বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

বিয়ে নিয়ে কিছু কথা

(১) একজন মুসলমান যুবক গরীব হতে পারে, আল্লাহ কাউকে ধনী বানান কাউকে গরীব বানান। কিন্তু একজন দুই হাত দুই পা ওয়ালা সুস্থ সামর্থ্য মুসলমান যুবকের কখনোই ভিক্ষুক হওয়া উচিৎ নয়। বিয়ে করতে এসে যেই ছেলে মেয়ের বাবার কাছে যৌতুক, টাকা-পয়সা, সোফা সেট, খাট-পালং বা অন্য কোন কিছু দাবী করে, সে মিসকীন, সে রাস্তার ভিক্ষু্কের চাইতে নিকৃষ্ট। এমনকি মনে মনে গিফট আশা করাও অনুচিত। এমন যে করে সে থার্ডক্লাস, ছোটলোক, এটা আসলে হিন্দুদের স্বভাব। শিক্ষিত হোক অশিক্ষিত হোক, অনেক পরিবারেই এমন হারাম টাকা দাবী করছে একশ্রেণীর জাহেল লোকেরা। আর অসহায় মেয়ের পরিবার বাধ্য হচ্ছে দিতে। এমন ছোটলোক লোভী ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়া ঠিকনা। একশ্রেণীর অজ্ঞ গার্জিয়ান শিক্ষিত(!), বড়লোক বা এস্টাব্লিশড ছেলে ধরার জন্যে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেয়। আর দুই দিন পরেই সে লোভী ছেলে আরো টাকা দাবী করে, মেয়েকে মারধর করে, অন্য জায়গায় অবৈধ সম্পর্ক করে স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয়। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
(২) বিয়ের পরে কোন জাহেল স্বামী টাকা দাবী করলে মেয়ের বাবার উচিৎ নয় তাকে টাকা দেওয়া, এতে করে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। আফসোস! আমাদের দেশে ন্যায় বিচার নেই। মেয়ের বাবার সম্পদের লোভে যেই সমস্ত বদমাশ লোকেরা স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে, গালি-গালাজ করে এই সমস্ত জালেম লোকদের বিচার হয়না। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ, যাতে করে ভবিষ্যতে অন্য কেউ স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার পূর্বে ১০ বার চিন্তা করে। 
(৩) আজকাল একশ্রেণীর দাইয়ুস বাবা/ভাই/স্বামী বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়ের কন্যাকে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মারাত্মক সাজ-গোজ দিয়ে, বেপর্দাভাবে স্টেইজে বসিয়ে শত শত পুরুষদেরকে দেখাচ্ছে...এই সমস্ত বাবা/ভাই/স্বামীর কোন মান সম্মান নেই, এরা ঘরের মেয়দের রূপ-যৌবন অন্য পুরুষদেরকে দেখিয়ে গর্ববোধ করে। ছিহ! একজন মুসলমান পুরুষ এতো আহাম্মক ও নির্বোধ হয় কি করে?
(৪) সবার নিজ নিজ অবস্থা অনুযায়ী বিয়ে করা উচিৎ। বেনামাজী ছেলে বেনামাযী মেয়েকে, ফাসেক আধুনিকমনা মেয়ে ফাসেক আধুনিকমনা ছেলেকে - এমন মিল রেখে। নামাযীকে বেনামাজীর সাথে বা কোন বেহায়াকে ভদ্র-শালীন কারো সাথে বিয়ে দিয়ে তাদের জীবনে সমস্যা বাঁধিয়ে দেবেন না। একটা রিক্সাতে ট্রাকের চাকা লাগালে সেটা না হবে রিক্সা না হবে ট্রাক, বরং সেটা চলাচলের অযোগ্য। এমন ছেলে মেয়ের দ্বীনদারীতার মাঝে বড় রকমের অসমতা থাকা ঠিকনা, এতে দুজনের জীবনে অশান্তি। 

(৫) গায়ে হলুদ নামে নারী-পুরুষ মিলে-মিশে বেহায়াপনা, ফাহেশাহ কার্যকলাপ, তাবাররুজ, গান-বাজনা, অপচয় - এই সবগুলো কাজ মুসলমানদের নয়, এইগুলো কাফের মুশরেকদের অনুকরণ। মুসলমানদের জন্যে এইগুলো করা, এই ধরণদের অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্পূর্ণ হারাম।