“হুলুল” এবং “ওয়াহদাতুল ওজুদ” আক্বীদাহ কি?
প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শায়খ আব্দুর রাক্বীব মাদানী
দ্বাইয়ী, খাফজি ইসলামিক সেন্টার, সৌদি আরাবিয়া।
_______________________
এমন
দুটি ‘কুফুরী’ আক্বীদা ও পরিভাষা যা সবার প্রথম একজন মুসলিম
এর বোঝা উচিৎঃ
১.
“হুলুল”
আরবীতে
বলা হয়, হুলুলিয়্যাহ, যার বাংলা অরথ হচ্ছে, অনুপ্রবেশবাদ। হুলুল কথাটির সাধারণ ব্যাখ্যা
হচ্ছেঃ আল্লাহ কোনো কিছুর মধ্যে ‘হুলুল’ করে অর্থাৎ প্রবেশ করেন। এই মতবাদ প্রাচীনকাল
থেকে মানুষের মাঝে বিদ্যমান, তবে বিশেষ করে খৃষ্টানদের মাঝে এই আক্বীদাহ লক্ষ্য করা
যায়। খ্রীস্টানরা মনে করে আল্লাহ ঈসা (আঃ) এর মধ্যে প্রবেশ করে এক হয়ে গেছেন। এই কারণে
হুসাইন বিন মানসুর হাল্লাজ নামে একজন পথভ্রষ্ট সূফী যখন বলেছিল, আনাল হক্ব (আমিই আল্লাহ),
তখন এই কথাটিকে খৃষ্টানরাই বেশী পছন্দ করেছিল, কারণ এই কথার সাথে তাদের আক্বীদার মিল
ছিলো।
২.
“ওয়াহদাতুল ওজুদ”
এর
বাংলা হচ্ছে ‘সর্বেশ্বরবাদ’ অর্থাৎ সব কিছুর মাঝেই আল্লাহ আছেন। সহজ ভাষায়
বলতে পারেনঃ এই পৃথিবীতে যা কিছুর অস্তিত্ব আছে, সব দেখতে ভিন্ন ভিন্ন রকন হলেও প্রকৃতপক্ষে
সবকিছু অস্তিত্ব এক। তাই স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য নেই, যিনি ‘খালিক্ব’ (সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ) তিনিই ‘মাখলুক’ (যা কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে), আর যা সৃষ্টি তাই
স্রষ্টা।
এই
আক্বীদাহ বা বিশ্বাস গ্রীকদের হলেও, এই আক্বীদার উপরে সবচেয়ে বেশী আমলকারী হচ্ছে হিন্দুরা।
তাই তারা পৃথিবীর প্রায় সবকিছুরই পূজা করে থাকে, যেমন – গাছ, পাথর, মাটি, সাপ-বিচ্ছু, হনুমান, হাতী,
পশু-পাখি নদী-সমূদ্র এমনকি নারী ও পুরুষ লিংগের। কারণ তাদের আক্বীদাহ অনুযায়ী স্রষ্টা
ও সৃষ্টির মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
কিন্তু
ইসলামের মূল বক্তব্যই হলঃ খালেক (সৃষ্টিকর্তা) ও মাখলুক (সৃষ্টি) সম্পূর্ণ আলাদা। স্রষ্টা
তিনি মহীয়ান গরীয়ান, তিনি কাউকে জন্ম দেননি কারো থেকে তিনি জন্ম নেন নি। যে ব্যক্তি
স্রষ্টার অস্তিত্ব, সত্ত্বায়, ইবাদতে ও গুণাগুণে অন্য কাউকে অংশী করবে, সে মুশরিক ও
চির জাহান্নামী।
এবার
আপনারাই বলুন, এমন ডাহা কুফুরী আক্বীদাহ থেকে আমাদের কতটুকু নিরাপদ
দূরত্বে থাকা উচিত? কিন্তু আফসোস! আমাদের মুসলিম সমাজের অবস্থা এমন হয়েছে যে, এক শ্রেণীর
আলেম নামের জাহেল ‘আল-মুরাক্কাব’ ঐ সমস্ত কুফুরী আক্বীদাহগুলোকে ইসলাম নাম দিয়ে
মানুষদেরকে কুফুরী শিক্ষা দিয়ে শয়তানের সাথে হাত মিলিয়েছে।
[এডমিন কর্তৃক কিছুটা সম্পাদিত]