শরীরে
ব্যথা অনুভব করলে কি দুয়া পড়তে হবেঃ
প্রচন্ড
মাথা ব্যথা?
কি
করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না, আবার এদিকে ব্যথাও সহ্য করতে পারছেন না?
আল্লাহর
প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করুন ও তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা
করুন। আর এই দুয়া পড়ুন, ইন শা’ আল্লাহ
ভালো হয়ে যাবে।
শরীরের
যে জায়গায় ব্যথা সেখানে হাত রেখে প্রথমে তিনবার পড়বেন,
بِسْمِ اللهِ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহ।
অর্থঃ
আল্লাহর নামে শুরু।
তারপর
সাতবার
أَعُوْذُ بِاللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ.
উচ্চারণঃ
আ'উযু বিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহী মিন শাররি মা আযিদু ও উহা'যিরু।
অর্থঃ
যে ক্ষতি আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশংকা করছি তা হতে আমি আল্লাহর মর্যাদা এবং কুদরতের
মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
মুসলিম-৪/১৭২৮।
এই
দুয়া শরীরের যে কোনো জায়গায় ব্যথা হলে সেখানে হাত রেখে পড়া যাবে।
***
মনে রাখবেন, দুয়া কাজ করে আপনি কতটুকু আন্তরিকতা ও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দুয়া
করছেন তার উপরে। আপনার নিয়ত যদি হয়, আচ্ছা দুয়া করেই দেখি কাজ করে কিনা – এইরকম, বেশিরভাগ সম্ভাবনা আল্লাহ দুয়া কবুল
করবেন না। দুয়া কবুল হওয়ার একটা শর্ত হচ্ছে, “আল্লাহ আমার দুয়া কবুল করবেন” এই বিশ্বাস ও আশা নিয়ে দুয়া করা এবং “আমার দুয়া কবুল হবে কি হবেনা” –এইরকম সন্দেহ বা নিরাশা অন্তরের মধ্যে না রাখা।
বিঃদ্রঃ
অনেকের পক্ষে হয়তো মুখস্থ করা সম্ভব হবেনা, তারা “হিসনুল মুসলিম”
বইয়ের
২৮০ নাম্বার পৃষ্ঠায় পেয়ে যাবেন। যখন দরকার বই খুলে দেখে দেখে দুয়াটা পড়তে পারবেন,
কোনো ক্ষতি নেই। অথবা সূচীপত্র থেকে “যে
ব্যক্তি শরীরে ব্যথা অনুভব করছে সে কি করবে” এই অধ্যায় দেখে খুঁজে নিতে পারবেন।
***
“নেওয়ামুল কুরআন” নামক বইয়ে যেই সমস্ত আজাইর্যা ও ভিত্তিহীন
দুয়া ও জিকির দেওয়া আছে সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন। এই বইটার ৯৫% দুয়া ও জিকির ম্যান
মেড, অনেক শিরক ও কুফুরীও দেওয়া আছে।বাসায় থাকলে উচিত হবে বইটা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া
বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা।