দ্বীন কায়েম, ইসলামী আন্দোলন, জিহাদী ইত্যাদি নামে যারা আহলে সুন্নত ওয়াল
জামাআ’ত থেকে বের হয়ে গেছে, সেই দলগুলো একটা
আরেকটার ব্যপারে কি দৃষ্টিভংগি রাখে, নিচে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
=>
বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্থানে জামাতে ইসলামী এবং মিশর সহ কিছু আরব দেশে ইখোয়ানুল মুসলিমিন
(মুসলিম ব্রাদারহুডের) এর লোকেরা মনে করে তারা গণতন্ত্র এবং ভোটের মাধ্যমে ‘শরিয়াহ’ বা ‘ইসলামী খেলাফত’ কায়েম করবেন। আর জেএমবি, আল-কায়েদাহ, আইসিস
এরা হচ্ছে আমেরিকার সৃষ্টি স্পাই ও জংগি সংগঠন, যারা বোমাবাজি করে মুসলমান দেশগুলোকে
অস্থিতিশীল বানাতে চায়।
=>
জেএমবি, আল-কায়েদাহ, আইসিস মনে করে তারা ‘জিহাদ’ এর মাধ্যমে ‘শরিয়াহ’ বা ‘ইসলামী খেলাফত’ কায়েম করবে। আর জামাতে ইসলামী ও ইখোয়ানুল মুসলিমিন
কুফুরী গণতন্ত্রের গর্তে পড়ে কাফেরদের দালালি করছে।
=>
আল-কায়েদার মতে আবু বকর বাগদাদীর দল ‘আইসিস’ হচ্ছে পথভ্রষ্ট খারেজী, তাদের খিলাফতের দাবী
মিথ্যা, মিথ্যা খিলাফতের দাবীদার বাগদাদীকে ‘কতল’ করা ওয়াজিব।
=>
আইসিসের মতে ‘আল-কায়েদাহ’ বাগদাদিকে বাইয়াত না দেওয়ায় তারা মুর্তাদ হয়ে
গেছে, তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ এবং তাদের অনেক নেতা কর্মীকে তারা ইতিমধ্যে হত্যাও করেছে।
=>
জামাতে ইসলামী ও ইখোয়ানুল মুসলিমিন এবং জেএমবি, আল-কায়েদাহ, আইসিস এর লোকেরা হিযবুত
তাহরীরকে বোকা লোকদের সংগঠন মনে করে।
=>
আর হিযবুত তাহরীরের লোকেরা জামাতে ইসলামী ও ইখোয়ানুল মুসলিমিন এবং জেএমবি, আল-কায়েদাহ,
আইসিস এদের সবাইকে গোমরাহ মনে করে।
সংক্ষেপে
খারেজীদের জীবনচক্র...
জীবন
শুরুর দিকে জামাত-শিবির > যখন জামাত শিবিরের দুইমুখী নীতি কিছুটা ধরতে পারে তখন
মডার্ণ আদলে হিযুবত তাহরীর দলে যোগ দেয় >> হিযবুত তাহরীরে গিয়ে যখন আশার আলো
দেখতে পায়না তখন এদের চাইতে বড় কট্টরপন্থী খারেজী দল আইসিস/আল-কায়েদাহ এর ভক্ত। আল্লাহ
আমাদেরকে চরমপন্থী খারেজীদের ফেতনা-ফাসাদ থেকে রক্ষা করুন, আমিন।