শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ‘মিশন’ ও তাঁর ‘দায়িত্ব’

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মিশন ও তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,    
উযুবিল্লা-হিমিনাশ শাইতোয়ানীর রাজীম। (অর্থঃ বিতাড়িত শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
(২১) অতএব, (হে নবী!) আপনি তাদেরকে উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা মাত্র,
(২২) আপনি তাদের উপর জিম্মাদার (বা কর্তৃত্বশীল শাসক) নন,
(২৩) কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হবে,
(২৪) আল্লাহ তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন।
(২৬) নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,
(২৭) অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।
সুরা আল-গাশিয়াহঃ ২১-২৭।
_______________________
শায়খ মুজাম্মেল হক্ক এর কিছু কথা,
সকল সমস্যার মুল মানুষ। মানুষের অনেক শ্রেণীর। তাদের মাঝে সবার বুঝশক্তি সমান নয়। জ্ঞানও একই রকম নয়। শিক্ষাও এক নয়। জন্ম নেওয়া বেড়ে উঠা, লালিত হওয়া ইত্যাদি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে। তাই মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের মূল বাণী অনুধাবনে দেখা যায় বেজায় ফারাক। শয়তান বেচারা তার সৈন্য-সামন্ত নিয়ে দিবানিশি অভিযান চালিয়েও কখনো ক্লান্ত হয়নি। এমন বাস্তবতার পরাকাষ্ঠা চলছে আবহমান কাল থেকে। হালে একটু বেড়ে উঠেছে এই আর কি।

এমন বাস্তবতার মধ্যে সকল মানুষকে একত্রিত করার স্বপ্ন একটি দুঃসপ্ন। এটা একটা রাজনৈতিক ধোঁকা। এটা কোনদিন বাস্তবে রূপান্তরিত হবেনা। কেয়ামতের দিনে আল্লাহ্‌ ফয়সালা করবেন, কে কতটা সঠিক এবং তার কি পাওনা। তিনিই আল্লাহ্‌, যিনি মানুষের শাহারগ (ঘাড়ের মোটা ধমনীর) নিকটে থেকে, সর্ব সময়ের সঙ্গী হয়ে সবকিছু দেখছেন। বিচারও তিনিই করবেন। আমাদের কাজ মানুষকে উপদেশ দেওয়া, ভাল কাজের আদেশ দেওয়া আর মন্দ থেকে ফিরে থাকতে সাহায্য করা। এর বেশী নয়। আমরা জিজ্ঞাসিত হবনা জর্জ কেন ঈমান আনলোনা। জিজ্ঞাসিত হবনা, আব্দুল্লাহ কেন বেহেস্তে গেলনা?