শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০১৪

“তাক্বওয়া” বা আল্লাহকে ভয় করার প্রতিদান হচ্ছে ২টি জান্নাত!



“তাক্বওয়া” বা আল্লাহকে ভয় করার প্রতিদান হচ্ছে ২টি জান্নাত!

মহান আল্লাহ তার বান্দাদেরকে ওয়াদা করে বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দাঁড়ানোর জন্য ভয় করে, তার জন্যে রয়েছে দুটি “জান্নাত” (উদ্যান)”।
সুরা আর-রাহমানঃ ৪৬।

কিছু কথাঃ
তাক্বওয়া, আল্লাহর কাছে সবচাইতে প্রিয় ও মূল্যবান আমল। কিন্তু আল্লাহর রহমত ছাড়া তাক্বওয়া অর্জন করা খুবই কঠিন। নফসের তাড়নায় বা শয়তানের ধোকায় পড়ে অধিকাংশ মানুষ পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কারণ, সত্যি কথা বলতে আমাদের অধিকাংশের ঈমান ও ইলম অত্যন্ত কম।

তাক্বওয়া অর্জন করার কিছু উপায়ঃ
১. হারাম ও পাপ কাজ বর্জন করা এবং এইগুলো থেকে বেচে থাকার জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট জিনিসগুলোকেও বর্জন করা।
২. বেশি বেশি করে নেকের কাজ ও আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য আত্মনিয়োগ করা।
৩. ই’লম বা দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
“আমার বান্দাদের মাঝে শুধুমাত্র তারাই আমাকে ভয় করে যারা জ্ঞানী”।
সুতরাং, দ্বীন শিক্ষা করা ছাড়া, আল্লাহর পরিচয় জানা, হালাল-হারামকে চেনা ছাড়া তাক্বওয়া অর্জন করা অসম্ভব।
৪. সবসময় সত্য কথা বলা
৫. হালাল উপার্জন
৬. খারাপ সংগী বা বন্ধু ও পাপের পরিবেশ ত্যাগ করা

অলস, প্রবৃত্তি পূজারী কেউ জান্নাতে যাবেনা, তাক্বওয়া অর্জন ছাড়া জান্নাতে যাওয়া যাবেনা। পাপ কাজে অনড় আমাদের সত্যিই নিজেই নিজেদেরকে বিচার করা উচিত, কতটুকু তাক্বওয়া অর্জন করতে পেরেছি?

সাইয়্যেদিনা উমার ইবেন খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছিলেনঃ
“তোমার হিসাব গ্রহণ করার পূর্বেই নিজেই নিজের হিসাব করো”।

মুসলিম মনীষীরা এজন্য সুন্দর একটা কথা বলেছেনঃ

প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অন্তত ৫মিনিট/১০ মিনিট চিন্তা করুন, সারাদিন কি কি আমল করেছেন। কতটুকু ভালো কাজ ও কতটুকু খারাপ কাজ করেছেন। খারাপ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে সেইগুলো যাতে নাহয় তার জন্য পরদিন থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করুন। আন্তরিক চেষ্টা করলে ইন শা’ আল্লাহ খুব শীঘ্রই সফল হবেন।