দুনিয়ার
লোভে পড়ে বহু অসচেতন ও গাফেল গার্জিয়ানরা অল্প বয়ষ্ক তরুণী মেয়েদেরকে নিরাপত্তাহীন
পরিবেশে হোস্টেলে বা মেসে রাখছেন। আর তাদের মেয়েদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বা বিভিন্ন
কৌশলে তাদের ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলেছে তাদেরই সহপাঠী বন্ধু, প্রেমিক,
ভাইয়া বা শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে অনেক ছাত্রী রাজনৈতিক
নেতা-কর্মীদের মনোরঞ্জের জন্য খেলনার মতো ব্যবহৃত হচ্ছে। এইভাবে আগামী দিনের সন্তানদের
মাদেরকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতে এদের ঘর থেকে যেই সন্তানগুলো আসবে, স্বাভাবিকভাবে
তারাও তাদের মতোই কলুষিত হবে। অনেক গার্জিয়ান যুক্তি দেখাতে পারে, আমার মেয়ে অনেক ভালো,
হিজাব-পর্দা করে। এমন খোঁড়া যুক্তি দিয়ে যারা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন, তাদেরকে বলছি, আপনি
অন্ধ না হলে নামী-দামী কলেজ-ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসগুলোতে একবার ঘুরে আসুন। হিজাব
পড়া, নিকাব পড়া মেয়েরাই প্রকাশ্যে যে সমস্ত বেহায়াপনায় লিপ্ত, আপনি একজন বিবেকবান মানুষ
হলে সেটা প্রকাশ্যে মুখে উচ্চারণ করতেও লজ্জা বোধ করবেন। আর জাহেল ছেলে-মেয়েদের কথা
নাহ বাদই দিলাম। আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন, আপনার চোখের আড়ালে আপনার চোখের নয়নমনি এইগুলো
করেছেনা? আপনি একটা এসিড ভর্তি বালতিতে হাত দিবেন, আর আশা করেন আপনার কিছু হবেনা? কো-এডে
ছেলে-মেয়েদেরকে পড়ানোর উপমাটা এমনই। আপনার সন্তানরা আপনার জন্যে আমানত, মনে রাখবেন
তাদের ব্যপারে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে। উদাসীন হয়ে দিন কাটাবেন না, এমন পরিবেশে মেয়দেরকে
রাখবেন না, যেখানে তাদের ইজ্জত নিরাপদ নয়। উল্লেখ্য, পুরুষদেরকে দিয়ে পড়ানো হয় এমন
মাদ্রাসাগুলোর ব্যপারেও সাবধান থাকতে হবে। আর পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত আবাসিক মহিলা
মাদ্রাসাতে মেয়দেরকে দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা, এইগুলো আরেক ফেতনা। মনে রাখবেন, একজন গায়ের
মাহরাম সে বড় ‘আলেম’ হলেও, আপনার মেয়ে তার কাছে মোটেও নিরাপদ নয়।
এমনিভাবে অনেক নারীর সর্বনাশ হয়েছে, লোকলজ্জার কারণে হয়তো জীবনে মুখ ফুটে কিছু বলতেও
পারবেনা। আমি যদি এইগুলো নিয়ে লিখি, এতে অনেকে আমার উপরে রাগ করেন। আসল কথা হচ্ছে,
যারা ভুক্তভোগী আসলে সে ছাড়া এই কথাগুলোর গুরুত্ব অন্য কেউই বুঝবেনা।