‘পরনারীর
প্রতি লোভ’
এবং ‘অবৈধ প্রেম-ভালবাসা’ সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ
(রহ.) বলেনঃ
“নারী
কিংবা ছোট বাচ্চাদের প্রতি আসক্তি কোন ব্যক্তিকে এমন বিপর্যয়ে নিপতিত করতে পারে, যার থেকে উদ্ধার করার
ক্ষমতা কারো নেই। এর পরিণতি খুবই ভয়াবহ, তার পূন্যের
ভাণ্ডার একেবারে শূন্য হয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে কারো অন্তরে কারো চেহারার প্রতি
আসক্তি সৃষ্টি হয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে সে তার ভালবাসায় মগ্ন
হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে সে আস্তে আস্তে নানা অপকর্ম ও অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ে,
যা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তবে সব চেয়ে বড় মসিবত হচ্ছে,
আল্লাহর রহমত থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত হওয়া। কারণ, বান্দা যখন
আল্লাহর ইবাদত ও তার প্রতি নিবিষ্ট চিত্ত থাকে, তখন তার কাছে
আল্লাহর মহব্বতের চেয়ে মধুর ও সুখকর কোন জিনিস হতে পারে না।” (পরনারীর প্রতি লোভ এবং অবৈধ ভালোবাসার কারণে
যে কামনা বাসনার সৃষ্টি হয় তার কারণে বান্দা তার রব্বের প্রতি ভালোবাসা থেকে
বঞ্চিত হয়)
[মাজমুউল ফাতওয়াঃ খন্ড- ১০, পৃষ্ঠা- ১৮৭]
____________________________
১. ফেইসবুক বা মোবাইলে নারী ও পুরুষের মাঝে ফ্রেন্ডশিপ করা যাবে?
উত্তরঃ না,
অফলাইন, অনলাইন গায়ের মাহরাম নারী ও পুরুষের
বন্ধুত্ব নিষিদ্ধ ও হারাম। নারী ও পুরুষের মাঝে বন্ধুত্ব হচ্ছে যিনার প্রথম দরজা।
২. গায়েব মাহরাম পুরুষ বা নারীর সাথে প্রাইভেট চ্যাটে কথা বলা যাবে?
উত্তরঃ না,
প্রাইভেট চ্যাটে কথা বলা এক প্রকার #‘খালওয়া’ বা নির্জনতা। এইভাবে কথা বলা
নিষেধ কারণ এতে এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত বলা শুরু হবে যা কালক্রমে যৌনতা পর্যন্ত
যাবে।
৩. অনেকে দ্বীনি ভাই-বোন (নতুন ফেতনা) নাম দিয়ে পাবলিকলি/প্রাইভেটলি
হাই-হ্যালো, ব্যক্তিগত
কথাবার্তা, ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য খেজুইড়া আলাপ জুড়ে দেয়। এইগুলো
জায়েজ?
উত্তরঃ দাওয়াহর নাম দিয়ে নারীদের সাথে ঘনিষ্ঠতা, ধর্মের ভাই-বোন এইগুলো হারাম।
অনেক জ্ঞানপাপী বোকা লোকেরা এইগুলোর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি-তর্ক দেখায়, অথচ ইসলাম এইসবগুলোকে হারাম করেছে।