শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

বৃষ্টি ও শীত

আলহামদুলিল্লাহ, আজ (শুক্রবার, ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৫) ফজরের সময় বৃষ্টি হলো। বৃষ্টি আল্লাহর খাস রহমতের একটা অংশ। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন,
মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন। তিনিই কার্যনির্বাহী, প্রশংসিত।
[সুরা আশ-শুরাঃ ২৮]
তিনি আরো বলেছেন,
৪৮. তিনিই স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন। এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্যে পানি বর্ষণ করি।
৪৯. তদ্দ্বারা মৃত ভূ-ভাগকে সঞ্জীবিত করার জন্যে এবং আমার সৃষ্ট জীবজন্তু ও অনেক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্যে।
৫০. এবং আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না।
সুরা আল-ফুরক্বানঃ ৪৮-৫০।
বৃষ্টি আল্লাহর রহমত, একারণে বৃষ্টির সময় দুয়া বেশি কবুল করা হয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
দুইটি বিষয় আছে এমন যেইগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়না, আযানের সময় দুয়া ও বৃষ্টির সময়ে দুয়া।
আবু দাউদ, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামিঃ ৩০৭৮।
তবে ডিসেম্বর মাসে, শৈত্য প্রবাহের শুরুর দিকে এই বৃষ্টি দেশে শীতকে আরো বাড়িয়ে দিবে। গ্রীষ্মকালে গরমের কষ্ট এবং শীতকালে শীতের কষ্ট এ দুটোই দুনিয়াবাসীর উপরে জাহান্নামের আযাবের একটা অংশ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
জাহান্নাম তার প্রতিপালকের নিকট এসে এই বলে অভিযোগ করেছিলো, হে আমার প্রতিপালক! (আগুনের তীব্রতায়) আমার এক অংশ আর এক অংশকে গ্রাস করে ফেলছে। ফলে আল্লাহ্ তাআলা জাহান্নামকে দুইটি শ্বাস ফেলার অনুমতি দিলেন, একটি শীতকালে আর একটি গ্রীষ্মকালে। আর সে দুইটি শ্বাস হলো, তোমরা গ্রীষ্মকালে যে প্রচন্ড উত্তাপ এবং শীতকালে যে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভব কর তাই।
সহীহ বুখারীঃ ৫৩৭।
গ্রীষ্মকালের গরমের কষ্ট এবং শীতকালে শীতের কষ্ট থেকে আমাদের জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্যে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ এবং আমাদের পাপের কারণে তোওবা করা উচিৎ।
ওযুর পরে একটি সুন্দর দুয়াঃ
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ আলনী মিনাত তাওয়্যাবীনা ওয়াজ আলনী মিনাল মুতা-ত্বাহহিরীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো।

সুনানে তিরমিযীঃ ১/৭৯।