মানুষরূপী শয়তানদের থেকে সাবধানঃ
আপনি নিষ্ঠার সাথে ইসলাম পালন করার চেষ্টা করলে ‘শয়তান’ বিভিন্ন দিক থেকে আপনাকে
হেদায়েত থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করবে।
এখানে লক্ষ্যণীয় একটা বিষয় হচ্ছে, শয়তান বলতে আমাদের মন-মগজে
সবসময় অদৃশ্য জগতের প্রাণীদের কথা মাথায় আসে, যা আসলে ঠিক
নয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে এমন কিছু মানুষও রয়েছে যারা আসলে শয়তান!
আপনি খেয়াল করে দেখবেন,
কিছু মানুষ নামায পড়েনা, রোযা রাখেনা, হালাল হারামের কোনো ধার ধারেনা। আপনি তাদেরকে যদি ইসলামের দিকে দাওয়াত দেন
তাহলে তাদের কাছ থেকে অহংকার, কুফুরী আর ওদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ
ছাড়া আর কিছু পাবেন না। উলটা ইসলাম মানার জন্য নানাভাবে আপনাকে ভয় দেখাবে, নিরুতসাহিত করার চেষ্টা করবে।
এই মানুষগুলো শয়তান,
যেমনটা আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন,
“এরা
যে রয়েছে (মুসলমান ছদ্মবেশি মুনাফেক),
এরাই হলো শয়তান। এরা নিজেদের বন্ধুদের (কাফির ও তাগুত ally দের) ব্যাপারে তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয়
করো না। আর তোমরা যদি সত্যিকারের ঈমানদার হয়ে থাক, তাহলে
শুধু আমাকেই ভয় করো।”
[সুরা আলে ইমরানঃ ১৭৫]
তাই আমাদেরকে যেমন ‘ইবলিশ’ নামক অদৃশ্য শয়তান থেকে
সাবধান থাকতে হবে, তেমনি দুই পায়ে চলাচলকারী মানুষ শয়তানদের
থেকেও সাবধান থাকতে হবে, যাতে করে তারা আমাদের ধোঁকা দিতে না
পারে।