বুধবার, ২২ জুলাই, ২০১৫

সালফে সালেহীনদের মানহাজে বিদআ’তিদের অবস্থান

সালফে সালেহীনদের মানহাজে বিদআতিদের অবস্থান
_________________________
১. ছুপা বিদাআতী (যে অন্তরে নিজের বিদআতকে লুকিয়ে রাখে), এমন লোকদেরকে চেনার সহজ উপায়ঃ
ইমাম আল-আউযায়ী রহিমাহুল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের কাছে তার বিদআতকে লুকিয়ে রাখে, সে কখনো আমাদের কাছে তার সংগীদেরকে লুকিয়ে রাখতে পারবেনা।
[আল-ইবানাহঃ ২/৪৭৬]
_________________________
২. বিদআতি কোন ব্যক্তির ওয়াজ বা লেকচার শোনা, তার লেখা বই-পুস্তক পড়া বা তার কাছ থেকে ইলম নেওয়ার হুকুমঃ
ইমাম আল-বারবাহারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কোন বাক্তির মাঝে বিদআত প্রকাশ পেলে, তুমি তার কাছ থেকে সাবধান থেকো। কেননা, সে যা প্রকাশ করে, তা অপেক্ষা সে যা গোপন করে তা অনেক বেশী ভয়ংকর।
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]
_________________________
৩. ওলামাদের সতর্কবানী সত্ত্বেও, শুধুমাত্র প্রিয় বক্তা বা লেখকের প্রতি ভালোবাসার কারণে বিদআতির কাছ থেকে ইলম নেওয়ার ভয়াবহ পরিণতিঃ
ফুযাইল ইবনে আইয়ায রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তুমি কোন আহলুল বিদআহর লোকের সাথে বসবেনা। আমি ভয় করি যে, তুমি যদি কোন বিদআতির সাথে বসো, তাহলে আল্লাহর অভিশাপ তোমার উপরেও আসবে।
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]

ইমাম সুফিয়ান আস-সাউরি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি একজন বিদআতির কথা শ্রবণ করে, সে আল্লাহর হেফাজত থেকে নিজেকে বের করে নিলো, এবং তাকে তার উপরেই ছেড়ে দেওয়া হবে।
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]
_________________________
৪. বিদআতীদের ব্যপারে আমাদের দৃষ্টিভংগি কেমন হওয়া উচিতঃ
ইমাম আত-ত্বাহাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আক্বীদাহর বিরোধিতা করে, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।
[আল-আক্বীদাহ আত-তাহাবীয়া]

ইমাম আল-বারবাহারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, বিদআতিরা হচ্ছে বিছার মত। বিছা নিজের মাথা ও সারা দেহকে মাটিতে লুকিয়ে রাখে এবং কেবল হুলটিকে বের করে রাখে। অতঃপর যখনই সুযোগ পায়, তখনই হুল দিয়ে আঘাত করে। অনুরূপ, বিদআতি লোকেরা নিজেদের বিদআতকে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু যখন সুযোগ পায়, তখন নিজেদের ইচ্ছা পূরণ করে।
[তাবাকাতুল হানাবিলাহঃ ২/৪৪]

উতবাহ আল-গুলাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের সাথে নয়, জেনে রাখ নিশ্চয়ই সে আমাদের বিপক্ষে।
[আল-ইবানাহঃ ২/৪৩৭]