সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

প্রসংগঃ অলসতা করে সাহরী না খাওয়া



প্রসংগঃ অলসতা করে সাহরী না খাওয়া

অনেকে অলসতা করে শেষ রাতে উঠে সাহরী খেতে চান না, এটা মারাত্মক ভুল।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে ভালোবাসল সে যেন আমাকেই ভালোবাসল। আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসলো - সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।”
বুখারী ও মুসলিম, মিশকাতঃ ৩০।

বছরে মাত্র ৩০ দিন (যারা ফরয রোযা ছাড়া নফল/সুন্নত রোযা রাখেন না) পালন করা হয় এই সাহরী খাওয়া – এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা সুন্নতকে অবহেলা করা মারাত্মক ভুল। কি আশ্চর্য সুন্দর ধর্ম এই ইসলাম, যা রাব্বুল আ’লামিনের পক্ষ থেকে মুহা’ম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর নাযিল করা হয়েছে – এই ধর্মে বিশ্বাসীদের খাওয়া পানাহার করাও (সাহরী/ইফতারি ইত্যাদি) ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত! সুতরাং, ঈমানদারদের জন্য কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয় যে তারা এইভাবে সুন্নতকে অবহেলা করে। যাই হোক, সাহরী খাওয়ার ফযীলত দেখুন সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমরা সাহরী খাও, কারণ সাহরীতে রয়েছে বরকত।”
বুখারীঃ ১৯২৩, মুসলিমঃ ১০৯৫।  

ইচ্ছাকৃতভাবে বা অলসতা করে সাহরী না খাওয়া নিন্দনীয়, কারণ এতে আহলে-কিতাবীদের সাথে সামাজস্য হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“আমাদের রোযা আর কিতাবধারীদের রোযা (ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের) রোযার মধ্যে পার্থক্য হল - সাহারী খাওয়া।”
মুসলিমঃ ২৬০৪।

আর ইসলাম ধর্মের একটা বৈশিষ্ট্য হলো – এই ধর্ম ইয়াহুদী-খ্রীস্টান ও কাফেরদের ধর্মের বিপরীত করতে আমাদেরকে আদেশ দেয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“মুশরেকরা যা করে তার বিপরীত করো।”
সহীহ মুসলিম।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ
“যে যেই জাতির অনুকরণ করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলেই গণ্য হবে।”


সর্বশেষঃ সাহরীতে রাতের খাবারের মতো পেট ভর্তি করে ভাত খেতে হবে এমন কোন কথা নেই, হালকা কোন খাবার এমনকি খাবার না থাকলে এক গ্লাস পানি বা একটা শুকনো রুটি বা খেজুর খেলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।