জেনে
রাখুন, শিরক ৩ প্রকারঃ
১.
শিরকে আকবর বা বড় শিরক
এটা
করলে মানুষ মুশরেক হয়ে চির জাহান্নামী হয়।
উদাহরণঃ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে দুয়া করা, গাইরুল্লার জন্য কোরবানি করা, মূর্তি পূজা করা,
আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিধান দাতা মনে করা, রাশিফল বা গণককে বিশ্বাস করা, যাদু করা
ইত্যাদি।
২.
শিরকে আসগার বা ছোট শিরক
এটা
একপ্রকার শিরক কিন্তু এটা করলে ঈমান নষ্ট হয়ে মুশরিক বা চির জাহান্নামী হয় না। তবে
এটা মারাত্মক একটা পাপ এবং কবীরা গুনাহ। যদিও বলা হচ্ছে ছোট শিরক কিন্তু এই পাপ মানুষ
খুন করা, জিনা করা, চুরি করার চাইতে নিকৃষ্ট। এই পাপ থেকে তোওবা না করে মারা গেলে জাহান্নামে
শাস্তি নিশ্চিত পাবে। তোওবা না করলে আল্লাহ এই গুনাহ মাফ করেন না। তবে ঈমানদার হলে
শাস্তির পরে জান্নাতে যেতে পারে।
উদাহরণঃ
রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত করা, গাইরুল্লাহর নামে কসম করা।
৩.
শিরকে খফী বা গোপন শিরক
এইগুলো
মানুষের বিভিন্ন কথা ও কাজে গোপন থাকে, কিন্তু যেই মানুষ এইগুলোতে লিপ্ত থাকে, সে নিজেও
বুঝতে পারেনা যে শিরক করছে। এইজন্য একে গোপন শিরক বলে।
উদাহরণঃ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপর তাওয়্যাকুল (ভরসা) করা বা তাকে বেশি ভয় করা, রিয়া এক প্রকার
গোপন শিরকের উদাহরণ।