মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা করেনা

আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা করেনা, মানুষের যত্তগুল ফিলিংস আছে, সম্ভবত সবচাইতে হতাশাজনক ও খারাপ ফিলিংসগুলোর একটা। এনিয়ে আমাদের পূর্বের একটা আবার শেয়ার করছিঃ
দুঃখ কষ্টে পড়লে শয়তান মানুষকে জীবন সম্পর্কে বিষিয়ে তুলে, আমার জীবনের কোন মূল্য নেই, বা আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে এই চিন্তা-ভাবনা অন্তরে ঢুকিয়ে দেয়। এমন অবস্থায় মানুষ আল্লাহ এবং তাক্বদীর সম্পর্কে বাজে ধারণা রাখে, অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় অনেকে প্রশ্ন করেঃ
(১) আল্লাহ মানুষ কেনো বানাইলেন?
(২) আমি আর বাঁচতে চাইনা।
(৩) বেঁচে থেকে কি লাভ?
(৪) আমি মরে গেলেই ভালো হয়।
আমাদের পরকালের প্রতি বিশ্বাস থাকলে মনে রাখা প্রয়োজন, দুনিয়ার জীবন পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুইনা। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদত করার জন্যে। আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার মাধ্যমেই মানুষ সুখী হতে পারে। আর দুনিয়ার জীবনের জন্যে যেই জিনিসগুলো প্রয়োজন সেইগুলো পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করতে হবে, আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে দুয়া ও সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে....এবং সুখে ও দুঃখে সর্ববস্থাতে ধৈর্য ধরতে হবে। যেই সমস্ত ভাই ও বোনেরা এ ব্যপারে ফিতনাহ (পরীক্ষা) বা শয়তানের ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রনায়) পড়েছেন, আমি তাদেরকে বলবো আপনারা ঈমান কি, তা শিক্ষা করুন, ক্বুরান সম্পর্কে জানুন। যে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চায়, আল্লাহ তাকে পথ দেখান। যে আল্লাহ সম্পর্কে ভুল বা বাজে ধারণা রাখে, সে দুনিয়াতে অত্যন্ত কষ্টের জীবন বহন করে। আমি দুয়া করি, আল্লাহ তাঁর সমস্ত বান্দা ও বান্দীদেরকে মাফ করুন, বিশেষ করে যারা দুঃখ-কষ্টের মাঝে আছে তাদের প্রতি রহম করুন, তাদেরকে সুন্দর ফয়সালা দান করুন, আমিন।
দুঃখ ও দুশ্চিন্তার, দারিদ্রতা ও ঋণগ্রস্থ হওয়া থেকে মুক্তির জন্য দুয়াঃ
যারা স্বচ্ছল অবস্থায় শান্তিতে আছেন, তারা যেনো কঠিন পেরেশানি, বড় বিপদ, বড় ঋণের বোঝা, মানুষের, অলসতা, অক্ষমতা, কাপুরুষতার স্বীকার না হন, সেই জন্য নিয়মিত এই দুয়া পড়া উচিৎ। আর যারা এইগুলোর স্বীকার হয়েছেন তারাও নিয়মিত এই দুয়া পড়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবেন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নি আঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দ্বোলাই-দ্বাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অলসতা ও অক্ষমতা থেকে, কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে, ঋণের বোঝা মানুষের নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে। [বুখারীঃ ২৮৯৩]

রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দুআটি বেশি বেশি করে পড়তেন। ফাতহুল বুখারীঃ ১১/১৭৩।