‘ইশরাক’ সালাতের সময়ঃ
ফযরের
সালাতের ওয়াক্ত শেষে সূর্য উদয় হওয়া শুরু হওয়ার পর, আনুমানিক ১৫-২০ মিনিট পর থেকে ‘ইশরাক’ এর সালাত পড়া যায়। ইশরাক সালাত কি যারা জানেন
না, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আপনারা এই পোস্ট দেখুন –
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/posts/1109799845719428
_______________________
‘আওয়াবীন’, ‘চাশতের’ বা ‘যুহা’ সালাতের সময়ঃ
এই
সালাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আমাদের পুর্বের এই পোস্ট দেখুন –
https://www.facebook.com/dawati.kaj/photos/a.1539584829647010.1073741828.1440162482922579/1564327577172735/?type=1
_______________________
‘যুহর’ সালাতের সময়ঃ
দুপুরবেলা
সূর্য ঠিক মাথার সোজা পর্যন্ত এসে এক পাশে হেলে যাওয়া শুরু হওয়া থেকে, অর্থাৎ মধ্য
আকাশ হতে সূর্যের পশ্চিম দিকে ঢলে যাওয়া শুরু হলে যুহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর প্রত্যেক
বস্তুর ছায়া বস্তুটির সমান হওয়া পর্যন্ত; যতক্ষণ না আ’সরের সময় এসে উপস্থিত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত যুহর
সালাতের সময় বাকি থাকে। অর্থাৎ যখন রৌদ্রে লম্বা কোন একটা বস্তু (যেমন একটা লাঠি বা
কাঠি জাতীয় কিছু) রাখলে বস্তুটির ছায়া বস্তুটির দৈর্ঘ্যের সমান হয়, তখন যুহরের ওয়াক্ত
শেষ হয়ে যায়। আর যখন যুহরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় তখন আ’সরের ওয়াক্ত শুরু হয়।
আজ
(১৭ই আগস্ট, ২০১৫-ইং তারিখে) ঢাকায় যুহরের ওয়াক্ত শুরু ১২:০৩ মিনিটে, আর যুহরের ওয়াক্ত
শেষ সময় ৩:৩০ মিনিটে।
_______________________
আ’সর সালাতের সময়ঃ
যুহর
সালাতের ওয়াক্ত শেষ হলে, অর্থাৎ প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হতে একটু বড় হয়
তখন আ’সরের সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর কোন বস্তুর
ছায়া বস্তুটির দ্বিগুণ হওয়ার পর, সূর্যের রঙ হলুদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আ’সরের সালাতের ওয়াক্ত বাকি থাকে।
আজ
(১৬ই আগস্ট, ২০১৫-ইং তারিখে) ঢাকায় আসরের ওয়াক্ত শুরু ৩:৩১ মিনিটে, আর আসরের ওয়াক্ত
শেষ যখন কোন বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পরে সূর্যের আলো হলুদ বর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য আসরের এই শেষ সময় সেটা সাধারণ অবস্থার জন্য। তবে ওযর বশত কারো পক্ষে যদি সালাত
পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে কেউ যদি সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে আসরের এক রাকাত সালাত আদায়
করতে পারেন, আর বাকিগুলো যদি সূর্যাস্তের পরে পড়েন তাহলে তিনি আসরের ওয়াক্ত পেয়ে গেছেন
বলে ধরা হবে। এটা সেই ব্যক্তির জন্যে যার ওযর ছিলো, আর ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াক্তের একেবারে
শেষের দিকে খুব দ্রুত রুকু-সিজদা করে সালাত পড়া মুনাফেকের কাজ বলে হাদীসে বলা হয়েছে।
_______________________
আমাদের
দেশে প্রচলিত ‘হানাফী মাযহাব’ অনুযায়ী আসরের সালাতের সময় হিসাব করা হয়, কোন
বস্তুর ছায়া বস্তুটিরর দ্বিগুণ হওয়া থেকে। সে হিসেবে আসরের সালাতের সময় ধরা হয় ৪:৩৫
মিনিটে। কিন্তু তাদের এই নিয়ম (কোন বস্তুর ছায়া বস্তুটির দ্বিগুণ হলে আসরের ওয়াক্ত
শুরু হয়), এটা নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম এর ‘সহীহ
হাদীস’ এবং মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বালী – এই তিন মাযহাবের বিপরীত। সুতরাং যারা ‘সহীহ হাদীস’ ও তিন মাযহাব অনুযায়ী সঠিক সময়ে আসরের সালাত
পড়তে চান, তারা ৩:৩১ মিনিটের পরে যখন সুযোগ হবে তখনই সালাত পড়ে নেবেন। আর পুরুষদের
জন্য যেহেতু জামাতে সালাত আদায় করা জরুরী, সেই জন্য ইমাম যদি জামাত পড়াতে দেরী করে
তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সঠিক ওয়াক্তে সালাত পড়ে নিতে বলেছেন। আর যদি এর পরে জামাত ধরা
সম্ভব হয় তাহলে জামাতেও শরীক হতে বলেছেন। প্রথমটা তার জন্যে ফরয হবে, আর দ্বিতীয়টা
তার জন্যে নফল সালাত বলে গণ্য হবে। এনিয়ে আপনারা বিস্তারিত আলোচনা পাবেন, ইমাম নববী
রহিমাহুল্লাহর ‘সহিহ মুসলিম’ এর ব্যখ্যা গ্রন্থে।