“লা
হা’ওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।”
অর্থঃ
পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার জন্যে এবং নেক আমল করার জন্য আল্লাহ ছাড়া আর কোন শক্তি বা
ক্ষমতা নেই ।
মানুষের
জীবনে আল্লাহর দেওয়া ‘তোওফিক’ অনেক বড় একটা বিষয়। দ্বীন এবং দুনিয়ার ব্যপারে
কত কিছুই যে করবো চিন্তা করি! কিন্তু আল্লাহর তোওফিক না থাকায় অনেক কিছুই করা সম্ভব
হয়না। সন্ধ্যার পর থেকে আমপারা থেকে ৮টা আয়াত নির্বাচন করলাম, আপনাদের সাথে শেয়ার করবো
বলে। পোস্ট করার একটু আগে কারেন্টটা চলে গেলো! পছন্দের কোন লেখা পোস্ট করতে না পারলে
অথবা মনের মতো করে গুছিয়ে লিখে শেষ করতে না পারলে আমার ভীষণ খারাপ ও অস্থির লাগে। গুরুত্বপূর্ণ
কাজের মাঝেও সেই লেখাটার কথা মাথায় ঘুরতে থাকে। যাই হোক, কারেন্ট আসলে ইন শা' আল্লাহ
লেখাটা পোস্ট করবো ।
__________________________
[সুবহা’নাল্লাহ! মোবাইলে এই লেখাটা লিখার সময় কারেন্ট
আবার চলে আসলো, তাই দুইটি লেখা একই সাথে পোস্ট করে দিলাম, ফা লিল্লাহিল হা’মদ]
__________________________
“ক্বুরানুল
কারীমের পাতা থেকে”
-
আনসারুস সুন্নাহ।
__________________________
যারা
ক্বুরানের অর্থ পড়তে ভালোবাসেন, আজকে আমি তাদের জন্য আমাদের অতি পরিচিত ‘আমপারা’ থেকে ৮টি আয়াতে কারীমা আপনাদের সামনে পেশ করছি।
আসুন আমরা সবাই ক্বুরান পড়ি, এর অর্থ বুঝার চেষ্টা করি এবং সে অনুযায়ী আমল করার জন্য
‘মুজাহাদা’ বা কঠোর পরিশ্রম করি। আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই
তোওফিক দান করুন, আমিন।
__________________________
মহান
আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
“নিশ্চয়
আমি মানুষের (জীবন) সৃষ্টি করেছি অনেক দুঃখ-কষ্টের মাঝে।”
সুরা
আল-বালাদঃ ৪।
__________________________
“হে
মানুষ! তোমাকে তোমার পালনকর্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেক দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে হবে। অতঃপর
তাঁর সাথে তোমার দেখা হবে।”
সুরা
ইনশিক্বাকঃ ৬।
__________________________
“মানুষের
অবস্থা এমন যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা স্বরূপ তাকে সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন,
তখন সে (পরীক্ষার কথা ভুলে গিয়ে উল্লসিত হয় আর) বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মানিত
করেছেন।
আর
যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষাস্বরূপ তার রিযক সংকুচিত করে দেন, তখন সে (হতাশ হয়ে
পড়ে আর) বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে অপমানিত করেছেন।”
সুরা
আল-ফাযরঃ ১৫-১৫।
__________________________
“নিশ্চয়
তোমাদের একেক জনের কাজের চেষ্টা ও ধরণ একেক রকম।”
সুরা
আল-লায়লঃ ৪।
__________________________
“তাদেরকে
এছাড়া আর কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে,
আর নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। আর এটাই হচ্ছে সরল-সঠিক দ্বীন।”
সুরা
আল-বায়্যিনাহঃ ৫।
__________________________
“নিশ্চয়
কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি।”
সুরা
ইনশিরাহঃ ৫।
__________________________
“আর
আপনি সিজদা করুন ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন।”
সুরা
আলাক্বঃ ১৯।
__________________________