বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

নাজাতপ্রাপ্ত দল

নাজাতপ্রাপ্ত দলঃ
শুধুমাত্র নামে মুসলিম হওয়াই যথেষ্ঠ না, বরং ঈমান ও আমলের দিকে থেকে সঠিক মুসলিম হলেই নাজাত পাওয়া যাবে। অনেক মুসলমান থাকবে যারা সালাত-সাওম করবে, কিন্তু ভ্রান্ত আক্বীদাহ বা দলের অনুসারী হয়ে মৃত্যুবরণ করার কারণে জাহান্নামের গর্তে প্রবেশ করবে, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। সুতরাং, পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে বাঁচার জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ এবং তাঁর সাহাবাদের আদর্শকে আঁকড়ে ধরতে হবে এবং, নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা এবং পথভ্রষ্ট আলেম ও দ্বাইয়ীদের ব্যপারে সর্বদাই সতর্ক থাকতে হবে।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
জেন রাখ! নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বে ছিল যারা ছিলো (ইয়াহুদী এবং খ্রীস্টানরা) তারা ৭২টি দলে বিভক্ত হয়েছিল, এবং নিশ্চয়ই আমার এই উম্মত (মুসলমানেরা) ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে। এদের মাঝে প্রত্যেকটি দল জাহান্নামে যাবে, শুধুমাত্র একট দল ছাড়া।
সাহাবারা (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, (মুক্তিপ্রাপ্ত) সেই দল কোনটি?
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আজকে আমি এবং আমার সাহাবীরা যার উপরে আছি, সেই পথের উপর যারা থাকবে (তারাই মুক্তি পাবে)।
[তিরমিজী ও আবু দাউদ, মিশকাত হাদীস নং- ১৬৩]

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
ক্বিয়ামাত আসা পর্যন্ত আমার উম্মাতের একটা দল সর্বদাই (হক্কের উপর) বিজয়ী থাকবে। আর তারাই হচ্ছে বিজয়ী।
সহীহ বুখারীঃ তাওহীদ প্রকাশনীঃ ৭৩১১, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৮০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৮১৩।

মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন দল ও তরীকার মাঝে একটিমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল তাবেয়ীদের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত যেই নামে পরিচিত হয়ে আসছেঃ
১. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বা সংক্ষেপে সুন্নী
২. ফিরকাতুন-নাযিয়াহ - নাজাতপ্রাপ্ত দল
৩. আত-ত্বাইয়িফাতুল মানসুরাহ - সাহায্যপ্রাপ্ত দল
৪. আহলুল হাদীস ক্বুরান ও হাদীসের অনুসারী দল


এই সবগুলো নাম দিয়ে একই দল বা জামাআতকে উদ্দেশ্য করা হয়, আর তারাই হচ্ছে বিশ্বাস, কথা ও কর্মের দিক থেকে প্রকৃত ইসলামের অনুসারী, যেই ইসলাম এর দাওয়াত নিয়ে আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে এসেছিলেন। আল্লাহর কাছে দুয়া করি, তিনি যেন আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনীত প্রকৃত দ্বীনের অনুসারী নাজাতপ্রাপ্ত দলের অন্তর্ভুক্ত অবস্থান আমাদেরকে মৃত্যু দান করেন, আমিন।