সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫

‘জামাতী’ নেতাদের আপোষের নীতি

জামাতী নেতাদের আপোষের নীতি
- আনসারুস সুন্নাহ
________________________
১৯৯৬ সালের আগে জামাতে ইসলামীর ভাইয়েরা খুব প্রচার করতো, নারী নেতৃত্ব হারাম, নারী নেতৃত্ব হারাম. . .প্রধানমন্ত্রী নারী হলে দেশের উপর আল্লাহর কত বড় গজব নাযিল হবে, সেই চিন্তায় চিন্তায় তাদের খাওয়া ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিলো। ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে কাবু করার জন্যে যেই দেশের/পার্টির লোকেরা নারী নেতৃকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানায় তারা ১০০% কাপুরুষ, হিজড়া এমন কথাও তারা প্রচার করেছিলো, এবং সেটা কিন্তু ইসলাম কায়েম এর নামেই! বলে রাখা ভালো, এরকম প্রচারণার টার্গেট ছিলোঃ শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া।

যাইহোক, আস্তে আস্তে রাজনীতির মারপ্যাচে পড়ে কিছুদিন পরে দেখলাম তাদের ফতোয়া চেঞ্জ হয়ে গেলো! কারণ তারা সেই দুইজনের একজনকে তাদের বড় #হুজুরনী বলে মেনে নিয়েছিলো। যুগের সাথে তাল মেলানোর জন্য হেকমত, হুদাইবিয়ার সন্ধি, (নিজেদের মনমতো!) ইসলাম কায়েমের জন্যে সাময়িক আপোস ইত্যাদি বলে নারী নেতৃত্বকে জায়েজ করার জন্য তারাই আবার কোমর বেঁধে মাঠে নামলো।

সেইদিন অতীত হয়েছে, বয়স কম হওয়ার কারণে - বর্তমান কর্মীদের অনেকেই হয়তো অতীত জানেনা. . .তাই নির্দ্বিধায় নারী নেতৃত্বের সাথে আপোসের পক্ষে উকালতি করতে তাদের বাধেনা।

কতইনা উত্তম হতো, আমরা সবাই যদি ক্বুরান ও সুন্নাহর আদর্শকে মেনে নিতাম, বিদাতী দলগুলোর আজগুবী ভুয়া ফতোয়াকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে মুসলমান হিসেবে একতাবদ্ধ থাকতাম।
________________________
প্রয়োজনীয় কিছু নোট
> নারী নেতৃত্ব হারাম, এবিষয়ে এই উম্মতের ইজমা আছে, কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্ট বলেছেনঃ যে জাতি নিজেদের শাসকক্ষমতা কোন মহিলার উপর অর্পণ করে, সে জাতি কখনোই কল্যান লাভ করতে পারেনা।
[সহীহ আল-বুখারীঃ ৬৬১৮, আত-তিরমিযীঃ ২২৬২]
নারী নেতৃত্ব নিয়ে কি হুকুম, বিস্তারিত জানতে এটা পড়ুনঃ
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/posts/1108720025827410:0
________________________
>> অনেকে বলতে পারেন, আমরা কেনো আওয়ামীলীগ-বিএনপির বিরুদ্ধে বলছিনা? যেখানে জামাতের লোকেরা মুখে ইসলাম এর কথা বলে
আমাদের জবাব হচ্ছেঃ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এরা হচ্ছে দুনিয়া পূজারী অত্যাচারী লোভীর দল। একমাত্র অশিক্ষিত লোভী ছাড়া কোন ধার্মিক মুসলমান এই সমস্ত ভন্ডদের সমর্থন করেনা। কিন্তু জামাতীরা ইসলাম কায়েম এর অপব্যখ্যা দিয়ে একমাত্র তারা ইসলামের ধারক ও বাহক বলে মনে করে। জামাতীদের ক্বুরান ও হাদিসের অপব্যখ্যা, দ্বিমুখী ভন্ডামি নীতির বিরুদ্ধে বললেই অন্যদেরকে নাস্তিক, আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালি দেওয়া শুরু করে। তাদের এমন প্রতারণাপূর্ণ কাজ দ্বারা দ্বীনকে ভালোবাসে কিন্তু সঠিক জ্ঞান নেই এমন অনেক তরুণ ভাইয়েরা প্রভাবিত হয়ে গণতান্ত্রিক শিরকি রাস্তায় জান্নাতে খুঁজে বেড়ায়। জামাতে ইসলামীর নেতাদেরকে বাঁচানোর জন্যে বা নিজদের দলীয় স্বার্থে গাড়ি ভাংচুর করে ওহুদ-বদরের জিহাদ মনে করছে। সেইজন্য তাদের ভ্রষ্টতা সবার সামনে তুলে ধরা উচিৎ, যাতে করে মুসলমান সন্তানেরা তাদের চমকপ্রদ কথাবার্তার ধোঁকায় না পড়ে।
________________________
>>> গণতন্ত্র একটি শিরকি মতবাদ, এই তরীকাতে ভোট দেওয়া জায়েজ নয়। বিস্তারিত দেখুন
গণতন্ত্র একটা শিরকী ব্যবস্থাঃ
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=681783831854367&set=pb.125167817515974.-2207520000.1388080559.&type=3&src=https%3A%2F%2Ffbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net%2Fhphotos-ak-prn2%2F1470052_681783831854367_813273773_n.jpg&size=515%2C558

ভোট দেওয়া, গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে ফাতওয়াঃ
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/a.130928300273259.14132.125167817515974/694309127268504/
________________________
>>> অনেক বলতে পারেন, জামাতে ইসলামীর নেতারা নারী নেতৃত্বকে জায়েজ বলেনা. . .নারী নেতৃত্বের অধীনে ক্ষমতায় যাওয়ার পরে জামাতে ইসলামীর মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বক্তব্য দেখুন
নারী নেতৃত্বকে আমরা হারাম বলিনি, ইসলাম এটাকে হারাম বলেনি। নারী নেতৃত্বকে ইসলাম হারাম বলেনি।
সাঈদীর বক্তব্য তার নিজের মুখ থেকে দেখুন এই লিংকে
https://www.facebook.com/video.php?v=10205902288387040&fref=nf
________________________

[সমাপ্ত]