেতরা নির্ধারণ করা হয়েছে খাদ্যের মাপ দিয়ে, কোথাও টাকা দিয়ে করা হয় নাই।
যদি টাকা বা মূল্য দিয়ে ফেতরা দেয়া জায়েজ হতো তাহলে দিনার-দিরহাম কিন্তু ততকালীন যুগেও
ছিলো। যদি জায়েজ হতো তাহলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একবার হলেও দিনার দিরহাম বা খাদ্য দ্রব্র্যের
মূল্য পরিশোধ করলেই ফেতরা আদায় হয়ে যাবে, সে কথা বলে দিতেন বা নিজে ও সাহাবীরা এই কাজটা
করে আমাদেরকে দেখিয়ে দিতেন। যেহেতু তিনি এমন কোন কথা বলেন নাই অতএব, উপরিউক্ত হাদীসের
আলোকে স্পষ্ট, ফেতরা নির্ধারন করা হয়েছে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে। অতএব খাদ্যের পরিবর্তে টাকা
দিয়ে ফেতরা আদায় করা চলবেনা।
অনুরূপভাবে,
আমাদের্ দেশে মানুষ যাকাত আদায় করে “যাকাতের
কা্পড়” দিয়ে যা সাহাবাদের আমলের বিপরীত। এই রকম কুপ্রথা
আমাদের্ দেশগুলো যেখানে মূর্খ মুসলমানের ছড়াছড়ি সেখানেই দেখা যায়, আজ পর্যন্ত আরব দেশগুলোতে
অর্থ দিয়েই যাকাত আদায় করা হয়। এছাড়া যাকাতের উদ্দেশ্য হলো দারিদ্রতা বিমোচন, পাইকারী
হারে লোক দেখানো শাড়ি লুঙ্গি বিতরনে সেই উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।
সুতরাং,
অবশ্যই সম্পদের যাকাত দিতে হবে নগদ অর্থ দিয়ে। নবীর সুন্নত বিরোধী, রিয়া মিশ্রিত যাকাতের
কাপড় বিতরণ দিয়ে যাকাত আদায় আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।
মূলঃ
শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উসাইমিন (রহঃ) এর ফতোয়া অবলম্বনে।
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/videos/466622073434081/
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/videos/466622073434081/