দ্বীন শিক্ষার্থীদের জন্যে কিছু কথাঃ
১. প্রতিদিন ক্বুরান পড়া এবং পছন্দের ক্বারীদের তেলাওয়াত শোনার অভ্যাস গড়ে
তুলুন, প্রতিদিন
অন্তত কয়েকটা আয়াত হলেও অর্থসহ বুঝে পড়ার চেষ্টা করতে হবে।
২. আস্তে আস্তে ক্বুরানের ছোট সুরাগুলো ও গুরুত্বপূর্ণ আয়াতগুলো মুখস্থ
করতে হবে, আরবীতে না
পারলে অন্তত বাংলাতে হলেও মনে রাখার চেষ্টা করবেন
৩. হাদীসের বইগুলো মাঝে ‘রিয়াদুস
সালেহীন’,
এটা খুব উপকারী, এতে একজন তালেবে ইলমের ইসলাম
সম্পর্কে জানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আয়াত এবং হাদীসগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। এই বইটা
সারাজীবন চর্চার উপর রাখতে হবে।
৪. ফিকহের জন্য জরুরী হাদীসগুলো পাওয়া যাবে ‘বুলুগুল মারাম’ এ। ‘রিয়াদুস সালেহীন’ ও ‘বুলুগুল মারাম’ দুটোর বই তাহকীকসহ বেড়িয়েছে, তাওহীদ প্রকাশনী থেকে।
৫. বাজে কাজ ও অপ্রয়োজনীয় সংগ বাদ দিতে হবে, অবসর সময়গুলোকে ইবাদত এবং
বিশেষ করে ইলম অর্জনে কাজে লাগাতে হবে।
৬. সঠিক দ্বীনের জ্ঞান সম্পন্ন ইসলামিক বক্তাদের (যেমন বাংলাতে শহীদুল্লাহ
খান মাদানী, মতিউর
রহমান মাদানী, ডা আবু বকর জাকারিয়া, কাযী
মুহাম্মাদ ইব্রাহীম ও আরো অনেকেই) তাদের লেকচার শুনতে হবে, যতগুলো
সম্ভব শুনবেন, বিশেষ করে আকীদা ও ফিকহের উপরে লেকচারগুলো।
অবশ্যই মধ্যপন্থার আহলে সুন্নাহর অনুসারী এমন বাংলা, ইংরেজী
বা উর্দু বক্তা বা বড় আলেমদের লেকচার শুননবেন। আর আহলে সুন্নাহর অনুসারী নয় এমন
জনপ্রিয় বক্তা বা লিখক, যারা নিজেরাই বিভ্রান্ত এমন বক্তাদের লেকচার বর্জন করবেন।
বিভ্রান্ত লিখক ও বক্তাদের মাঝে যেমন মওদুদী, সাইয়েদ কুতুব, ইয়াসির ক্বাদী,
নোমান আলী খান, আনোয়ার আওলাকি, তারিক জামিল আরো অনেকেই আছে যাদেরকে তাদের ভক্ত শ্রোতারা বড় আলেম মনে করে...যদিও
তাদের কথা শুনতে যতই ভালো লাগুক না কেনো, তাদের কথা শুনবেন
না, কারণ তাদের মিষ্টি মিষ্টি কথার আড়ালে অজ্ঞতা এবং গোমরাহী লুকিয়ে আছে।
৭. কিছু বই আছে বড় আলেমদের (যেমন শায়খ ইবনে উসাইমিনের ফতোয়া আরকানুল ইসলাম, ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল
ওহহাব এর কিতাব আত-তাওহীদ, শায়খ আলবানীর রাসুল সা এর
সালাত...) এমন কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বই বারবার পড়ার মাধ্যমে আয়ত্ব করতে হবে।
৮. ফেইসবুক,
টিভি, মোবাইল এইগুলোর মাঝে সামান্য ভালোর
বিপরীতে সমুদ্র সমান হারাম, ফেতনা ও গোমরাহী লুকিয়ে আছে, সুতরাং সে ব্যপারে সাবধান
থাকবেন।
সংক্ষেপে কিছু কথা লিখলাম...আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সফলতা দান করুন।