জামাত
শিবিরের আসল পরিচয় (পর্বঃ ১)
_______________________
জামাত
শিবিরের লোকেরা আমাকে বলে,
১.
আমি ইসলাম বুঝিনা, ক্বুরান হাদীস বুঝিনা, ইসলাম শুধুমাত্র তারাই বুঝেন।
২.
আমি সুবিধাবাদী, আমি ইসলাম কায়েম করছিনা, শুধুমাত্র তারাই ইসলাম কায়েমের জন্যে যুদ্ধ
করছেন।
৩.
আমি আওয়ামী লীগের দালাল, মুনাফেক...আর তারা হচ্ছেন সাচ্চা মুসলমান।
_______________________
=>
জামাত শিবিরের লোকেরা রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম করার জন্যে জীবন দিতে রাজি, কিন্ত তাদের
বেশির ভাগ ভক্তরাই নিজেদের জীবনে ইসলাম মানতে রাজিনা। এদের বেশির ভাগই দলিল-প্রমান
ছাড়াই অশ্লীল আজেবাজে গালি দেয়, তাদের বিরোধীতা করলে অন্যদেরকে উঠতে বসতে কাফের বা
মুনাফেক বলে ফতোয়া দেয়।
=>
অথচ যে কোন মুসলমানকে গালি দেয় সে একজন ফাসেক। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মুসলমানদেরকে গালমন্দ করা ফাসেকী, আর তাদের বিপক্ষে
যুদ্ধ করা কুফরী।”
[বুখারী ও মুসলিম]
=>
যে কোন মুসলমানকে কাফের অথবা মুনাফেক বলে, সে নিজেই একজন কাফের বা মুনাফেক। রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি তার অপর কোন ভাইকে কাফের বলে, তাহলে
তা দুইজনের যেকোন একজনের দিকে ফিরবে। যদি সে যা (কাফের) বলেছে বাস্তবে তাই হয়, তাহলেতো
ঠিক আছে। আর সে যদি কাফের না হয় তাহলে উক্ত বিষয়টি (কুফুরী) যে বলেছে, তার দিকেই ফিরে
আসবে।” [সহীহ মুসলিমঃ ২২৫]
=>
বেশিরভাগ জামাত শিবির ভক্তরাই নিজেদের প্রোফাইল পিকচার দিয়ে রেখেছে একেবারে মেয়েদের
মতো চকচকে গাল নিয়ে। অথচ চার মাযহাবের ফুকাহারা সহ, সমস্ত আলেমরাই এব্যপারে একমত হয়েছেন
যেঃ দাড়ি রাখা ওয়াজিব, যে ব্যক্তি দাড়ি রাখেনা সে একজন ফাসেক।
_______________________
একবার
এমনই এক জামাতীর একটা লেখা আমি ফেইসবুকে দেখলাম। কিছুদিন পূর্বে সৌদি আরবের প্রধান
মুফতি, আল্লামাহ শায়খ আব্দুল আজিজ আলে-শায়খ এর নামে একটা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো
হয়েছিলো, শায়খ নাকি ফিলিস্থিনের বিপক্ষে আর ইসরায়েলের পক্ষে ফতোয়া দিয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ,
মিথ্যুকদের উপরে আল্লাহর লানত, কত বড় মিথ্যা কথা ছড়ানো হয়েছিলো একজন বড় আলেম এর নামে।
জামাতের রাজনীতির পক্ষে লেখালিখি করে জনপ্রিয় এমন একজন ফেইসবুক লিখক এই মিথ্যা খবর
বিশ্বাস করে সৌদি প্রধান মুফতিকে কাফের ও বলে শয়তান বলে গালি দিলো, নাউযুবিল্লাহি মিন
যালিক। কত বড় বোকা একটা লোক, আর আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম তার ভক্ত প্রায় ৪০০-৫০০
মানুষ সেই জঘন্য মিথ্যাচারের পোস্টে লাইক দিয়ে রেখেছে। আমি লেখক সম্পর্কে জানার জন্যে
তার টাইম লাইন একটু ঘেটে দেখি সে দুই দিন আগেই তার একটা ছবি পোস্ট করেছে, একেবারে মেয়েদের
মতো গাল, ছিটাফোঁটা দাড়ি নাই, হয় এখনো দাঁড়ি উঠার মতও বয়স হয়নি, অথব দাড়ি রাখার মতো
ঈমান অর্জন করতে পারেনি। এমন লোকেরাই ক্বুরান হাদীস না বুঝে আলেম-ওলামাদের গালি গালাজ
করে, জাহেল বক্তাদের কথা শুনে নিজেরা গোমরাহ হয় তারাও অন্যদেরকে গোমরাহ বানায়।
_______________________
একেতো
দাঁড়ি রাখেনা, আবার বুক ফুলিয়ে সেই ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করে সবাইকে দেখাচ্ছে! সুবহানাল্লাহ!!
লজ্জা-শরম ঈমানের অংগ। কোথায় গেলো লজ্জা-শরম? দাঁড়ি না রাখার ফাসেকীতে লিপ্ত, অন্তত
সেই চেহারা মানুষকে দেখানো থেকে বিরত থাকো। আর দাঁড়ি ছাড়া এমন চেহারা নিয়ে (যেই চেহারার
দিকে তাকাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম ঘৃণা বোধ করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন), এমন লোকদের নিজেদের অল্প বুঝ আর বিভ্রান্ত
বক্তা ও লেখকদের (মওদুদী, সাঈদী, নিজামী গং) ক্বুরান হাদীসের অপব্যখ্যা নিয়ে ইসলাম
কায়েমের বড় বড় কথা বলা কতটা মানানসই, সেটা আমি বিজ্ঞ পাঠকদের বিবেচনার উপরেই ছেড়ে দিলাম।
আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত করুন, আমিন।