শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

দেওবন্দী আলিমদের ফিকহের খেদমতঃ

দেওবন্দী আলিমদের ফিকহের খেদমতঃ
শায়খ মুহাম্মদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, অজ্ঞতা, মূর্খতা ও অন্ধভাবে নিজের মতের ব্যপারে পক্ষপাতিত্ব করার কারণে মানুষ ধংসপ্রাপ্ত ও বিপদগ্রস্থ হয়।
_________________________
(১) মসজিদে আমিন জোরে বলা নতুন ফেতনাহ। - আহমাদ শফি, হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।
নোটঃ মালেকী, শাফেয়ী এবং হাম্বালী এবং প্রায় মুহাদ্দিসিনদের মতে, আমিন জোরে বলা মুস্তাহাব
(২) রফউল ইয়াদাইন করা, জোরে আমিন বলার কারণে সোলোফিরা সৌদি আরব থেকে রিয়াল পায়, মাসে চাইরশো, পাঁচশো করে রিয়াল পায়। - আহমাদ শফি, হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।
নোটঃ কুতুবে সিত্তাহর সবগুলো হাদীসের কিতাবেই এনিয়ে স্পষ্ট সহীহ হাদীস এবং অনুসরণীয় ইমামদের ফতোয়া লিপিবদ্ধ রয়েছে। বর্তমান সৌদি রাষ্ট্র যখন ছিলোনা, তখন তাঁরা কার কাছ থেকে রিয়াল খেয়ে ফতোয়া দিয়েছিলেন?
(৩) মসজিদের আমিন বলার পূর্বে তোমরা তোমাদের বিবিদেরকে তালাক্ব দাও। কথিত আল্লামাহ এবং হাক্কানী পীর নুরুল ইসলাম অলিপুরী।
নোটঃ মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বালিদের ঘরে স্ত্রো রাখতে হলে হানাফী মাযহাব গ্রহণ করা ছাড়া উপায় নাই!
(৪) আহলে হাদীসরা নারীদের উপভোগ করতে মসজিদে যায়। - কথিত আল্লামাহ এবং হাক্কানী পীর নুরুল ইসলাম অলিপুরী।
(৫) আহলে হাদীসদের নারীদের চেহারা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যে শায়খ আলবানী চেহারা খুলে রাখার অশ্লীল(!) ফতোয়া দিয়েছেন! - রফিকুল ইসলাম মাদানী (মাদানী নামের কলংক)।
(৪+৫)-এর নোটঃ কথিত হানাফীদের জ্বালার কারণ হচ্ছে শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ নারীদের চেহারা ঢাকা ওয়াজিব নয় বলে ফতোয়া দিয়েছেন।
এবার এনিয়ে আমরা হানাফী এবং আহলে হাদীস ওলামাদের বক্তব্য দেখব। ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ-এর মতে নারীদের চেহারা এমনকি তাদের নখ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ওয়াজিব। একই মত ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ, ক্বুরানের সমস্ত মুফাসসিরিনরা এবং আধুনিক যুগের সমস্ত সালাফী ওলামাদের, নারীদের চেহারা তাদের আওড়াহ, এবং তা ঢেকে রাখা ওয়াজিব।
পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফাহ রাহিমাহুল্লাহর মতে, ফিতনাহর আশংকা থাকলে ওয়াজিব, এমনিতে ওয়াজিব নয়। আধুনিক যুগের আলেমদের মাঝে শুধুমাত্র শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এই দুর্বল মতটিকে গ্রহণ করেছেন।
(৪+৫)-এ উল্লেখিত দুইজন জাহিল আল-মুরাক্কাব নিজেদের ইমামের খবর না জেনেই বিপক্ষের সমালোচনায় সীমালঙ্গঘন করেছেন, অথচ সেটা তাদের নিজেদের ইমামের বিরুদ্ধেই যে যায়, সেই হুঁশ নেই।
(৬) আল-কাউসার নামক একটি পত্রিকার সম্পাদককে হানাফী ফিকহের পক্ষে হাদিস অন্বেষণে ব্যপক গবেষণায় ব্যস্ত দেখা যায়। আহলে হাদীসরা এক রাকাত বিতির পড়ে যে হাদীসের বিরোধীতা করতাছে, এটা নিয়ে তাদের ধারাবাহিক সিরিজ চলে। কিন্তু একশ্রেণীর জাহেল সাধারণ মানুষের মাঝে আনাল হক্ক মতবাদ প্রচার করে তাদের ঈমান নষ্ট করছে, বানরের নাচকে আল্লাহর ওলী হওয়ার রাস্তা বানিয়েছে, রাসুল (সাঃ)-কে জিন্দা দাঁড় করিয়ে তাঁর মানহানী করা হচ্ছে, এইগুলো নিয়ে তাদের কোন গবেষণা, লিখনী, ফিতনাহ দমনের লিফলেট বিতরণ কিংবা মাথাব্যথা চোখে পড়েনা। বরং এইগুলো নিয়ে যারাই একটু মুখ খোলার সাহস করেছেন, তারা যে প্রকৃত হানাফী হতে পারেন না, একথা প্রচার করে তাদের ভক্তদেরকে সতর্ক করছেন।
(৭) লুতফুর ফারাজী নামক রুয়াইবিদাহর কথাগুলো বলে সময় নষ্ট করলাম না। এই চিড়িয়া খুব অল্পদিনেই তার উত্তরসূরীদের ছাড়িয়ে গেছে। তোওবাহ না করে মারা গেলে আশা করি বিচার দিনে এর উপযুক্ত প্রতিদান সে পাবে।