মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০১৪

“জান্নাতুল ফিরদাউস” পাওয়ার জন্য কি আমল করতে হবে?



“জান্নাতুল ফিরদাউস” পাওয়ার জন্য কি আমল করতে হবে?

উত্তরঃ সংক্ষেপে উত্তর দেওয়া আছে সুরা কাহাফের ১০৭ নাম্বার আয়াতেঃ

“নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্যে আছে জান্নাতুল ফেরদাউস।”
সুরা কাহাফঃ ১০৭।

সুতরাং, শিরক বেদাত মুক্ত, ভেজাল ও ভ্রান্ত আকীদাহ মুক্ত, কুরান ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী বিশুদ্ধ “তাওহীদে” বিশ্বাসী ঈমানদার হয়ে যারা নেক আমল করে তাদের প্রতিদান হিসেবে রয়েছে জান্নাতুল ফিরদাউস।

এখন এই নেক আমলগুলো যারা করে তাদের সবচাইতে বড় কিছু গুণাবলী উল্লেখ করা হয়েছে সুরা মুমিনুনের প্রথম দিকের আয়াতগুলোতেঃ

আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম। বিসমিল্লাহির-রাহ’মানির রাহীম।
১. নিশ্চয়ই ঈমানদারগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
২. (ঈমানদার হচ্ছে তারাই) যারা নিজেদের নামাযে ‘খাশিয়ুন’ বিনয়ী-নম্র;
৩. যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত (গান-বাজনা, বাকোয়াজ, ফালতু ও অসার কাজ ও কথা, বেহুদা খেলাধুলা…এইগুলো থেকে নিজেকে হেফাজত করে চলে),
৪. যারা যাকাত দান করে থাকে
৫. এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে (যিনা-ব্যভিচার ও অশ্লীল কাজ থেকে)।
৬. তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
৭. অতঃপর, কেউ এদেরকে (পুরুষদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা দাসী, নারীদের ক্ষেত্রে স্বামী) ছাড়া অন্য কাউকে (প্রেমিক-প্রেমিকা, উপপতি, উপপত্নী…) কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।
৮. এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুশিয়ার থাকে।
৯. এবং যারা তাদের নামাযসমূহের হেফজত করে।
১০. তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে,
১১. তারা “ফিরদাউস” বা শীতল ছায়াময় উদ্যানের উত্তরাধিকার লাভ করবে। এবং তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।

সুরা আল-মুমিনুনঃ ১-১১।