শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

জীবন আলোকিত করার জন্য যেই দুয়া পড়তে হয়…



জীবন আলোকিত করার জন্য যেই দুয়া পড়তে হয়…

আমরা কাউকে ধার্মিক মনে করলে বলি “নূরানী” বা আলোকিত। কেয়ামতের দিন ঈমানদারদের সামনে ও পেছনে সত্যিই নূরান্বিত থাকবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে তওবা কর, আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।”
সুরা তাহরীমঃ ৮।

আমাদের অন্তর, জ়ীবন যাতে করে আল্লাহ নূর দান করেন তার জন্য একটা দুয়া আছে, যা প্রত্যেকবার মসজিদে যাওয়ার সময় পড়া সুন্নত। তাই ভাইদের উচিত এই দুয়াটা মুখস্থ করা এবং মসজিদে যাওয়ার সময় প্রত্যেকবার পড়া। আর যেই সমস্ত বোনদের মসজিদে যাওয়ার সুযোগ নেই, তারাও মুখস্থ করে সুন্দর এই দুয়াটা পড়তে পারেন মুনাজাতের সময়।

মসজিদে যাওয়ার সময় দুয়াঃ

اللّهُـمَّ اجْعَـلْ في قَلْبـي نورا ، وَفي لِسـاني نورا، وَاجْعَـلْ في سَمْعي نورا، وَاجْعَـلْ في بَصَري نورا، وَاجْعَـلْ مِنْ خَلْفي نورا، وَمِنْ أَمامـي نورا، وَاجْعَـلْ مِنْ فَوْقـي نورا ، وَمِن تَحْتـي نورا .اللّهُـمَّ أَعْطِنـي نورا

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজআ’ল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়াজআ’ল ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়াজআ’ল ফী বাসারী নূরান, ওয়াজআ’ল মিন খলফী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়াজআ’ল মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্‌তী নূরান, আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন।
সহীহ মুসলিমঃ ৭৬৩।

অডিও শুনুন এইখানেঃ-


https://www.youtube.com/watch?v=UOakQCrn2dg