ধর্ম যার যার উৎসব সবার?
-
আনসারুস সুন্নাহ
_________________________
১. আজকাল ‘গণতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী’ নেতা-নেত্রীরা মুশরিকদেরকে
খুশি করার জন্যে অথবা ভোট পাওয়ার জন্যে পূজার দিনগুলোতে তাদেরকে শুভেচ্ছা(!)
জানানোর জন্যে মন্দিরে ছুটে যাচ্ছে এবং ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ বলে সেইগুলোতে আনন্দ প্রকাশ
করছে। এদের প্রতি আল্লাহর গজব নাযিল হয়েছে, এবং মৃত্যুর
পূর্বে যদি তোওবা না করে, তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত এদের উপর
আল্লাহর এই গজব চলতেই থাকবে, ইন শা’ আল্লাহ।
উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেছেন, “তোমরা মুশরিকদের উৎসবের দিনগুলোতে তাদের
উপাসনালয়ে প্রবেশ করো না। কারণ,
সেই সময় তাদের উপর আল্লাহ তাআ’লার গযব নাযিল হতে থাকে।”
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম আল-জাওকিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ, তাঁর আহকামুল জিম্মাহঃ
১/৭২৩-৭২৪, বায়হাক্বী থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতটির সনদ ‘সহীহ’।
_________________________
২. কাফেরদেরকে খুশি করে তাদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার আশা করা মুনাফেকদের
একটা লক্ষণ, এনিয়ে
আল্লাহ তাআ’লা
ক্বুরানুল কারীমে স্পষ্ট আয়াত নাযিল করেছেন।
আ’উযুবিল্লা-হিমিনাশ শাইতোয়ানীর রাজীম।
১৩৮. (হে নবী আপনি) সেইসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে
বেদনাদায়ক আযাব।
১৩৯. যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং
তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে,
অথচ যাবতীয় সম্মান তো শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।
সুরা নিসাঃ ১৩৮-১৩৯।
_________________________
৩. ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এটা আসলে নামধারী মুসলিম,
কিন্তু আসলে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী বা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসীদের মিথ্যা
দাবী ছাড়া আর কিছুনা। আজ পর্যন্ত কোন হিন্দু নেতাকে মুসলিমদের ঈদুল আযহার দিন এসে
গরু জবাই করে খেতে দেখা যায়না, অথচ নামধারী সেকুলার মুসলিমরা
পূজা আসলেই তাদের সাথে শরীক হওয়ার জন্যে পাগল হয়ে উঠে। শিরক করা মানুষ খুন করার
চাইতে জঘন্য অপরাধ, মানুষ খুন করেও একজন জান্নাতে যাবে যদি
সে ঈমানদার মুসলিম হয়ে থাকে, কিন্তু শিরক করে মারা গেলে
কস্মিনকালেও কেউ জান্নাতে যেতে পারবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না
একটা সুঁইয়ের মাথা দিয়ে একট উট প্রবেশ করবে। একজন মানুষের অন্তরে নূন্যতম ঈমান
থাকলে সে কোনদিন পূজা উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে পারেনা বা সেইগুলো শরিক হওয়ার
জন্যে দেখতে যেতে পারেনা।
_________________________
৪ নেতা-নেত্রীদের দোষ দিয়ে লাভ কি? কারণ দেশের মানুষ যেমন হবে
আল্লাহ তাদের জন্যে তেমনই নেতা-নেত্রী ঠিক করে দেন। আজকাল এটা খুব বেশি শোনা
যাচ্ছে, পূজা মন্ডপগুলোতে হিন্দুদের চাইতে মুসলিমদের সংখ্যাই
বেশি থাকে। হিন্দুদের গান-বাজনা, মদ-জুয়া, এবং অর্ধনগ্ন মেয়েদের বেহায়াপনা ও অবাধ যৌনতা দিয়ে ধীরে ধীরে মুসলমান
যুবক-যুবতীদের ঈমান ও চরিত্র ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। একাজে ইতিমধ্যে অনেক সফলও হয়েছে।
আমরা কি সতর্ক হবোনা এবং অন্যদেরকেও সতর্ক করবোনা?
_________________________
বিসমিল্লাহির-রাহ’মানির
রাহীম।
১. হে চাদরাবৃত!
২. উঠুন এবং মানুষদেরকে সতর্ক করুন,
৩. আপনি আপনার পালনকর্তার মাহাত্ম্য ঘোষনা করুন,
৪. আর আপনার পোশাক পবিত্র রাখুন
৫. এবং (শিরকের) অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন।
সুরাহ আল-মুদ্দাসসিরঃ ১-৫।
_________________________